আর্কটিক সাগরের অপরূপ পর্বতমালা, সাগরজুড়ে ছড়ানো দ্বীপপুঞ্জে নীলাভ শুভ্র হিমবাহ সারা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এ অঞ্চলের গলা বরফের নিচে রয়েছে জ্বালানি তেল, গ্যাস কিংবা অন্যান্য খনিজ সম্পদ।
নরওয়ে ও উত্তর মেরুর মাঝামাঝি এমনই এক এলাকা এসভ্যালবার দ্বীপপুঞ্জের একটি ব্যক্তিগত জমি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
শোর ফেগারফেওড নামের প্রায় ৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জমিটির দর হাঁকা হয়েছে ৩০ কোটি ইউরো। মেরু ভালুকের আবাসস্থল এসভ্যালবারে রয়েছে বিশ্বের বৈচিত্র্যতম শস্যবীজের ভাণ্ডার।
এছাড়া গবেষণা, স্যাটেলাইট উপাত্ত সংগ্রহ, পর্যটন দিনে দিনে একে সমৃদ্ধ করে তুলছে। বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ২২ আগস্ট সম্পূর্ণ দিন অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টাই সূর্য থাকে এসভ্যালবারের আকাশে। স্থানটির নয় দ্বীপে প্রায় তিন হাজার মানুষ বসবাস করে।
ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব ও কৌশলগত অবস্থানের কারণে পরাশক্তিগুলোর চোখ রয়েছে এর দিকে। স্বাভাবিকভাবে সর্বোচ্চ দরদাতাই হতে পারবেন পৃথিবীর মহামূল্যবান এ জমির মালিক। আপাতত শর্ত একটাই, আগ্রহী ক্রেতাকে ১৯২০ সালে স্বাক্ষরিত ‘এসভ্যালবার চুক্তি’তে অনুমোদিত দেশের নাগরিক হতে হবে। সূত্র: ইউরো নিউজ।