স্মার্ট হোম
রান্নাঘরের কর্নার স্পেস ব্যবহারের ১০ স্মার্ট উপায়
রান্নাঘরে মৃত কোণার স্থানটি একটি দরকারী স্থানে পরিণত করা যেতে পারে। কিছু রান্নাঘর ছোট, এটি যে কোনও উপলভ্য স্থান ব্যবহার করা অপরিহার্য করে তোলে। কোণার জায়গাটি কাজে লাগানোর জন্য বেশ কিছু কাজ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তাকটি ইনস্টল করার পরে স্থানটি স্টোরেজ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি কোণার জানালা ইনস্টল করা আরেকটি দুর্দান্ত ধারণা যাতে আপনি রান্নাঘরে বাইরে সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার সময় কাজ করতে পারেন। ধোঁয়া খুব বেশি হলে জানালা আপনার রান্নাঘরে অতিরিক্ত বায়ুচলাচল হিসাবে কাজ করে। রান্নাঘরে মৃত কোণার স্থান ব্যবহার করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। চেষ্টা করার জন্য এখানে কিছু আকর্ষণীয় ধারণা রয়েছে:
1. মসৃণ ভাসমান তাক ইনস্টল করুন
কোণার স্থানটি ভাসমান তাকগুলি সামঞ্জস্য করতে পারে। তাকগুলি আকর্ষণীয় ডিজাইনে আসে যা কোণার স্থানটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে অবদান রাখে। ছোট জায়গা অনেক আইটেম মিটমাট করতে পারে এবং রান্নাঘরকে সাজিয়ে রাখতে পারে যদি সঠিক তাক লাগানো যায়। উপলব্ধ বিভিন্ন নকশা বাড়ির মালিকদের নমনীয়তা নিশ্চিত করে কারণ তারা বিভিন্ন ধরণের তাক বেছে নেয়। ভাসমান তাক বাজারে সাধারণ নয়। ধারণাটি নিয়ে আসা এবং আপনার বাড়িতে এটি বাস্তবায়ন করা বাড়িটিকে অনন্য এবং আকর্ষণীয় করে তোলে। ঘূর্ণায়মান ঘুড়ি ভাসমান তাকের জায়গায়ও কাজ করতে পারে।
2. একটি প্যান্ট্রি ইনস্টল করুন
রান্নাঘরের কোণার মান বাড়তে পারে যদি আপনি এটিকে প্যান্ট্রিতে পরিণত করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা নিয়োগ করুন যারা প্যান্ট্রিগুলি কীভাবে ইনস্টল করতে হয় তা জানে এবং তারা স্থানটিকে একটি কার্যকরী, কাজের জায়গায় স্থানান্তরিত করার জন্য দুর্দান্ত ধারণা নিয়ে আসবে। প্যান্ট্রি রান্নাঘরে রঙ যোগ করে, এটি অনন্য এবং আকর্ষণীয় দেখায়। কোণার প্যান্ট্রিগুলি রান্নাঘরের বিভিন্ন কোণের চাহিদা মেটাতে কাস্টম তৈরি করা যেতে পারে। প্যান্ট্রি আরও জিনিসপত্র মিটমাট করতে দেয়াল প্রসারিত করতে পারে।
3. একটি ক্লাসিক কোণার সিঙ্ক প্রবর্তন
রান্নাঘর একটু ছোট হলে কোণার জায়গা ব্যবহার করা অপরিহার্য। একটি ক্লাসিক কোণার রান্নাঘরের সিংক কাউন্টারটপকে মুক্ত করবে কারণ রান্নাঘরে কাজ করার সময় কিছু জিনিস সিঙ্কে প্রয়োগ করা যেতে পারে। কোণার চামড়াগুলি ডিজাইনের বিস্তৃত পরিসরে আসে। চারপাশে কেনাকাটা করা এবং নিখুঁত নকশা পাওয়া অপরিহার্য। আদর্শ নকশা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রান্নাঘরের আকৃতি এবং আকার গুরুত্বপূর্ণ হবে।
4. একটি কর্নার রেঞ্জ আছে
