মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ। কিচেন টাচ ও কিচেন আর্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি দেশের হোম ও কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতের একজন উদীয়মান ও তরুণ উদ্যোক্তা। আইটি সাংবাদিকতার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হলেও কিচেন এক্সেসরিজের প্রতি ভালোলাগা থেকে শুরু করেন কিচেন টাচ উদ্যোগ। কাজের প্রতি নিষ্ঠা, সততা, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অল্প দিনে গড়ে তুলেছেন কিচেন টাচ উদ্যোগ। গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও হোম, কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন দিয়ে হাজারো ক্রেতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। হোম এবং কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ উদ্যোগের পাশাপাশি যুক্ত আছেন বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে। বর্তমানে তিনি টেক আলো নিউজের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আইসিটি এমপ্লয়ী সোসাইটি অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট (এডমিন), এইড ডেভেলপার অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়াম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন দৈনিক যায়যায় দিন, দৈনিক ভোরের পাতা, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
>>আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তদের জন্য পরিকল্পিত ও নিরাপদ আবাসন গড়তে চাই : রওশন আল মাহমুদ
সম্প্রতি কথা হয় প্রথম আবাসন বিষয়ক মাল্টিমিডয়া পোর্টাল আবাসন.টিভির সাথে। খোলামেলা কথা বলেন কিচেন টাচ উদ্যোগ হোম ও কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি আবাসন মাল্টিমিডয়া পোর্টালের পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।
আবাসন: দুনিয়ায় এতো কিছু থাকতে উদ্যোগের বিষয় হিসেবে কিচেন এক্সেসরিজকে বেছে নিলেন কেনো?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: বাসা বা বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান কিচেন বা রান্নাঘর৷ প্রতিদিনই কয়েকবার করে ব্যবহার করা হয় এটি। একটি বাসার রান্নাঘরের সাথে অন্য পাঁচটা রুমের তুলনা হয় না। আমাদের বাড়ির মা-বোন বা গৃহিনীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রান্নাঘরে কত সময় যে পার করে দেয় তার কোন হিসেবে নেই। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ সময়ে রান্নাঘরের সাজসজ্জার দিকে নজর দেই না। রান্নাঘরে স্বাচ্ছন্দ্যে ও সহজভাবে কাজ করার মতো পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দেই না। লিভিং রুম,ডাইনিং রুম আর বেডরুমের সাজসজ্জায় সীমাবদ্ধ রাখি। রান্নাঘরের দিকে বিশেষ খেয়াল দেই না। আসলে রান্নাঘরের ডিজাইন বা সাজসজ্জা হতে হবে খুবই পরিকল্পিত এবং সময়োপযোগী। বিষয়টা নিয়ে আমার মাথায় ভাবনা আসে ২০১৪ সালে।
আমি যখন নিজের বাসায় নতুন রান্নাঘর তৈরি করি। সব কিছু থাকতো এলোমেলো। কোথায় কি রাখতে হবে সেটা জানতাম না। প্রয়োজনীয় জিনিসটি সময় মত হাতের কাছে পাওয়া যেতো না। রান্নাঘরে হাঁটাচলার পর্যাপ্ত জায়গার অভাব ছিল। তখন চিন্তা করি, এই রান্নাঘরটাকে আধুনিক করলে কেমন হয়? তখন একজন কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের সাথে কথা বলে, সে অনুসারে অনলাইনে কিচেন এক্সেসরিজ খোঁজা শুরু করি। রাজধানীর সব কিচেন মার্কেটে ঘুরে ঘুরে এক্সেসরিজ কিনে আমার কিচেনটাকে মনের মতো করে সাজাই। কিন্তু তখন প্রয়োজন মত সব পাই নাই। ওই সময় মাথায় এলো এটা নিয়েও তো বিজনেস করা যায়।
>>আরও পড়ুন: ‘সরকারের সুনজরে ফার্নিচার শিল্পখাতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব’
>>আরও পড়ুন: ‘রিয়েল স্টার প্রোপার্টিজকে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই’
১৭ কোটি মানুষের দেশে সবারই তো একটা রান্নাঘর থাকবে। এ ব্যবসার ভবিষ্য সম্ভাবনা ভাল। পেশাগতভাবে আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডেড হওয়াতে সব কিছু সোর্সিং করা সহজ হয়ে গেল। আস্তে আস্তে যতই হোম কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন, কিচেন এক্সেসরিজ সম্পর্কে জানছি, পড়াশোনো করছি, ততই মনের মধ্যে ভাল লাগা কাজ করছে। একটা সময় এসে কিচেন এক্সেসরিজ নিয়েই বিজনেস শুরু করি। এভাবেই কিচেন টাচ-এর পথচলা শুরু।
