জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ছোঁয়া লেগেছে পর্যটন খাতেও। ডিজিটাল মাধ্যম ও বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সাম্প্রতিক ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলো থেকে শীতপ্রধান অঞ্চলে ভ্রমণের চাহিদা বেড়েছে।
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলে আজকাল ‘কুলার হলিডে’ কি-ওয়ার্ড বেশ জনপ্রিয়। সর্বশেষ ১২ মাসে এ কি-ওয়ার্ডে খোঁজার প্রবণতা শতভাগ বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিলাসী ট্রাভেল নেটওয়ার্ক ভার্চুসো জানিয়েছে, তাদের ৮২ শতাংশ গ্রাহক শীতল কোনো গন্তব্যে ছুটি কাটানোর কথা বিবেচনা করছে। গরম থেকে বাঁচার জন্য ভ্রমণের নতুন এ প্রবণতাকে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে ‘কুলকেশনস’ বলা হচ্ছে। এ কারণে থাইল্যান্ড বা বালির মতো গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের বদলে অনেক দর্শনার্থী আলাস্কা, নরওয়ে বা কানাডায় যেতে উদগ্রীব। নতুন এ প্রবণতায় পর্যটকরা এমন কিছু অভিজ্ঞতা লাভ করে, যা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে সম্ভব নয়।
এসব স্থানে স্কিইং বা তিমি দেখার মতো অভিজ্ঞতা পায় তারা। তবে যারা দূরের এসব দেশে যেতে পারে না, তারা কাছের শীতল গন্তব্যগুলো বেছে নিচ্ছে। যেমন জাপানের পাবর্ত্য অঞ্চল এখন অনেক এশীয়র কাছে আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত হচ্ছে। অনেকের কাছে শীতপ্রধান অঞ্চলের গ্রীষ্মও আকর্ষণীয়। যেমন নরওয়ের রাজধানী অসলোর জনপ্রিয়তার কারণ হলো দিনের ব্যতিক্রমী দৈর্ঘ্য। জুলাইয়ে এ অঞ্চলে ১৯ ঘণ্টা সূর্যালোক পাওয়া যায়। এ কারণে ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও হয় দীর্ঘ। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া ও ভিজিট নরওয়ে