ভূমি অফিসসমূহের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম দূরীকরণের জন্য বিনা হয়রানি ও দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমিসেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।
তিনি বলেন, ভূমি অফিসসমূহের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম দূরীকরণের জন্য বিনা হয়রানি ও দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমিসেবা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূমি সংক্রান্ত সেবাসমূহ ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৮ বিভাগের ১৬টি জেলার ৩২টি উপজেলায় ও ৬৪ ইউনিয়ন ভূমি অফিস কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ই-নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, ই-পর্চা, কেস ম্যানেজমেন্ট সিন্টেম, অনলাইনে জলমহাল ইজারা, ডাকযোগে খতিয়ান, পর্চা ও ম্যাপ দ্রুত সময়ে প্রদান করা হচ্ছে। তাই নাগরিক ঘরে বসে ১৬১২২ নম্বরে কল করে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা অনলাইনে তার কাঙ্ক্ষিত ভূমিসেবা পাচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রতিটি উপজেলায় জনসচেতনতার লক্ষ্যে সিটিজেন চার্টার স্থাপন করা হয়েছে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে বিভাগীয় মামলার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের এবং বিভিন্ন সময়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপজেলা ভূমি অফিস-রাজস্ব সার্কেল অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অনিয়মের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির পরামর্শ দেওয়া হয়। উপজেলা পর্যায়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়মিত নিবিড়ভাবে ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসক সপ্তাহে একদিন গণশুনানীকালে ভূমি অফিসসমূহের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম জানতে পারলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।