কয়েক বছর ধরে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ও লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে নাজুক অবস্থায় মিসরের অর্থনীতি। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মতো পর্যটন নগরী গড়ার কৌশল বেছে নিয়েছে পিরামিডের দেশ।
নতুন পরিকল্পনা অনুসারে, ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় শহর রাস আল হেকমাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে যাচ্ছে মিশর। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ১৭ কোটি বর্গমিটার আয়তনের শহরটি সাজবে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বিনোদন কেন্দ্রে। বিলাসবহুল ইয়ট হতে যাচ্ছে এ পর্যটন গন্তব্যের অন্যতম আকর্ষণ।
আবাসন খাত ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঘিরে নেয়া হয়েছে বেশকিছু উদ্যোগ। সহজ যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে শহরটিকে পর্যটকদের ছুটির দিনের গন্তব্য বানাতে চায় বলে জানিয়েছে মিশর। আগামী বছর থেকে রাস আল হেকমার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হতে পারে। শহরটির উন্নয়নে মিশরকে পথ দেখিয়েছে এ খাতে অগ্রগামী প্রতিবেশী সংযুক্ত আবর আমিরাত (ইউএই)।
একাধিক প্রকল্প ঘিরে দুই দেশের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে সম্প্রতি। এরই মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দিয়েছে ইউএই। মিসরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা ৬০০ কোটি ডলারও স্থানীয় মুদ্রায় পরিবর্তনের চিন্তা করছে ইউএই। এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বর্ধিত ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
নির্মাণাধীন শহরকে ঘিরে আরো ১৫ হাজার কোটি ডলার বিদেশী বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখছে মিশর। আশা করা হচ্ছে, রাস আল হেকমার নির্মাণ শেষ হলে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশটির বেসরকারি খাত শক্তিশালী হবে। সূত্র: দ্য ন্যাশনাল নিউজ