কিছু রেঞ্জ ছোট ছোট জায়গায় ফিট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আপনি কোণার জায়গায় একটি পরিসীমা প্রবর্তন করতে পারেন এবং রান্নাঘরে আরও জায়গা খালি করতে পারেন। কোণের কাছাকাছি জানালাগুলি বায়ুচলাচল হিসাবে কাজ করবে। নিশ্চিত করুন যে কোণার পরিসরটি পুরোপুরি ইনস্টল করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এটি রান্নাঘরের সাধারণ আবেদন উন্নত করতে অবদান রাখবে। রান্নার সময় মানুষ কাজ করতে বেশি জায়গা পছন্দ করে। কোণার স্থান ব্যবহার করা আরও জায়গা বাঁচাতে অবদান রাখে।
5. একটি সুন্দর ভোজ প্রবর্তন
এটি কোণার জায়গাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলার একটি দুর্দান্ত উপায়। ভোজের বুথের সঠিক মাপ ভালভাবে চয়ন করুন যাতে এটি স্থানটি ভালভাবে ফিট করতে পারে। আপনি অন্যান্য আইটেম যেমন একটি চেয়ার, কোণার বেঞ্চ, বা একটি ছোট টেবিল স্থান চালু করতে পারেন যাতে জায়গাটি সুন্দর দেখায়। কোণার স্থানটি যেভাবে ব্যবহার করা হয় তা অনন্য এবং আকর্ষণীয় থাকার ক্ষেত্রে অবদান রাখে। স্থানকে আকর্ষণীয় এবং ট্রেন্ডি রাখতে ভোজের আকর্ষণীয় নকশার সন্ধান করুন।
6. সমৃদ্ধ সামাজিক কেন্দ্র
রান্নাঘরের কোণটি একটি সামাজিক হাবে রূপান্তরিত হতে পারে। একটি আরামদায়ক বেঞ্চ চালু করুন যেখানে লোকেরা আরাম করতে পারে। রান্না করার সময় কখনও কখনও দম্পতিদের একে অপরের সঙ্গ প্রয়োজন হয়। কোণার বেঞ্চ দম্পতির জন্য বিশ্রামের জন্য নিখুঁত জায়গা তৈরি করতে পারে কারণ তারা একে অপরকে বিভিন্ন ধরণের খাবার রান্না করতে সহায়তা করে। যারা দুর্বল দলগুলিকে ভালবাসে তারা রান্নাঘরের মৃত কোণার স্থানটি হোম বারে রূপান্তর করতে পারে।
7. কর্নার অগ্নিকুণ্ড
ঘর গরম করার জন্য আপনি রান্নাঘরে একটি অগ্নিকুণ্ড রাখতে পারেন। রান্নাঘরের কোণায় স্থান কখনও কখনও অব্যবহৃত রাখা যেতে পারে, কিন্তু একটি অগ্নিকুণ্ড চালু করা কাজ করতে পারে। রান্নাঘরে ইতিমধ্যেই অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। রান্নাঘরে একটি অগ্নিকুণ্ড থাকা এটির জন্য নিরাপদ উপায় হতে পারে। কোণার অগ্নিকুণ্ড রান্নাঘরকে আলাদা করে তোলে কারণ এটি একটি সাধারণ ধারণা নয়। আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্য যান যা রান্নাঘরের স্থানকে আকর্ষণীয় রাখবে।
8. একটি কোণার উইন্ডো ইনস্টল করুন
কোণার জানালা লাগিয়ে একঘেয়েমি কাটান। রান্নাঘরের সময় জানালা আপনাকে বাইরে কী ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করতে দেয়। পাখিদের কাছ থেকে সুন্দর শব্দ এবং রান্নার সময় পাখির আকর্ষণীয় দৃশ্য মেজাজকে উন্নত করতে পারে। কোণার রান্নাঘরের জানালা খুললে শেফরা খাবার রান্না করার সময় বাইরের সতেজতা উপভোগ করতে পারবেন। রান্না করার সময় রান্নাঘরকে প্রফুল্ল আবেদন দেওয়ার এটি একটি ট্রেন্ডি উপায়। রান্নাঘরটি কাজ করার জন্য একটি আকর্ষণীয় জায়গা হওয়া উচিত, কোণার জানালাটি মেজাজ উত্তোলনে বিস্ময়কর কাজ করে।
9. ডাইনিং স্পেস
