ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রভাবে সব খাতেই বাধার সম্মুখীন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আবাসন খাতও প্রবৃদ্ধি হারাচ্ছে। বাড়ির দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছানোর কারণে জুন মাসে দেশটিতে বাড়ি বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সামগ্রিকভাবে যা দেশটির আবাসন খাতের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাজার সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা সরবরাহের উন্নতি এবং বন্ধকি হারের নিম্নমুখী হার সামনের মাসগুলোতে এ অবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারে।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটরস টানা চার মাস ধরে বাড়ি বিক্রির নিম্নহারের বিষয়টি প্রকাশ করেছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী পুনরুদ্ধারে আবাসন খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে পিছিয়ে গেছে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ন্যান্সি ভ্যানডেন হাউটেন বলেন, বাড়ির রেকর্ড উচ্চমূল্য ও বন্ধকি হারের কারণে জুন মাসের বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ফেডারেল রিজার্ভ সুদ হার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রভাবে বন্ধকি হারও কমবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাড়ি বিক্রির হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।’
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি বিক্রি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৩৮ লাখ ৯০ হাজার ইউনিটে পৌঁছেছে, যা গত ডিসেম্বরের তুলনায় সবচেয়ে কম। যেখানে রয়টার্সের জরিপে অংশ নেয়া অর্থনীতিবিদরা ৪০ লাখ ইউনিট বিক্রি কমার পূর্বানুমান দিয়েছিলেন।
মধ্যম পর্যায়ের বাড়ির দাম আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ ডলারে পৌঁছেছে। দেশটির আবাসন খাতের একটি বড় অংশ বাড়ি পুনঃবিক্রির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বছরওয়ারি হিসেবে জুনে পুনঃবিক্রি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে কম দামি বাড়ি নির্মাণ হারও অনেকটাই কমেছে।
গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে মার্কিন আবাসন প্রশাসন জানায়, ছোট পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণের হার জুনে আট মাসের সর্বনিম্নে চলে এসেছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়ার হারও বছরওয়ারি হিসেবে কমে এসেছে।