নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে প্রায় ১০০ একর জায়গার উপর আধুনিক টাউনশিপ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তা গ্রুপ বেক্সিমকো। সেখানে ১৮ হাজার অ্যাপার্টমেন্টের একটি সুরক্ষিত আবাসন প্রকল্প তৈরি করা হবে। ‘মায়ানগর’ নামের প্রকল্পটিতে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বিনোদন, খেলাধুলাসহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সব সুবিধা থাকবে। অন্যদিকে প্রকল্পে প্রায় ৫০ লাখ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেসে সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্ট, হোটেল, অফিস, কনভেনশন সেন্টার ও শপিংমল হবে। মায়ানগর নামের এই প্রকল্পের মোট জমির ৭৫ শতাংশ বেক্সিমকো লিমিটেড ও ২৫ শতাংশ শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের মালিকানাধীন। সে অনুযায়ী মুনাফা ভাগাভাগি হবে।
প্রকল্পটি সামনে রেখে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড দেড় হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার কোম্পানিটির পর্ষদ ‘বেক্সিমকো প্রথম জিরো কুপন বন্ড’ নামে এ বন্ডের অনুমোদন করে। কোম্পানিটির বিদ্যমান ব্যাংক ঋণ পরিশোধ আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগে বন্ডটি ব্যবহার করা হবে। বেক্সিমকো প্রথম জিরো কুপন বন্ডটি সিকিউরড, অবসায়ন অরূপান্তরযোগ্য ও লেনদেন অযোগ্য। বন্ডটির বার্ষিক ডিসকাউন্ট হার ১৫ শতাংশ।
কোম্পানিটির পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বন্ডটি থেকে সংগৃহীত অর্থ বিদ্যমান ঋণ পরিশোধ ও শ্রীপুর টাউনশিপ কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘মায়ানগর’ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। বিএসইসি’র অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করা হবে।
সর্বশেষ ৩০শে জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৭০৯ কোটি টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। গত ৩০শে জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৫ টাকা ১৪ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯১ টাকা ১৯ পয়সায়।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮৯৮ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭ হাজার ৩৮৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৯ কোটি ৮২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪১। এর মধ্যে ৩৩ দশমিক ১১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৩২ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৯৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৩ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।