অর্থ ও বাণিজ্য
সৌদি আরবে কার্যালয় খোলার অনুমতি পেয়েছে ১২৭ কোম্পানি
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১২৭টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি সৌদি আরবে আঞ্চলিক সদর দপ্তর চালুর লাইসেন্স পেয়েছে। এ সংখ্যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৭৭ শতাংশ বেশি।
সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি প্রান্তিকভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে ১২৭টি কোম্পানিকে আঞ্চলিক সদর দপ্তর স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবে সম্প্রতি পাস হওয়া আইন অনুসারে, বিদেশী কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১৫ জন কর্মীসহ দেশটিতে আঞ্চলিক সদর দপ্তর থাকতে হবে।
বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে সৌদি সফরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ৪৪৫টি ভিসা আবেদন যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।
প্রথম প্রান্তিকে ৬৪টি বিনিয়োগ চুক্তি স্থগিতও করেছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া এ সময়ে ইস্যুকৃত বিনিয়োগ লাইসেন্স ৩ হাজার ১৫৭-এ পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে নির্মাণ খাতে ৮৬৪টি বিনিয়োগ লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অনুমতি দেয়া হয়েছে উৎপাদন খাতের ৬২০টি প্রতিষ্ঠানকে। এছাড়া বৃত্তিমূলক, শিক্ষা ও প্রযুক্তি কার্যক্রমে ৩৯৬টি লাইসেন্স ইস্যু করেছে মন্ত্রণালয়। যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের ২৬৩টি প্রতিষ্ঠান অনুমতি পেয়েছে। এছাড়া আবাসন ও খাদ্য, পাইকারি ও খুচরা এবং রিয়েল এস্টেটসহ অন্যান্য খাতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানি লাইসেন্স পেয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রিয়েল এস্টেট খাত আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫৩ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ লাইসেন্স পেয়েছে। এরপর বৃত্তিমূলক, শিক্ষাগত ও প্রযুক্তিগত কার্যক্রম এবং কৃষি, বনায়ন ও মৎস্য খাত যথাক্রমে ১৪১ দশমিক ৫ ও ১২৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।’
এদিকে প্রথম প্রান্তিকে ইলেকট্রনিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে ৫৮ হাজারের বেশি পরিষেবা সরবরাহ করা হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি।
গত মাসে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু ও আঞ্চলিক সদর দপ্তর কর্মসূচি সৌদি আরবে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের প্রবাহকে দ্রুত করবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সৌদি স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস জেনারেল অথরিটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, দেশটির আঞ্চলিক সদর দপ্তর কর্মসূচি রিয়াদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ এক ঘোষণায় বলেন, ‘আঞ্চলিক সদর দপ্তর স্থাপন লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে রাজ্যে ১৮০টিরও বেশি কোম্পানি কার্যালয় চালু করেছে।’ সূত্র: আরব নিউজ।
অর্থ ও বাণিজ্য
দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট জগতে সফল বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আকিব মুনির
দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত: এক দশকেরও কম সময়ে কঠোর পরিশ্রম, সততা এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মাত্র ৩৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আকিব মুনির। নান্দনিক শহর দুবাইয়ের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক আবাসন (রিয়েল এস্টেট) খাতে তিনি শুধু নিজের অবস্থানই তৈরি করেননি, প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম এমজে প্রপার্টিজ (MJ Properties)।
এমজে প্রপার্টিজ আকিবের নেতৃত্বে অল্প সময়েই দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় এক উজ্জ্বল নাম হয়ে উঠেছে। এই সাফল্যের মূল কারণ হলো গ্রাহকদের প্রতি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে মেধাবী তরুণ-তরুণীদের একটি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যাদের লক্ষ্য দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা।
আকিবের অঙ্গীকার: “সততা ও ন্যায়ের মাধ্যমে এমজে প্রপার্টিজকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেন এই প্রতিষ্ঠান দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে।”
একসময় আকিবের স্বপ্ন ছিল স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েই তিনি এখন এমজে প্রপার্টিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (Founder & CEO)। তার কর্মজীবনের শুরুটা ছিল একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে—হজ, ওমরাহ ও টিকেটিং-এর কাজের মাধ্যমে। সেখানেই সততা ও কঠোর পরিশ্রমের হাত ধরে একজন সফল উদ্যোক্তা ও প্রকল্প উদ্ভাবক হিসেবে তার পরিচিতি গড়ে ওঠে।
