আবাসন খাতে স্থানীয়দের আকর্ষণ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট (ডিএলডি)। এজন্য প্রাথমিকভাবে নয়টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সংস্থাটি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১০-১৫ শতাংশ আবাসন ইউনিট বিক্রি করার সুযোগ পাবে আমিরাতি ব্রোকাররা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চুক্তিবদ্ধ নয়টি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এমার, এক্সপো দুবাই, দিয়ার, দামাক, আজিজি, এমএজি, সোবহা রিয়ালটি, এলিংটন প্রোপারটিজ ও আল বাইত আল দুয়াইলি রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্ট। এর মধ্য দিয়ে আবাসন খাতে আমিরাতি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে বলেও উল্লেখ করা হয়।
ডিএলডির ভাষ্যানুসারে, চুক্তিটি হয়েছে মূলত আমিরাতি পেশাজীবীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও খাতটিতে সহযোগিতা করার জন্য। ডিএলডির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মারওয়ান বিন গালিতা বলেন, ‘আমরা রিয়েল এস্টেট অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দারুণভাবে উৎসাহী। আশা করি এর মধ্য দিয়ে দুর্দান্ত ফল বের হয়ে আসবে। এ উদ্যোগ আবাসন খাতে দুবাইকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
কভিড-১৯ মহামারীর সময় দুবাইয়ে আবাসন খাতে শ্লথতা দেখা দিলেও তা দ্রুত পুনরুদ্ধার ঘটেছে। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের উচ্চ মূল্য ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কারণে পুনরুদ্ধার ঘটেছে খাতটিতে। ২০২৩ সালে দুবাইয়ের আবাসন খাতের লেনদেন বেড়েছে ১৭ শতাংশ। বিনিয়োগ, মর্টগেজ ও বিক্রি চুক্তিও ছিল আগের তুলনায় বেশি। গত বছর আবাসন খাতে চুক্তির মোট আকার ছিল ১৭ হাজার ২৬০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
জ্বালানি তেল-বহির্ভূত খাতে অর্থনীতি সম্প্রসারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কাজ করে যাচ্ছে ইউএই। ভিসা, কর ও লাইসেন্স সুবিধা পেয়ে দেশটি এখন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে আবাসন খাত ক্রমেই প্রসারণমান। অভিযোগ রয়েছে ইউএইর দেয়া সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দেশের অর্থ অবৈধ পথে দুবাই ও আবুধাবির মতো শহরে বিনিয়োগ হচ্ছে।
বিদেশী বিনিয়োগ ও পেশাজীবীদের আকর্ষণের পাশাপাশি স্থানীয়দের নতুন নতুন ব্যবসায় যুক্ত করছে ইউএই কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিএলডি আরো কিছু ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করবে। যেন আবাসন খাতে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো আরো বেশি আমিরাতিকে কাজে লাগায়। তাছাড়া এর মধ্য দিয়ে অনেক আমিরাতির জন্য কর্মসংস্থানের সুবিধাও হবে। সূত্র: দ্য ন্যাশনাল নিউজ।