গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাসাবাড়িতে পাইপলাইনে আর গ্যাস দেওয়া হবে না। গ্যাস যা পাওয়া যাবে তা শিল্পায়ন, সার কারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে।
শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মাঠে তাঁকে দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উবায়দুল মোকতাদির।
পাইপলাইনের গ্যাস আর সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার একই বলে মন্তব্য করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘পার্থক্য শুধু দামে। আর তো কিছু না। ঘরে ঘরে আমরা গ্যাস দিয়ে দিয়েছি। সিলিন্ডার কেনেন এবং ঘরে গ্যাস ব্যবহার করেন। কোনো অসুবিধা নেই। ভবিষ্যতে গ্যাস যা পাওয়া যাবে, তা আমরা শিল্পায়নের জন্য ব্যবহার করব, সার তৈরি করার কাজে ব্যবহার করব। সার আমাদের দরকার। সার ছাড়া আমরা কৃষির মানুষ একদিনও চলতে পারব না। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করব। বিদ্যুৎ আমাদের দরকার। বিদ্যুৎ ছাড়া মানুষ চলতে পারে না।’
বাংলাদেশের মতো বিশ্বের কোনো দেশে গ্যাসের এত সংযোগ নেই বলে দাবি করেন মন্ত্রী। উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে এভাবে গ্যাস–সংযোগ নাই। আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম আপনার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব অনেকেই থাকে দেশ-বিদেশে। সৌদি আরবে গ্যাস পাওয়া যায়, কিন্তু গ্যাস–সংযোগ নাই, সব সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়।’
গণসংর্বধনায় নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উবায়দুল মোকতাদির। বিজয়নগরকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দেন তিনি। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আমার জন্য অবদান রেখেছেন, আমাকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তার ঋণ কোনো দিন শোধ করতে পারব না। গত নির্বাচনে আমাদের অপশক্তির মোকাবিলা করে এগোতে হয়েছে। সেখানে আপনাদের অবদান কখনো ভোলার নয়।’
বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন গণপূর্তমন্ত্রীর সহধর্মিণী ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মৃধা।
আলোচনা সভার আগে বিকেলে গণপূর্তমন্ত্রীর হাতে দলের নেতারা ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্টসহ বিভিন্ন উপহারসামগ্রী তুলে দেন। মাগরিবের পর থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় গান গেয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।