উদ্যোক্তা হিসেবে আকিবের বিশেষ গুণ হলো *বিনিয়োগের সঠিক ক্ষেত্র নির্ধারণ* করে ক্লায়েন্টদের জন্য *সর্বোচ্চ মুনাফা ও নিরাপদ রিটার্ন* নিশ্চিত করা। তিনি দুবাইয়ের আধুনিক স্থাপত্য ও সমৃদ্ধ জীবনযাত্রার মান বজায় রেখে নির্মিত উন্নতমানের আবাসন প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগের জন্য ক্লায়েন্টদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আকিবকে। ছাত্রাবস্থায়, ২০১৪ সালে বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের, বিশেষত মায়ের, দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নেন। ট্রাভেল এজেন্সিতে কর্মরত থাকাকালে করোনাকালীন সময়ে ব্যবসায়িক ধস নামলে উন্নত জীবনের আশায় তিনি দুবাই পাড়ি জমান।
বর্তমানে তিনি রিয়েল এস্টেট ছাড়াও আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং তার পুরো পরিবার নিয়ে দুবাইতেই বসবাস করছেন। সততা, কঠোর পরিশ্রম আর স্বপ্ন পূরণের অদম্য স্পৃহা আকিব মুনিরকে আজ তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন আদর্শ রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আকিবের বাবা ছিলেন খুলনার বিশিষ্ট সাংবাদিক, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং খুলনার সুপরিচিত একটি পত্রিকার সম্পাদক—এডভোকেট কামরুল মুনির। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন খুলনার শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের একজন। ২০১৪ সালে তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের ভার নেমে আসে তরুণ আকিবের কাঁধে।
বাবার মৃত্যুর শোক সামলেই তিনি কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। শুরুটা ছিল একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি দিয়ে। সেখানেই ধীরে ধীরে ব্যবসায়িক জগতে তাঁর হাতেখড়ি।
তবে ভাগ্যের পরিক্রমায় আসে করোনাকালীন সংকট। বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক ধস নেমে আসে, বন্ধ হয়ে যায় ট্রাভেল খাতের কার্যক্রমও। জীবনের কঠিন সময়ে হাল না ছেড়ে আকিব নতুন করে স্বপ্ন দেখেন—উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে।
অর্থ ও বাণিজ্য
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা
দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তার আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ২১ কোটি টাকা বা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিং গতকাল মঙ্গলবার তাদের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার মাধ্যমে মুনাফার এই হিসাব দিয়েছে। একই সভা থেকে কোম্পানিটি গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার আগের অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে গত অর্থবছরে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ও লভ্যাংশ উভয়ই বেড়েছে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে চূড়ান্ত করা মুনাফা ও লভ্যাংশের তথ্য আজ বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত অর্থবছরের জন্য তারা শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আড়াই টাকা (২৫ শতাংশ) করে লভ্যাংশ দেবে। বর্তমানে শেয়ারধারীদের হাতে কোম্পানিটির যে শেয়ার রয়েছে তার বিপরীতে লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ করতে হবে। আগের অর্থবছরে (২০২৩–২৪) কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তাতে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একেকজন শেয়ারধারী ১ টাকা ৯০ পয়সা করে পেয়েছিলেন। ওই বছর ঘোষিত লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে বিতরণ করেছিল প্রায় ১৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ বাবদ ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে কোম্পানিটি। লভ্যাংশ বাবদ বাড়তি এই ব্যয়ের জোগান আসছে বাড়তি মুনাফা থেকে। কারণ, এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা ২১ কোটি টাকা বেড়েছে।
এদিকে মুনাফা ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির খবরে আজ শেয়ারবাজারে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের দামও ঊর্ধ্বমুখী ছিল লেনদেনের শুরু থেকে। প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ টাকা বা সোয়া ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। এ সময় কোম্পানিটির ৮ লাখের বেশি শেয়ারের হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
-
বিবিধ2 years agoবাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন2 years agoরিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ3 months agoরাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আইন-কানুন3 months agoদলিলে লেখা এসব শব্দের অর্থ জেনে রাখুন, নাহলে পড়তে পারেন আইনি জটিলতায়
-
আবাসন সংবাদ3 months agoসীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আইন-কানুন2 years agoরিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ3 months agoপ্রিমিয়াম হোল্ডিংয়ের বর্ষপূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী একক আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত
-
আবাসন সংবাদ11 months agoবন্ধ হচ্ছে অবৈধ আবাসন প্রকল্প