যাদের ছোট ঘর আছে তাদের জন্য কোণার জানালার নীচে খাওয়ার জায়গা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ছোট পরিবারগুলি বিশ্রাম নিতে পারে এবং কোণার অংশগুলি এবং খাবার উপভোগ করতে পারে। এটি একটি স্পেস-সেভিং সলিউশন যা ভাল কাজ করে যদি সঠিক পদক্ষেপগুলি সঠিক ডাইনিং টেবিল এবং চেয়ারের পরিচয় দেয়। নিশ্চিত করুন যে চেয়ারগুলি জায়গার জন্য ছোট। গোলাকার টেবিলগুলি যা মসৃণ ঘাঁটিগুলির সাথে আসে কোণার স্থানটিকে ডাইনিং এলাকা হিসাবে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।
10. স্টোরেজ ইউনিট ইনস্টল করুন
স্থানটি নিখুঁত স্টোরেজ ইউনিট হিসাবে কাজ করতে পারে। বেশ কিছু জিনিস আছে যা মানুষ রান্নাঘরে রাখার সময় পছন্দ করে। একটি স্টোরেজ ইউনিট স্থাপন করা মানুষের পক্ষে রান্নাঘরকে সুসংহত রাখার জন্য সর্বোত্তম ফলাফল পাওয়া সম্ভব করে তোলে। ড্রয়ারের কিছু নকশা যা কোণার বিভাগে চালু করা যেতে পারে যাতে এটি অনন্য থাকে কোণার ড্রয়ারগুলি যা অতিরিক্ত স্থান দিতে পারে। স্টোরেজ সলিউশনের জন্য ডিজাইনের বিস্তৃত পরিসর রয়েছে; স্টোরেজ সমাধানের জন্য যান যা কোণার স্থানটি ভালভাবে ফিট করতে পারে। একজন কর্নার আয়োজক স্টোরেজ ইউনিট হিসেবেও কাজ করতে পারে।
রান্নাঘরে মৃত কোণার জায়গা ব্যবহারযোগ্য করার জন্য উপরের কৌশলগুলি প্রয়োগ করা যেতে পারে। অনেক বাড়ি স্থান উপেক্ষা করে। এটি রান্নাঘরকে অনন্য দেখানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। সেরা হোম রিমডেলিং বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করা আপনাকে দুর্দান্ত ফলাফলের আশ্বাস দেয়। রান্নাঘরকে পুনরায় সাজানোর চেষ্টা করার সময় নিখুঁত সমাধান পেতে বেশ কয়েকটি ধারণা ব্যবহার করা যেতে পারে।
নির্বাচিত প্রতিবেদন
আধুনিক রান্নাঘর সাজানোর ১০ উপায়
সৌন্দর্য বরাবরই মানুষের নান্দনিক আনন্দের ধারক হিসেবে পরিচিত হয়ে এসেছে। কারণ সকলেই ছিম-ছাম গোছানো জিনিস পছন্দ করে। আবার এই সৌন্দর্যের সাথে রুচিবোধের মিশেলের মাধ্যমে মানুষ সৌখিন হয়ে উঠে।
যদিও সৌখিন বলতে আমরা ব্যাক্তির পরিপাটি থাকা এবং তার বাহ্যিক অবস্থাকে বোঝাই। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে একজন সৈখিন ব্যক্তি নিজের পাশাপাশি তার আশপাশের পরিবেশ ও বাসস্থানকেও নান্দনিকভাবে সাজাতে পছন্দ করে।
বাসস্থান সাজানোর ক্ষেত্রে প্রায় সকলের আগ্রহ থাকে শোবার ঘর, খাবার ঘর কিংবা বসার ঘরের প্রতি। কিন্তু বাসার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রান্নাঘরের প্রতি মানুষের তেমন খেয়াল থাকেনা বললেই চলে।
বলা বাহুল্য যে, একটি গৃহের মধ্যে অন্যান্য রুমের চাইতে রান্নাঘর কোন অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়। রান্নাঘরকে বাড়ির যতটা অবহেলিত জায়গা মনে করা হয়, বিষয়টি একদমই তা নয় বরং সাজানোর বা ডেকোরেশনের জন্য সবার আগে সকলের রান্নাঘরের কথাই বিবেচনা করা উচিত।
যেহেতু আমাদের বাড়ির গৃহিণীরা দিনের অধিকাংশ সময় রান্নাঘরে কাটিয়ে দেয়, এই বিবেচনাবোধ থেকে হলেও আমাদের উচিত রান্নাঘরকে তাদের জন্য আরামদায়ক ও সুন্দরভাবে ভাবে সজ্জিত করা দেয়া।
আধুনিক রান্নাঘর সাজানোর ১০ টি উপায়
