কোনো ধরনের মতামত না নিয়েই ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালার খসড়া তৈরি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব।
ওই বিধিমালা চূড়ান্ত করার আগে মতামত ও সুপারিশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উদায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে একটি চিঠিও দিয়েছেন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বড় স্টেক হোল্ডার রিহ্যাবের কোনো প্রকার মতামত ছাড়াই ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খসড়াটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।
‘‘মতামত ছাড়াই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা প্রস্তুত করায় সংক্ষুব্ধ হয়েছে রিহ্যাব এর সকল সদস্যবৃন্দ। মতামত ছাড়া ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত না করার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকে অনুরোধ করেছে রিহ্যাব।’’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খসড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যেভাবে নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে, তাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সাধারণ নাগরিক, ভূমি মালিক ও ভবন মালিকদের। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আবাসন শিল্প। কারণ নতুন বিধিমালা অনুয়ায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমবে, একই সাথে ফ্ল্যাটের সংখ্যা হ্রাস পাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উলম্বভাবে ভবন তৈরির দিকে এগোলেও আমরা হাঁটছি উল্টোপথে। আমাদের জমির সংকট আগামীতে আরো মারাত্মক হবে।
কৃষি জমির উপর চাপ বাড়বে। অসংখ্য নাগরিককের নিশ্চিত আবাসন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। ফ্ল্যাটের দাম বাড়ার পাশাপাশি মারাত্মকভাবে বাসা ভাড়া বাড়বে। বাসা ভাড়ার চাপ সামাল দিতে না পেরে অনেক নাগরিকেরই ঢাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। একই সাথে বাড়বে সাবলেট। ফলে নগর জীবন ব্যবস্থায় অসংখ্য জটিলতা তৈরি হবে এবং সংকটে পড়বে আবাসন খাত। আবাসন খাত সংকটে পড়লে সামগ্রিক অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রিহ্যাব বলছে, ইতোপূর্বে বিভিন্ন বিধিমালা প্রস্তুতের সময় তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এবার স্টেকহোল্ডার হিসেবে এই বিধিমালার খসড়া প্রণয়নে রিহ্যাবের লিখিত মতামত ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি।
“মূলত একতরফাভাবেই ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪ এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে, যা সত্যি অনভিপ্রেত।”
সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারের আইন ও বিধিসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রিহ্যাব সদস্যরা পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। রিহ্যাব সদস্যগণ বিভিন্ন ভবন তৈরি করে ঢাকা শহরের আবাসন সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। রিহ্যাব সদস্যগণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাস্তবসম্মত তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক জটিলতার সমাধানের মাধ্যমে প্রকল্প সম্পন্ন করে। বাস্তবায়ন পর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও কর্মপরিকল্পনা কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রকল্পের সমস্যা ও অসুবিধাসমূহ রিহ্যাব সদস্যরাই মোকাবেলা করে। এজন্য উক্ত বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে রিহ্যাব এর সুপারিশ ও মতামত গ্রহণ করা অতি আবশ্যক বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।