বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে ২০২৩ সালে শীর্ষে ছিল ফ্রান্স। সেই অবস্থান কেড়ে নিতে পারে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেন। ফ্রান্সে পর্যটক না কমলেও স্পেনে দ্রুত হারে বাড়ছে দর্শনার্থী, এ কারণে লড়াইটা হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি।
স্পেনে দর্শনার্থী এতই বাড়ছে যে স্থানীয়দের মধ্যে ‘ট্যুরিজম ফোবিয়া’ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের পর্যটন সংস্থার র্যাংকিং অনুসারে, ২০২৩ সালে দেশটিতে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ। তবে নিকট ভবিষ্যতে সাড়ে ৮ কোটিতে পৌঁছবে বলে আশাবাদী স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
দর্শনার্থীর এ লক্ষ্যমাত্রা দেশটির মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি। পর্যটন খাতে স্পেন ও ফ্রান্সের লড়াই নতুন নয়। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক দর্শনীয় দেশ হয়ে ওঠে স্পেন। এর পর থেকেই প্রথম স্থানে থাকা ফ্রান্সকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে দেশটি।
বর্তমানে স্পেনের বার্ষিক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন খাতের ভূমিকা ১২-১৩ শতাংশ। তবে বিষয়টি দেশটির সরকারের জন্য কিছু আশঙ্কাও সৃষ্টি করেছে। ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে বাস্কস অঞ্চলের জনপ্রিয় স্থানগুলোয় পর্যটন ক্রমেই বাড়ছে। এ কারণে মানহীন রিসোর্ট ও আবাসনের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের জীবনযাপনে। বিভিন্ন খাতে ভাড়া ও মূল্য বাড়ছে। পর্যটকদের খারাপ আচরণ ও পানির অপব্যবহার নিয়েও ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। এর রেশ ধরে স্থানীয় সরকারগুলো পর্যটন কর, আবাসনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।
অন্যদিকে ফরাসি সরকার “বিশ্বের নেতৃস্থানীয় পর্যটন গন্তব্য” হিসেবে তার দাবি করে আসছে। গত বছরে দেশটিতে দর্শনার্থীর প্রবেশ ২০২২ সালের তুলনায় ৭০ লাখ বেড়ে ১০ কোটিতে পৌঁছেছে। সূত্র: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও রয়টার্স