চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দুবাইয়ের অর্থনীতি ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছে। এ সময় জিডিপির আকার ছিল ১১ হাজার ৫০০ কোটি দিরহাম বা ৩ হাজার ১৩০ কোটি ডলার।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে জ্বালানি তেলবহির্ভূত খাত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকের জিডিপিতে পরিবহন ও মজুদ খাতের পাশাপাশি আর্থিক ও বীমা শিল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
দুবাই কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির ধারা চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও (জানুয়ারি-মার্চ) অব্যাহত ছিল। ওই বছর ২০২২ সালের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে দুবাই। এর পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৯০০ কোটি দিরহাম।
এ বিষয়ে দুবাইয়ের যুবরাজ শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বলেন, ‘দুবাই সুস্পষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন আমাদের লক্ষ্যের প্রায়োগিক প্রতিফলনের সাক্ষী দিচ্ছে। এটি দুবাইকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোর মধ্যে স্থান করে দিয়েছে।’
মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় পরিবহন ও মজুদ খাত এবং আর্থিক ও বীমা খাত প্রতিটিই ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। একই সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ ৩ দশমিক ৯ শতাংশ সম্প্রসারিত হয়েছে। এছাড়া বাসস্থান ও খাদ্য পরিষেবা ৩ দশমিক ৮, রিয়েল এস্টেট ৩ দশমিক ৭ ও বাণিজ্য খাত ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
সম্প্রতি ঘোষিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দশকের মধ্যে অর্থনীতি ৩২ ট্রিলিয়ন দিরহামে উন্নীত করার লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে দুবাই। এর মাধ্যমে দুবাই হয়ে উঠবে বিশ্বের তিন শীর্ষ শহরের অন্যতম। এ পরিকল্পনার অধীনে ৩০টি বেসরকারি কোম্পানি ১০০ কোটি ডলারের স্টার্টআপ বা ইউনিকর্ন হওয়ার জন্য সাহায্য পাবে। এছাড়া অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সাহায্য করার পরিকল্পনা রয়েছে ইউএইর সবচেয়ে চাকচিক্যময় এ শহরের।
জ্বালানি তেলনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বৈচিত্র্যকরণ নীতিতে জোর দিয়েছে দুবাই। এ পরিকল্পনার সহায়ক হিসেবে অঞ্চলটি অর্থ স্থানান্তর, ভিসা, কর ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নানা সংস্কার এনেছে। এর রেশ ধরে অঞ্চলটি ভিন্ন দেশের অবৈধ অর্থের গন্তব্য হয়ে উঠেছে, যা দেশটির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে। সূত্র: আরব নিউজ।