মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সম্প্রতি বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া। আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি এসব উদ্যোগের মাঝে রয়েছে সহজ শর্তে ভিসাদান ও পর্যটনবান্ধব প্রচারণা।
বর্তমানে কলম্বিয়ার এ খাতে শীর্ষ অবদান রাখে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর ভ্রমণকারীরা। কিন্তু খাত সম্প্রসারণে অন্যান্য দেশ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি।
সম্প্রতি বোগোতার ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আন্দ্রেয়াস সান্তামারিয়া জানান, কিছু দেশে ভিসা নীতি সহজ করার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তারা। উদাহরণ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য ও চীনের নাম বলেন তিনি। ২০২৩ সালের ২০ লাখ আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী পেয়েছে কলম্বিয়া। চলতি বছর তা ৩০ লাখে উন্নীত করতে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান আন্দ্রেয়াস সান্তামারিয়া। এ কারণে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে দেশটিতে পর্যটনকেন্দ্রিক প্রচার বাড়ছে।
বোগোতার এল ডোরাডো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বার্ষিক চার কোটি যাত্রীকে পরিষেবা দিয়ে থাকে। পর্যটন বোর্ড চাইছে যাত্রীরা যেন শুধু ট্রানজিট হিসেবে নয়, শহরটিকে দেখার জন্যও এখানে যাত্রাবিরতি করে। মেক্সিকো সিটি ও ব্রাজিলের সাও পাওলো বিমানবন্দরের পর এটি লাতিন আমেরিকার তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
আন্দ্রেয়াস সান্তামারিয়ার মতে, দুবাই ও কাতারকে যাত্রীরা শুধু ট্রানজিটের জন্য ব্যবহার করেন না। পর্যটনের দিক থেকে শহর দুটির গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। কলম্বিয়াও সে সুবিধা নিতে চাইছে। চলতি মাসের শুরুতে মিয়ামি হয়ে দুবাই-বোগোতা রুটে নতুন ফ্লাইট চালু করেছে এমিরেটস এয়ারলাইনস। একই সময়ে কলম্বিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ৯০ দিনের ভিসামুক্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অন্য অঞ্চলেও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্য বোগোতার। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস ও চীনের এয়ার চায়নার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কলম্বিয়া। সূত্র: দ্য ন্যাশনাল ও রয়টার্স