মহামারী-পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্যগুলোয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে জনসমাগম। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ওইসব এলাকার পরিবেশ ও আবাসনের ওপর। তাই পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি নিয়ে পুনরায় ভাবতে হচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ পর্যটন সুবিধা সীমিতকরণের নীতিও নিয়েছে, আগামীতে আরো সংকোচনের ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ইতালির ভেনিসে পর্যটকদের জন্য বিশেষ স্কিম চালু হয়েছে। এখানে গ্রীষ্মকালে বাড়তি ৫ ইউরো গুনতে হবে অতিথিদের। যদিও হোটেলে থাকা ব্যক্তিরা এ চার্জ থেকে অব্যাহতি পাবেন। সুযোগ সীমিত করে আনছে স্পেনের ক্যানারি আইল্যান্ডসও। সেখানকার স্থানীয়রা পর্যটকদের চাপে বিব্রত। হাওয়াইয়ের হাইকু স্টেয়ার্স যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র, যা তৈরি হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। পর্যটন সীমিত করা হচ্ছে সেখানেও।
বৈশ্বিকভাবে পরিচিতি পেরুর মাচুপিচু পর্যটকদের চাপের কারণে গত বছর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। পনের শতকে স্থাপনাটি তৈরি করেছিল ইনকারা। এখন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় পরিবেশের নিরাপত্তা ও ইতিহাস সংরক্ষণে গুরুত্ব দিচ্ছে। এশিয়ার পর্যটন আকর্ষণের অন্যতম জাপানের মাউন্ট ফুজি।
সম্প্রতি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই পর্যটন নীতিমালা কঠোর হবে। পর্যটনের মৌসুমে সারা বিশ্ব থেকে ফটোগ্রাফার ও পর্যটকদের আসার হার ক্রমেই বাড়ছে, যা স্থানীয়দের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে অতিথিদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কর্নওয়ালেও পর্যটকদের এখন থেকে বিশেষ ধরনের চার্জ দিতে হবে।
কর্নওয়ালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যালকন বেল বলেন, ‘এখন পর্যটকদের ওপর চার্জ আরোপ করার উৎকৃষ্ট সময়।’ সূত্র: স্কাই নিউজ।