সাক্ষাৎকার

মধ্যবিত্তদের আবাসন চাহিদা মেটাতে কাজ করছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস : রওশন আল মাহমুদ

Published

on

জীবনের প্রয়োজনে সারা দেশ থেকে চাকরি করার উদ্দেশে যাদুর নগরী ঢাকায় আসে হাজারো মানুষ। এই মধ্যবিত্তদের অনেকেই স্বপ্ন দেখেন ঢাকায় একটা বাড়ি করার। অনেকের মনে ইচ্ছে থাকলেও কিন্তু সাধ্য থাকে না। আবার কেউ কেউ স্বপ্ন বাস্তবায়নে উদ্যোগও নেন। কিন্তু নানা কারণে সে স্বপ্ন পূরণ হয় না। যারা মন থেকে ঢাকায় দুই বা তিন কাঠা জমি কিনে বাড়ি করার পরিকল্পনা করছেন তাদের হৃদয়ে লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড।

সম্প্রতি আবাসন-এর সঙ্গে একান্ত আলাপে কথাগুলো বলেছেন প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তরুণ উদ্যোক্তা রওশন আল মাহমুদ। আলাপে উঠে এসেছে আবাসন খাতে যুক্ত হওয়াসহ প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের বিভিন্ন প্রকল্পগুলো সম্পর্কে নানা বিষয়।

আবাসন: আবাসন খাতের সঙ্গে যুক্ত হলেন কেনো?
রওশন আল মাহমুদ: রিয়েল এস্টেট বিজনেসের প্রতি সবসময়ই আমার আলাদা ভালোলাগা কাজ করতো। সেই ভালোলাগা থেকেই এই আবাসিক, প্রাতিষ্ঠানিক বা বাণিজ্যিক প্লট বিক্রির বিজনেসে আসা। ২০০৮ সাল থেকে আমি এই বিজনেসের সঙ্গে যুক্ত হই। তখন থেকেই আবাসন খাতের সঙ্গে আছি। সময়ের পরিবর্তনে মানুষের রুচি, পছন্দ ও প্রয়োজন অনুসারে এই খাতের সব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন যেসব মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আবাসন সমস্যা।

ছবি: আবাসন

সারা দেশে থেকে মানুষ চাকরি করতে আসেন যাদুর নগরী এই ঢাকায়। সারা দিনে একজন মানুষ জীবনের প্রয়োজনে যত কাজই করুক না কেনো, দিন শেষে তাকে একটা নিরাপদ আশ্রয় স্থলে ফিরতে হয়। সেটা তার আপন ঠিকানা। শান্তির নীড়। আমরা মানুষের আবাসনের সমস্যা সমাধারে নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য ভাবনাটা একটু কমই ভাবছি। সেখান থেকে আমার মনে হলো একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কিভাবে আবাসন চাহিদা মেটানো যায়। মহামরী করোনাকালীন অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। এই মানুষগুলোর যদি নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা থাকতো, তাহলে তারা কিন্তু ঢাকা ছাড়তো না। তখন থেকেই মনে হয়েছে এ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য কিছু করা জরুরি। তাদের আবাসন চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই মূলত, আবাসন খাতের সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া।

আমরা শুধুমাত্র জমির প্লট বিক্রিই করছি না। প্রত্যেকজন ক্রেতার হৃদয়ে দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রত্যেকজন ক্রেতার স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ। সেই আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা প্রথমে ব্যবসায়িক চিন্তা না করে ক্রেতাদের প্রয়োজন অনুসারে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষের প্রয়োজনকে মূলমন্ত্র রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই, আমাদের সেবা নিয়ে ক্রেতাই নিজে গিয়েই অন্যকে বলুক আপনি ভালো অবাসন ব্যবস্থার জন্য প্রিমিয়াম হোল্ডিংসকে বেছে নিতে পারেন। ক্রেতাদের মনের মধ্যে আস্থার সে জায়গাটা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। ক্রেতা সন্তোষ্টিই আমাদের সেবার মূল্য লক্ষ্য।

আবাসন: প্রিমিয়াম হোল্ডিংসের আবাসন প্রকল্পগুলো সম্পর্কে কিছু বলুন।
রওশন আল মাহমুদ: জীবনের প্রয়োজনে রাজধানীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাসকারী অনেক নাগরিকই স্বপ্ন দেখেন ঢাকার আশপাশে কোথাও তিন বা চার কাঠা জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার। আজীবন ভাড়াটিয়া হিসেবে অন্যের বাসায় থেকে বাড়ির মালিককে বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ টাকা না দিয়ে সে টাকা দিয়ে পরিকল্পনা করে জমি কিনে স্বপ্নের একটা বাড়ি বানাতে। যারা এমন স্বপ্ন দেখছেন, ভবিষ্যতে ঢাকায় জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড অত্যাধুনিক ও স্মার্ট তিনটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ঢাকার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন লোকেশন পূর্বাচলে আমাদের দুটি প্রকল্প রয়েছে। একটি ‘প্রিমিয়াম গার্ডেন’ও অন্যটি ‘প্রিমিয়াম টাউন’। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশেই আর একটি প্রকল্প রয়েছে ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’।

