ন্যায়পরায়ণতা ও ন্যায্যতার নীতির উপর ভিত্তি করে নাগরিক এবং সরকারি উভয় স্বার্থ সংরক্ষণ করা অপরিহার্য মন্তব্য করে ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ন্যায্যতার উপর ভিত্তি করে ভূমিসেবা দিতে এসিল্যান্ডদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর কাঁটাবনে অবস্থিত ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (এলএটিসি) ‘স্মার্ট ভূমিসেবার টার্গেট পূরণে সহকারী কমিশনার (ভূমি)গণের করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। এসময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘ভারপ্রাপ্ত সচিব’ অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং এলএটিসি পরিচালক মোঃ আরিফ সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী এসময় আরও উল্লেখ করেন, ন্যায়পরায়ণতা ও ন্যায্যতার নীতির উপর ভিত্তি করে নাগরিক এবং সরকারি উভয় স্বার্থ সংরক্ষণ করা অপরিহার্য। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, স্বার্থ সংরক্ষণের অর্থ কখনোই বেআইনিভাবে কাউকে অনুচিত সুবিধা প্রদান করা নয়। বরং, এর অর্থ হলো প্রত্যেককে তার ন্যায্য প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো নাগরিককেই তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
ভূমিমন্ত্রী এসিল্যান্ডদের আরও নির্দেশ দিয়ে বলেন, নিজস্ব নেতৃত্বের গুণাবলী প্রয়োগ করে ভূমি অফিসের পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের সেবা প্রদানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে ভূমি সেবা প্রদানে উৎকর্ষতা অর্জন এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে।
এলএটিসিতে ৪০ ও ৪১তম বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা কোর্সের প্রশিক্ষণ শেষ করা সহকারী কমিশনার (ভূমি)গণ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিকেএমপি অনুবিভাগের ব্যবস্থাপনাধীন কর্মসূচি অ্যালামস এর পরামর্শকবৃন্দ এবং ভূমিসেবা ডিজিটাইজেশন ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।
কর্মশালার আগে ভূমিমন্ত্রী ৪০ ও ৪১তম বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা কোর্সের প্রশিক্ষণ শেষ করা সহকারী কমিশনার(ভূমি)গণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করা কর্মকর্তাদের হাতে সমাপনী ও সনদপত্র তুলে দেন।