আবাসন: এই শো-রুমে একজন ক্রেতা তার কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য কি ধরনের এক্সেসরিজ কিনতে পারবেন?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: আমাদের শো-রুমে ৩৬০ ধরনের হোম অ্যান্ড কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ সল্যুশনস রয়েছে। একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজ প্রয়োজন হয়, এখানে বিভিন্ন নামিদামি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সব ধরনের গুণগতমানসম্পন্ন এক্সেসরিজ রয়েছে। চীন, জাপান, জার্মানী, ইতালি, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, হংকং-এর মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি সফল দেশের প্যারোস, ওয়েল ম্যাক্স, ওলউইন, ভেরনা, আইডিয়াল, রিননাই, অ্যারিশটন, অলিয়ন, এভারসাইন ব্র্যান্ডের কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল, অলিয়ন ৩ বার্নার মার্বেল, কিচেন হুড, ১২ লেয়ার লার্ডার বাস্কেট, মেজিক কর্নার বাস্কেট লেফট অ্যান্ড রাইট, ৫ লেয়ার কর্নার বাস্কেট, ১২ লেয়ার টল ইউনিট বাস্কেট, ৬ লেয়ার টল ইউনিট বাস্কেট, পুল আউট ৩ সেলফ স্লিডিং বাস্কেট, ১৮০ ডিগ্রি রিভোলিং বাস্কেট, বোটল অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, ৩৬০ ডিগ্রি রিভোলিং বাস্কেট, স্পাইস র ্যাক বাস্কেট, প্লান অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, প্লেট অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট ৩ সাইডেড, সাইড বাস্কেট ম্যাটেরিয়াল, পিভিসি কালেরি ট্রে, ড্রাবল বল সিংক, কাটলেরি, এলিভেটর বাস্কেট, ডাস্টবিন, ডরবিন, সিংক সাপোর্ট র ্যাক, ডিশ র ্যাক, লিড হোল্ডার, টিসু হোল্ডার, প্লেট অ্যান্ড বৌল হ্যাংগিং র ্যাক রাইস কন্টিনার, প্লান অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, ৩ লেয়ার পুল আউট ভেজিটেবল বাস্কেট।
আবাসন: কিচেন টাচ ক্রেতাদের কি ধরনের পণ্যসেবা দিয়ে থাকে? সেগুলো কী কী?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজের প্রয়োজন হয় আমরা ক্রেতাদের সব ধরনের কিচেন এক্সেসরিজ সরবারহ করে থাকি। স্মার্ট কিচেন হুড ,স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল, অলিয়ন ৩ বার্নার মার্বেল- এর মতো প্রোডাক্টগুলো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার পর এগুলো বাসায় নিয়ে সঠিকভাবে সেটআপের কাজগুলো করে থাকি। ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গ্যারান্টি দেওয়া হলেও কোন কারণে এরই মধ্যে নষ্ট বা সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে দক্ষ, ডায়নামিক, স্মার্ট টিমের সাহায্যে সেগুলো সার্ভিসিং করে থাকি।
এছাড়াও আমরা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কনসালটেনন্সির কাজও করে থাকি। যারা নতুন কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের পরিকল্পনা করেন, কোথায় কোন এক্সেসরিজটা বসাতে হবে, কতটুকু জায়গায় বসাতে হবে, কীভাবে বসাতে হবে, কিচেনের জায়গাটা কতটুকু পরিমাণে হলে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দে কাজ করা যাবে। একটা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য কত খরচ লাগতে পারে এসব পরামর্শ দেওয়ার কাজগুলো আমরা করছি। শুধু কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজই করি না। সেটি ক্লায়েন্টের মনের মতো করে তৈরি করে দেওয়ার পর, যখন কোন সমস্যা দেখা দেয়, তখন সাথে সাথে সে সমস্যার সমাধানের কাজও করি।
>>আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তদের আবাসন চাহিদা মেটাতে কাজ করছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস : রওশন আল মাহমুদ
আবাসন: কিচেন টাচ-এর পণ্যের বিশেষত্ব কি? মার্কেটে এতো শো-রুম রেখে ক্রেতারা কিচেন টাচ-এর পণ্য কিনবে কেনো?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: কিচেন টাচ একটি বিশ্বাস ও নির্ভিরযোগ্য কিচেন এক্সেসরিজ সরবারহকারী এবং কনসালটেন্সি কোম্পানি। এখানে পাওয়া যাচ্ছে ৩৬০ ধরনের হোম অ্যান্ড কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ সল্যুশনস। একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজ প্রয়োজন হয়, এখানে বিভিন্ন নামিদামি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সব ধরনের গুণগতমানসম্পন্ন এক্সেসরিজ রয়েছে। চীন, জাপান, জার্মানী, ইতালি, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, হংকং-এর মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি সফল দেশের প্যারোস, ওয়েল ম্যাক্স, ওলউইন, ভেরনা, আইডিয়াল, রিননাই, অ্যারিশটন, অলিয়ন, এভারসাইন ব্র্যান্ডের কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ রয়েছে। আমরা শুধু কিচেন এক্সেসরিজ বিক্রিই করি না। সেসাথে বিক্রয়োত্তর সেবাও দিয়ে থাকি। যাতে একজন ক্রেতা তার পছন্দের এক্সেসরিজটা কিনে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