বর্তমান সময়ে রান্নাঘর ডেকোরেশন করা নিয়ে অনেকে তৎপর হলেও, বেশিরভার মানুষই ভাবেন যে রান্নাঘর সাজাতে অনেক বড় অংকের টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু, বাস্তবিকতা হলো, খুব সাশ্রয়ী বাজেটের মধ্যে আধুনিক ডিজাইনের রান্নাঘর সাজানো সম্ভব যা আপনার রান্নাঘরকে দুর্দান্ত সুন্দর করে তুলবে।
রান্নাঘরের লে আউট
রান্নাঘরের পরিবেশ মূলত জায়গার উপর নির্ভর করে। ছোট রান্নাঘরের জন্য প্যারালাল শেইপ বেশ মানানসই। তবে রান্নাঘর যদি বড় হয়, তাহলে তা ইংরেজি ইউ (U) অথবা এল (L) শেইপে রাখলে ভাল হবে। এতে হাটাচলার যথেস্ট স্পেস পাওয়া যাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্য অনুসারে কাজও করা যাবে।
লে আউট প্ল্যানিংয়ের সময় রান্নাঘরে বড় একটি জানালার থাকা অবশ্যক , কেননা বাংলাদেশ একটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। রান্নাঘরে যেহেতু আগুনের সাহায্যেই রান্নাবান্না করা হয় তাই এই রুমে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হবে এই স্বাভাবিক। আর এই তাপ বেরিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বড় জানালা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে রান্নাঘরের স্থান স্বল্পতা কারণে বড় জানালা ব্যবহার করা না গেলে, ছোট একটি ফ্যান এবং সাথে একটি এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। এতে রান্নাঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি রান্নাঘরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও সাবলীল হতে হবে।
রান্নাঘরের চিমনি
তেল মশলা মিশ্রিত রান্নার ধরনের কারনে আমাদের রান্নাঘরের দেয়ালে ও সিলিংয়ে তেল চিটচিটে ভাব বেশি থাকে। আবার এই কারনে রান্নাঘরে ধোঁয়া ও গন্ধ-দুটিই বেশি হয়।
তাই মসলার গন্ধ হোক বা তেল চিটচিটে ভাব-দুটি কমাতেই স্মার্ট রান্নাঘরে রাখা চাই কিচেন হুড বা চিমনি। আধুনিক সময়ে রান্নাঘরের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নানা নকশার স্টাইলিশ চিমনি।
এমন চিমনিতে তাই রান্নাঘরের সৌন্দর্যও বাড়ে। সঙ্গে রান্নাঘরে তৈরি হয় স্বস্তিকর পরিবেশ। বৈদ্যুতিক চিমনি বাজারে এখন বেশ জনপ্রিয়। এ ধরনের চিমনি ধোঁয়া ও তাপ টেনে নেয়। আধুনিক এই চিমনিতে থাকে এয়ার পিউরিফায়ার ও ফ্যান। বিদ্যুৎ বিলও আসে কম। মাঝারি আকারের চিমনি রান্নাঘরের কাউন্টার ছাদেও সহজে বসানো যায়।
রান্নাঘরের ক্যাবিনেট
বাংলাদেশে কিচেন ক্যাবিনেটের ব্যবহার করাটা এখনো বেশ নতুন একটা কনসেপ্ট। আজ থেকে ৫/৭ বছর আগেও মানুষজন বাড়ি তৈরির সময় রান্নাঘরে “তাক” এর ব্যবস্থা করত এবং সেই তাকের উপরই রান্নার সক তৈজসপত্র রাখত।
কিন্তু বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের মানুষের রুচিবোধের ব্যপক পরিবর্তন হয়েছে এবং এই পরিবর্তনের ধারার সাথেই ক্যাবিনেটের মাধ্যমে রান্নাঘরের তাক প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। রান্নাঘরে ক্যাবিনেটের মধ্যে সহজেই প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা যায় এবং আলাদা করে কিচেন র্যাক ব্যবহারের দরকার পড়েনা বলে অনেকখানি জায়গা সাশ্রয় হয়।