ছবি: আবাসন

আবাসন: ‘প্রিমিয়াম গার্ডেন’ ও ‘প্রিমিয়াম টাউন’ প্রকল্পের সুবিধাগুলো সম্পর্কে জানতে চাই?
রওশন আল মাহমুদ: ‘প্রিমিয়াম গার্ডেন’ প্রকল্পটি একেবারে সরকারি পূর্বাচল শহরের পাশে। আর ‘প্রিমিয়াম টাউন’ও রাজউক প্রকল্পের পাশেই। প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রকল্পগুলো ১০০% প্রাকৃতিকভাবে বাড়ি করার উপযোগী। আর এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম পরিকল্পিত নগরী রাজউক পূর্বাচলের কাছে। প্রিমিয়াম টাউন পূর্বাচল মেট্রোরেল, ইকো-পার্ক ও বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ভেন্যুর পাশে। ১১১ তলা বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ারে কাছে। প্রকল্পের চারদিকে সরকারি রাস্তা সম্বলিত একমাত্র প্রকল্প। ওই এলাকায় সকল সুযোগ-সুবিধাসহ নাগরিক বসবাস করছে। নিষ্কন্টক জমি, এককালীন স্বল্প দামে নিজ নামে জমির সাফ-কবলা দলিলসহ রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার রয়েছে উন্নত ও মানসম্মত ব্যবস্থা। আরও রয়েছে সহজ শর্তে এককালীন ও স্বল্প মেয়াদী কিস্তি সুবিধা।

এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে বসবাসের উপযোগী বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত প্লট পাওয়া যাচ্ছে ৩, ৫ ও ১০ কাঠা পরিমাণে। সেসঙ্গে রয়েছে কোম্পানির নিজস্ব পরিবহন সেবায় সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রকল্প পরিদর্শনের সুবিধা। অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় দামও হাতের নাগালে। দুই দশকে ঢাকায় জমির দাম বেড়েছে ২৭ গুণেরও বেশি। তাই যারা ঢাকায় জমি কিনে স্বপ্নের বাড়ি করার কথা ভাবছেন তারা আর দেরি না করে, যত দ্রুত সম্ভব পূর্বাচলে আমাদের প্লট বুকিং করতে পারেন। যারা ‘প্রিমিয়াম টাউন’ প্রকল্পের জমি কিনতে আগ্রহী তাদেরকে 01321216225, 01321216226 ও 01321216233 মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। আরও বিস্তারিত জানা যাবে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের অফিসিয়াল ফেসবুকের এই ঠিকানায়।

Advertisement

আবাসন: ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’ প্রকল্পটিতে কী কী সুবিধা রয়েছে?
রওশন আল মাহমুদ: ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’প্রকল্পটি ঢাকার অদূরে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর একটু দূরেই স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে থেকে ২ মিনিটের দূরত্বে এই প্রকল্পের অবস্থান। এটি খুবই মানসম্মত প্রকল্প। চমৎকার লোকেশন, মনোরম পরিবেশ। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আধুনিকভাবে জীবনযাপনের জন্য রয়েছে সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। চারদিকে রয়েছে মানুষের বসবাস। রয়েছে উন্নত ও অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রকল্পের উভয়দিকে রয়েছে সরকারি প্রশস্ত রাস্তা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২১টি জেলাকে যুক্ত করে নতুন যুগের সূচনা করেছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে এই অঞ্চলকে করেছে সমৃদ্ধশালী।

ছবি: আবাসন

যারা ঢাকায় বাড়ি করার কথা ভাবছেন ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’তে প্লট কিনে তারা এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হতে পারে উন্নত আধুনিক শহরের অংশীদার। আগ্রহী ক্রেতা জমি কিনে মূল্য পরিশোধের সাথে সাথে সাফ-কবলা দলিলসহ রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার রয়েছে উন্নত ও মানসম্মত ব্যবস্থা। এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে বসবাসের উপযোগী জমি, কাঠা প্রতি মাসিক কিস্তি ৫০০০ টাকায় (সেক্টর ৩) পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত প্লট পাওয়া যাচ্ছে ৩, ৫ ও ১০ কাঠা পরিমাণে। যারা প্রিমিয়াম ভ্যালি প্রকল্পের জমি কিনতে আগ্রহী তাদেরকে 01321216225 ও 01321216226 মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। আরও বিস্তারিত জানা যাবে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের অফিসিয়াল ফেসবুকের এই ঠিকানায়।

আবাসন: ঢাকায় জমি কেনার জন্য অসংখ্য আবাসন প্রকল্প রয়েছে। এত প্রকল্পের মধ্যে ক্রেতারা প্রিমিয়াম হোল্ডিংসকে বেছে নেবে কেনো? আপনাদের বিশেষত্ব কি?
রওশন আল মাহমুদ: দেখুন, আমরা শুধুমাত্র জমির প্লট বিক্রিই করছি না। প্রত্যেকজন ক্রেতার হৃদয়ে দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রত্যেকজন ক্রেতার স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ। সেই আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা প্রথমে ব্যবসায়িক চিন্তা না করে ক্রেতাদের প্রয়োজন অনুসারে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষের প্রয়োজনকে মূলমন্ত্র রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই, আমাদের সেবা নিয়ে ক্রেতাই নিজে গিয়েই অন্যকে বলুক আপনি ভালো অবাসন ব্যবস্থার জন্য প্রিমিয়াম হোল্ডিংসকে বেছে নিতে পারেন। ক্রেতাদের মনের মধ্যে আস্থার সে জায়গাটা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। ক্রেতা সন্তোষ্টিই আমাদের সেবার মূল্য লক্ষ্য।

অনেকেই বড় বড় প্রকল্প করছে। এর ফলে প্রকল্প হস্তান্তরে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু আমরা অল্প পরিসরে ছোট প্রকল্প করার ফলে ডেভেলপ করতে পারছি দ্রুত সময়ে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রাহকের স্বপ্নের প্লট বুঝিয়ে দিতে পারবো। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, জীবনে দারুণ কিছু করার জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। আপনার বাসস্থানকে সাজিয়ে নিতে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস হয়ে উঠুক আপনার ভবিষ্যতের নিরাপদ সম্পদ।

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version