আর কিচেন টাচ বিশ্বাস করে প্রত্যেকজন ক্রেতাই অত্যন্ত মূল্যবান ও সম্মানের। তাই কোম্পানি গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো-কোয়ালিটি (গুণগত মান), কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) ও সার্ভিস (সেবা)। এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাহকের সন্তোষ্টি পূরণে কাজ করে আসছে কিচেন টাচ।
আবাসন: কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দাম সাধারণত কত থেকে শুরু হয়, আর কত বেশি হয়ে থাকে?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: দেখুন, অন্য পাঁচটা প্রযুক্তিপণ্যের মতো কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দামও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে পণ্যটা কি এবং কোন ধরনের, কোন কোয়ালিটির, কোন ব্র্যান্ডের। যেমন, ধরুন এটা স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল বিক্রি করি ১৬ হাজার টাকায়। আবার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কোয়ালিটির চুলা পাওয়া যাবে যেগুলোর দাম শুরু হয় ১৫ হাজার টাকা থেকে, ২৫ হাজার, ২২ হাজার, আবার ২০ হাজার বা ২৪ হাজার টাকা। তাই, কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দামও ব্র্যান্ড ও কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
আবাসন: আপনারা কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কনসালটেন্সি করে থাকেন।একটা কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে কী কী বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: দেখুন, একটা সময় ছিল যখন কিচেন মানে মনে করা হতো হেঁশেল। এখানে মা-বোনদের জীবনের বেশিটা সময় কাটতো। সময়ের পালাবদলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই হেঁশেল এখন বাড়ি বা ফ্ল্যাটের এককোণে ছিমছাম, সুন্দর, পরিপাটি মডিউলার কিচেনে এসে ঠেকেছে। একটা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেসগুলো হলো-একটি ভাল কিচেনের লেআউট তৈরি করা, ওয়ার্কিং ট্রাইঅ্যাঙ্গেলকে মাথায় রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা রাখা, যথেষ্ট পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা রাখা, সাধ্যের মধ্যে ভাল ও সর্বোচ্চমানের কাঁচামাল ব্যবহার করা, ছোট রান্নাঘরের জন্যে হাল্কা রঙ নির্বাচন করা, সহজে মেইনটেইন নিশ্চিত করা।
কিচেন সাধারণ বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বা উত্তর-পশ্চিম কোণে হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিষস চুলা,হুড, ওভেন, সিংক, আর রেফ্রিজারেটরকে এমনভাবে রাখতে হবে যেনো এই তিনটিকে লাইন টেনে জুড়লে একটা ত্রিভুজের আকার নেয়। কিচেন কাউন্টার ন্যূনতম ২২ ইঞ্চি চওড়া আর ৩৩ ইঞ্চি উচ্চতার হতে হবে। ছোট রান্নাঘর হাল্কা রঙের হলে ভাল, বিশেষকরে কাউন্টারের ওপরের দিক। জানালায় চিমনী না লাগালেই ভাল। ফ্রেশএয়ার ফ্যান জানালার বিপরীত দিকে হলে ভাল। কিন্তু এই ভুলটা অধিকাংশ ডেভলপাররা করে থাকেন। রান্নাঘরের সাইজ অনুযায়ী চিমনী লাগানো উচিত। একটা ৬০ স্কয়ারফুট কিচেনে ২০০০-৩০০০ (আরপিএম) সাকশন চিমনী হলেই চলে। রান্নাঘরে ফলস্ সিলিং করলে বেশি জমকালো হয়। তাই না করাই ভাল।
আবাসন: উদ্যোগকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেক্টরটা অনেক বড়। এখানে অনেক সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে। আমি একজন ছোট উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে আসছি। আমি কাজের কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি। উদ্যোগটি শুরু থেকে এ পর্যন্ত যাদের সার্ভিস দিয়েছি তাদের সেরা মানের সার্ভিসটিই দিয়েছি। অসংখ্য ক্রেতা বার বার এসে সার্ভিস নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত আসছেন। সাথে আনছেন নতুন ক্রেতাদের। এভাবে কিচেন টাচ জায়গা করে নিয়েছে হাজারো ক্রেতাদের হৃদয়ে। আমি চাই এভাবেই ধীরে ধীরে ক্রেতাদের রুচি, পছন্দ ও চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। কিচেন টাচের এক্সেসরিজ শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে গেছে। পরিকল্পনা আছে দেশের ৬৪টি জেলায় কিচেন টাচের এক্সেসরিজকে পৌঁছে দিতে।