আপনি চাইলে আপনার বাসার জন্য কাস্টমাইজড ক্যাবিনেট তৈরী করে নিতে পারেন, যেখানে আপনার চাহিদা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য আলাদা সেকশন থাকবে। এছাড়া, হাতিলে রয়েছে মডিউল্যার কিচেন যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ অনুসারে যেকোন কিচেন ক্যাবিনেট স্টাইল সিলেক্ট করতে পারেন।
রান্নাঘরের দেয়াল
রান্নাঘরের দেয়াল হওয়া উচিত উজ্জ্বল রঙের। তাই উপরের সিলিং এবং পাশের দেয়ালে এমন রঙ ব্যবহার করা উচিত যা আলোর প্রতিফলন ঘটায়। ডেকোরেশনের ক্ষেত্রে কালার স্কিমের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই আপনি চাইলে তিনটি রঙের সমন্বয়ে একটি প্যালেট ব্যবহার করতে পারেন।
আবার রান্নাঘরের যদি দেয়াল ফাকা থাকে তবে সেখানে বিভিন্ন শোপিস প্লেট কিংবা কাচের ঢাকনি ব্যবহার করে কিচেন ওয়ালটিকে সাজিয়ে তুলতে পারেন। এতে করে আপনার সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে এবং আপনার রান্নাঘর অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি সুসজ্জিত বলে মনে হবে।
রান্নাঘরের মেঝে
রান্নাঘরের জন্য আইডিয়াল ফ্লোরিং ম্যাটেরিয়াল হলো সিরামিকের টাইলস। কারণ এতে দাগ লাগলে খুব সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এমনকি মেঝেটি দেখতেও খুব চকচকে লাগে। যারা সিরামিকের টাইলস ব্যবহার করতে পারবে না তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে বর্তমানে বাজারে বেশ কিছু ডিজাইনের ফ্লোর কভার পাওয়া যাচ্ছে এটিও বেশ চমৎকার কাজে আসে। আপনি যদি মেঝেতে চীনামাটির বাসন অর্থাৎ পোর্সেলিন স্টোনের কার্পেট ব্যবহার করেন তবে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকগুণ কম সময় লাগবে।
রান্নাঘরের লাইটিং
সাধারণত একটি ফ্ল্যাটের মাঝামাঝির দিকেই রান্নাঘর অবস্থিত হয়ে থাকে। তাই আশে পাশে খোলা মেলা না থাকার কারণে এই ঘরে আলোর ব্যবহার কম থাকে। আলোর উৎস হিসেবে অনেকে এক বা একাধিক লাইট ব্যবহার করে থাকেন। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই তা অপ্রতুল হিসেবে পরিগনিত হয়।
তাই রান্নাঘর সাজানো পরিকল্পনায় সঠিক বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। এছাড়াও কেবিনেট এর নিচে অথবা সিলিং এর অংশের লাইটিং করে সাজাতে পারেন। বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ডিজাইনের ঝাড়বাতি বা পেন্ডেন্ট লাইট পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ও ব্যবহার করতে পারেন। আলোকসজ্জা আপনার রান্নাঘরে আধুনিকতার ছোঁয়া এনে দেবে।
রান্নাঘরের ফার্নিচার
রান্নাঘরে আসবাবপত্র হওয়া উচিত প্রয়োজনমাফিক এবং যুক্তিসংগত, অর্থাৎ যা না হলেই নয় এ ধরনের আসবাব দিয়ে রান্নাঘর সাজানো উচিত, অতিরিক্ত আসবাবপত্রের কারণে রান্নাঘরকে অগোছালো দেখাতে পারে। অনেক জায়গা ও এতে নষ্ট হয় ফলে চলাচলের অসুবিধা সৃষ্টি হয়।
