আশ্রয়ণ প্রকল্পের পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আরো সাড়ে ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের আরো ৭০টি উপজেলা সম্পূর্ণ গৃহহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই ঘর এবং দুই শতাংশ করে জমির দলিল হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে কক্সবাজার, ভোলা ও লালমনিরহাট জেলার ভূমিহীনদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করবেন তিনি।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন হাজার হাজার পরিবারকে ঘর করে দিয়েছেন। তার এই উদ্যোগ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এতে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, এবার পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধায় ৬৩০, কুড়িগ্রামে ৩২১, রংপুরে ১০৪৯, দিনাজপুরে ৯০৯, লালমনিরহাটে ১২৮২টি, রাজশাহী বিভাগের নওগাঁয় ৫৫, সিরাজগঞ্জে ১৮৪, জয়পুরহাটে ২০, রাজশাহীতে ১৩০, বগুড়ায় ১৮৬, নাটোর ৮৭২টি, খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহে ৬০৩, চুয়াডাঙ্গায় ১০, সাতক্ষীরায় ২৫০, যশোরে ৩৬২, মেহেরপুরে ২২৯, খুলনায় ৮৪, নড়াইলে ২১৩, বাগেরহাটে ৮১২টি, ঢাকা বিভাগের ঢাকায় ৫১৯, গোপালগঞ্জে ৭৩৬, মাদারীপুরে ৩২০, শরীয়তপুরে ২৪৩, কিশোরগঞ্জে ৩৩০, গাজীপুরে ২৬, টাঙ্গাইলে ১০৩, মুন্সীগঞ্জে ৯, ফরিদপুরে ৬৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনায় ১৭৭, ময়মনসিংহে ৩২৯, জামালপুরে ৫, সিলেট বিভাগের সিলেটে ১৮৩, হবিগঞ্জে ৮১, সুনামগঞ্জে ৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে ২৬১, চট্টগ্রামে ২৫০, রাঙামাটিতে ৬৮০, বান্দরবানে ৩৮২, খাগড়াছড়িতে ৮৬০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০, লক্ষ্মীপুরে ১০৬, নোয়াখালীতে ৯০০, কুমিল্লায় ১৮৬, ফেনীতে ২৪০, বরিশাল বিভাগের ভোলায় ২২১৭, ঝালকাঠিতে ৮৫, বরগুনায় ৩৫৩, পটুয়াখালীতে ৩০, বরিশালে ৪৬২টি ঘর বিতরণ করা হবে।