হোটেল রুমের আরাম-আয়েশ থেকে বন্য প্রাণীদের ঘনিষ্ঠভাবে রোমাঞ্চকর হওয়ারই কথা। এ স্বপ্নপূরণে প্রধান বাধা নিরাপত্তা। সেই নিশ্চয়তা পুরোপুরি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।
দেশটির অনেক চিড়িয়াখানা গেট বন্ধ হওয়ার পরও সেখানে অতিথিদের থাকার অনুমতি দিচ্ছে। তাদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বাংলো, লজসহ নানা ধরনের অবকাঠামো।
এমন একটি স্থান হলো কুইন্সল্যান্ডের সানশাইন উপকূলে ক্রোকোডাইল হান্টার লজ। সেখানে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থলের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন। তাদের কক্ষের আশপাশে অবাধে ঘুরে বেড়ায় বন্য ক্যাঙারু, কোয়ালা বা ইমু। মেলবোর্নের কাছে ভেরিবি ওপেন রেঞ্জ চিড়িয়াখানা দিচ্ছে রাত্রিযাপনের সুযোগ।
সেখানে প্রতিদিন সকালে বারান্দা থেকে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন অতিথিরা। তাদের নিরাপত্তা দূরত্বে চলাচল করে গন্ডার ও জিরাফ। সিডনির তারঙ্গা চিড়িয়াখানায় রয়েছে ক্যাম্পিং সাইট। যেখানে অতিথিরা সাফারি স্টাইলের তাঁবুতে রাত্রিযাপন করেন এবং চিড়িয়াখানার ঘেরের মধ্যে থাকা নিশাচর প্রাণীদের পর্যবেক্ষণের সুযোগ পান। অবশ্য রাজধানী ক্যানবেরার ন্যাশনাল জু অ্যান্ড অ্যাকুয়ারিয়াম পর্যটনের নতুন এ ধারণাকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
এখানে জামালা ওয়াইল্ডলাইফ লজে ১৮টি বিলাসবহুল বাংলো ও ট্রি হাউজ, যার সবই চিড়িয়াখানার ৪৭ হেক্টর জমিতে অবস্থিত। এ চিড়িয়াখানার লবিথেকে শুরু করে প্রতিটি কক্ষ আফ্রিকান মোটিফ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ আবাসনে অতিথিরা এশিয়া ও আফ্রিকার সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ও বিপন্ন প্রাণীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাক্ষাতের সুযোগ পান।
সিডনি থেকে বেড়াতে আসা ওয়াল্টার ও মিশেল দম্পতি বলে, সিংহের সঙ্গে থাকার অভিজ্ঞতা একটু ভীতিকর কিন্তু খুব উত্তেজনাপূর্ণ।
এ দম্পতি ভোর ৪টায় জানালায় সিংহীর গর্জন ও থাবার শব্দে জেগে ওঠার বর্ণনা দেয়। জিরাফ ট্রি হাউজে থাকা অতিথিরা তাদের বারান্দা থেকে লম্বা গলার প্রাণীদের গাজর ও পাতা খাওয়ানোর সুযোগ পেয়েছেন বলেও জানান। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া ও জামালা ওয়াইল্ডলাইফ লজ।