আসবাবপত্র রান্নাঘরে যত কম হবে, রান্নাঘরটি তত খোলামেলা থাকবে। চাইলে আপনার রান্না ঘরে সাদা রংয়ের আসবাবপত্র ব্যবহার করতে পারেন সাদা হল একটি ভিজ্যুয়াল স্পেস এক্সপেন্ডার যা আপনার রান্নাঘরকে আরও উজ্জ্বল এবং আরও শৌখিন করে তুলবে।
রান্নাঘরের স্টোরেজ
শুকনো ইনস্ট্যান্ট খাবার বা স্নাক্স রাখার জন্য আলাদা ড্রয়ার তৈরি করতে পারেন। বিস্কুট, নুডুলস, চিপস বা যে কোন স্নাক্স প্রায়শই অগোছালো অবস্থায় থাকে। আবার অনেক সময় খুঁজে পেতে সমস্যা হয়, তাই স্টোরেজের জন্য আলাদা জায়গা থাকলে জিনিসগুলো গোছানো থাকবে এবং সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যাবে।
রান্নাঘরের সাজসজ্জা
রান্নাঘরের সাজসজ্জায় পার্সোনাল টাচের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা আছে। যেমন রান্নাঘরে পেইন্টিং, বিভিন্ন ইনডোর প্ল্যান্ট, ইত্যাদি লাগাতে পারেন। আবার চাইলে রান্নাঘরে কফি মগ এবং শোপিস সাজিয়ে রাখার জন্য খোলা তাক ব্যবহার করতে পারেন।
অবশ্য অনেকের ধারণা মতে, খোলা তাকগুলোতে জিনিসপত্র রাখলে সেগুলো সহজেই এলোমেলো ও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। কিন্তু আপনি যদি সুন্দর পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখতে পারেন, এটি হতে পারে আপনার রান্নাঘরের অন্যতম আকর্ষণ।
রান্নাঘরের কাজের স্থান
আমাদের দেশের হোমমেকাররা প্রায় সারাদিনই রান্নাঘরে অতিবাহিত করেন। পুরো রান্নাঘর ঘুরে ঘুরে কাজ করতে তারা একদিকে যেমন দিন শেষে ক্লান্তিও অনুভব করেন। আবার অন্যদিকে পরিষ্কার করার ঝামেলাও এতে বেড়ে যায়।
এই ঝামেলা থেকে মুক্তির জন্য আপনার রান্নাঘরে একটি নির্দিষ্ট অংশ রাখতে পারেন যেখানে রান্না ঘরের যাবতীয় কাজ যেমন সবজি, মাছ কাটা বা বাছার কাজ করা যাবে। চেস্টা করবেন এই জায়গাটা যেন কিচেন সিংকের পাশে হয় তাহলে সহজেই ধোয়ার কাজও করতে পারবেন। এই কাজের স্থান রান্নাঘরের একটা কোনার দিকে রাখার চেস্টা করুন, তা না হলে কাজ করার সময় ময়লা পুরো রান্নাঘরেই ছড়িয়ে যেতে পারে।
আপনার রান্নাঘরের ডিজাইন পরিকল্পনা করার সময় এই সামগ্রিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে তারপর ডিজাইনিং করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। খেয়াল রাখবেন, রান্নাঘর ছোট হোক কিংবা বড়, সব কিছু সাজানো গুছানো রাখলে পুরো রান্নাঘর জুড়ে সব কিছুর মধ্যেই সৌন্দর্যের আবির্ভাব ঘটানো সম্ভব।
পরিপাটি, ছিমছাম এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এর সুব্যবস্থা আছে এমন একটি রান্নাঘর দেখতে ও ভীষণ নান্দনিক লাগে। তাই দেরি না করে সাশ্রয়ী বাজেটে নতুন করে সাজিয়ে তুলুন আপনার বাড়ির রান্নাঘরটা। নিজের সৌখিনতা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটান সৌন্দর্যের বিকাশের মাধ্যমে।
লেখক: কাজি মোহাম্মদ আরাফাত রহমান
নির্বাচিত প্রতিবেদন
অল্প টাকাতেই করুন ঘরের দেওয়ালসজ্জা
