সর্বজনীন পেনশন স্কিম থেকে আসা আয় পুরোপুরি করমুক্ত থাকবে। এমনকি বিভিন্ন ধরনের পেনশন স্কিমে যে অর্থ জমা রাখা হবে, এ জন্য আপনি বছর শেষে কর রেয়াতও পাবেন।
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া অর্থ আইনের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আয়কে করমুক্ত রাখা হয়েছে। অবশ্য গত নভেম্বর মাসেই প্রজ্ঞাপন জারি করে পেনশন স্কিমের আয় করমুক্ত রাখা হয়। সেটাকেই এখন অর্থ আইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে বিনিয়োগজনিত কর রেয়াতের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোনো করদাতা প্রতি মাসে নিজের পেনশন স্কিমে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিলে তা বছর শেষে বিনিয়োগ হিসেবে দেখাতে পারবেন। এ জন্য প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া যাবে।
নিয়ম হলো, একজন করদাতা তাঁর বছরের পুরো আয়ের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। এই সুবিধার আওতায় বিনিয়োগের ১৫ শতাংশ পরিমাণ অর্থ করছাড় মিলবে। তবে করছাড়ের পরিমাণ কোনোভাবেই ১০ লাখের বেশি হবে না।
গত বছর প্রথমবারের মতো সরকার চারটি আলাদা কর্মসূচির (স্কিম) মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে। গত বছরের ১৭ আগস্ট এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্কিমগুলো হচ্ছে প্রগতি, সুরক্ষা, প্রবাস ও সমতা। প্রগতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীদের জন্য; সমতা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য; প্রবাস শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য; আর সুরক্ষা রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য।
গতকাল সোমবার স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রত্যয় নামে আরেকটি পেনশন স্কিম চালু হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন কর্মসূচি চালু হবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলমান চার কর্মসূচিতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৩ জন গ্রাহক হয়েছেন, যার বিপরীতে জমা পড়েছে ৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে ট্রেজারি বন্ডে।