কারও বাড়িতে ঢুকে প্রথমেই নজরে আসে দেওয়ালের সাজগোজ। দেওয়ালের রং, সাজের উপর নির্ভর করে ঘরের শোভা। নামি-দামি সংস্থার আসবাবপত্র, কার্পেট, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ঝারবাতি-সবই ফিকে হয়ে যায় দেওয়ালসজ্জা ঠিক না হলে।
ঘরকে নজরকাড়া করতে হলে দেওয়ালের রং বাছাই থেকে দেওয়াল সাজানোর প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ে খুব মন দিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। ঘরের সাজে বৈচিত্র আনতে হলে দেওয়ালের সাজসজ্জায় পরিবর্তন করতে হবে সবার আগে।
প্রতিটি ঘরের দেওয়ালের সাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখাও জরুরি। কী ভাবে দেওয়ালে কারসাজি করে ঘরের ভোল বদলে দিতে পারেন, রইল কিছু টিপস।
১. জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোকে ফ্রেমবন্দি করে সাজিয়ে তুলতে পারেন ঘর। শোয়ার ঘর হোক কিংবা বসার ঘরের কোনের দেওয়ালটি-পছন্দের বেশ কিছু ছবি ফ্রেম করিয়ে ঝুলিয়ে দিন দেওয়ালে। তবে মনে রাখবেন, ফ্রেমগুলোর মাপ যেন একে অপরের থেকে আলাদা হয়।
২. আয়না হল এমনই এক ঘর সাজানোর উপকরণ, যা দিয়ে খুব সহজেই ঘরের রূপ বদলে ফেলা যায়। সেকেলে ডিজাইন থেকে আধুনিক কায়দা-পছন্দ মাফিক কিনে নিতে পারেন নানা রকমের আয়না। শোভা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেওয়ালসজ্জায় আয়না ব্যবহার করলে ছোট ঘরও বড় দেখায়।
৩. ওয়াল পেপার দিয়ে দেওয়াল সাজানোর চল নতুন নয়। তবে এখন বাজারে ওয়াল পেপার পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের। দেওয়ালের আকৃতি এবং ঘরের সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়াল পেপার বাছাই করে ফেলতে পারেন। বসার ঘরে একটি দেওয়াল বেছে নিয়ে সেঁটে দিতে পারেন ওয়াল পেপার, ঘরের সাজে বদল আনতে এই একটা টোটকাই যথেষ্ট।
৪. বাজারে এখন অনেক ধরনের ওয়াল স্টিকার পাওয়া যায়। দেওয়ালসজ্জার জন্য সেরকম স্টিকারও কিনে ফেলতে পারেন। তবে সেই সব স্টিকার পরে তুলতে গিয়ে দেওয়ালের ক্ষতি হবে কি না আগে থেকে তা যাচাই করে নিন।
৫. দেওয়াল জুড়ে ছোট-বড়-মাঝারি মাপের তাক করিয়ে নিতে পারেন। সেই সব তাকে বাড়ির খুদের হাতের তৈরি কোনও ছবির ফ্রেম রাখতে পারেন। পছন্দের শোপিস, মোমদানি কিংবা গাছও রাখতে পারেন।
-
বিবিধ2 years agoবাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন1 year agoরিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ2 months agoরাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আইন-কানুন2 months agoদলিলে লেখা এসব শব্দের অর্থ জেনে রাখুন, নাহলে পড়তে পারেন আইনি জটিলতায়
-
আবাসন সংবাদ2 months agoসীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আইন-কানুন2 years agoরিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ2 months agoপ্রিমিয়াম হোল্ডিংয়ের বর্ষপূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী একক আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত
-
আবাসন সংবাদ2 months agoআবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

