Connect with us
<

আবাসন সংবাদ

প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থানে এগিয়ে আবাসন শিল্প

দেশের অর্থনীতিতে আবাসন শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য। এ শিল্পটি একদিকে যেমন মানুষের মৌলিক অধিকার- মাথা গোঁজার ঠাঁই নির্মাণ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। সর্বোপরি এ আবাসন শিল্প দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শুধু তা-ই নয়, এ শিল্পটিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে আরও শতাধিক সহযোগী শিল্প। এসব শিল্পের মাধ্যমেও কর্মস্থান হয়েছে আরও লাখ লাখ বেকারের।

সব মিলে আবাসন শিল্প দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে অগ্রগামী ভূমিকা রাখছে। জিডিপিতে আবাসন খাতের অবদান ১৫ শতাংশ। এ খাত থেকে সরকার ট্যাক্স, ভ্যাট, রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রচুর রাজস্ব পায়। অর্থনীতিতে গতি আনতে হলে অবশ্যই আবাসন খাতে গতি আনতে হবে। সমগ্র নির্মাণ খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। তাদের ওপর নির্ভর করেই প্রায় আড়াই কোটি নাগরিকের অন্ন-বস্ত্রের চাহিদা পূরণ হয়।

এই খাতকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় বিশাল কর্মযজ্ঞ। এভাবে বাংলাদেশে আবাসন খাত গত প্রায় ৪০ বছর ধরে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা অবকাঠামোগত উন্নয়নকে অর্থনীতির উন্নয়নের মূল সূচক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এ অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিস্তৃতি বিশাল। রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট ও পরিবহন সেক্টরের সমস্যা সবই এই বিভাগের অধীন।

রিয়েল এস্টেট বা হাউজিং শিল্পও এই অবকাঠামোগত শিল্পগুলোর মধ্যে একটি। নানা চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়ে বছরের পর বছর ধরে এই সেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। সব শিল্প থেকেই এই গ্রোথ প্রত্যাশিত হলেও অনেক শিল্পই আশানুরূপ ফল পায় না। এককথায় বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়েছে আবাসন খাতের দ্বারা। এ শিল্পের চালিকাশক্তি কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সম্পত্তির মূল্য, সুদের হার, সম্পত্তির চাহিদা, নগরায়ণ ইত্যাদি। আবারও এই শিল্পটি সিমেন্ট, ইস্পাত, টাইলস, স্যানিটারি, গ্লাস এবং অন্যান্য বিল্ডিং উপকরণ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গেও জড়িত। আবাসন শিল্পের উন্নয়ন ঘটলে এ পণ্যগুলোর চাহিদাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। তাই রিয়েল এস্টেট সেক্টরের উন্নয়ন অন্যদের উন্নয়নে পরোক্ষ প্রভাবক হিসেবেও কাজ করে।

Advertisement

রিয়েল এস্টেট সেক্টর গত ৪০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ সময় দ্রুত নগরায়ণ এবং অস্বাভাবিক জনসংখ্যার বৃদ্ধি হয়েছে। ফলস্বরূপ, আবাসন খাতের চাহিদাও বেড়েছে অতি দ্রুত। রিহ্যাবের হিসাব মতে ২০১৪ সালে এ সেক্টর জিডিপিতে অবদান রেখেছে ১২ শতাংশ যা আগের বছরেও ছিল ৭.০৪ শতাংশ। এখন জিডিপিতে অবদান বেড়ে হয়েছে ১৫ শতাংশ।

জাতিসংঘের করা জরিপ অনুসারে দেশের ৪০ শতাংশ এলাকা নগরায়ণের আওতায় চলে আসছে। আর অধিক নগরায়ণের অর্থই হলো আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি। তাই রিয়েল এস্টেটের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকবে। এ ছাড়া সামাজিকভাবেও আমাদের দেশ ভিন্ন ধরনের একটি সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বৃহৎ যৌথ পরিবার ভেঙে ছোট ছোট একক পরিবারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাই ফ্ল্যাট এবং অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।

এ ছাড়া দেশে বাড়ছে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা এবং তাদের ক্রয়ক্ষমতা। আর এমন মানুষ প্রতিনিয়ত খোঁজ করছে একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই। সব দিক ভেবেই বলা যায় এদেশে রিয়েল এস্টেট সেক্টরের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।

সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য লাভ করেছে। শিল্প বাণিজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে নগরায়ণ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) হিসাব অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ নগরবাসী ছিল।

জাতিসংঘের তৈরি ‘ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রসপেক্টাস : দ্য রিভিসন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ ঢাকা হবে বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল নগরী। লোকসংখ্যা হবে ২ কোটি ৭০ লাখ। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ফলে বর্ধিত নগরায়ণে বিপুল জনস্রোতের বিপরীতে বদলেছে শহরের ধরন, গড়ন ও পরিধি।

Advertisement

কেবলমাত্র রাজধানী ঢাকাই নয়, একই কারণে অবকাঠামো ও পরিধিগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের ব্যাপ্তিও। বাড়তে থাকা নাগরিকের ক্রমবর্ধমান আবাসন সমস্যা নিরসনে আবাসন শিল্প এগিয়ে এসেছে। নগরায়ণের ক্রমাগত চাপকে সামাল দিতে নাগরিক জীবনমান নিশ্চিতকরণ, পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা ও আবাসন পরিকল্পনা নিয়ে দেশের আবাসন খাত হেঁটেছে সমান গতিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা, পুঁজির সঠিক বিনিয়োগ ও এর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, উন্নত আবাসন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আবাসন খাতে কয়েক দশকের পরিবর্তন এক কথায় চোখে পরার মতো।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২০ সালের সূচক অনুযায়ী বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে ‘সবার জন্য আবাসন’ নীতি আবাসন খাতের সম্প্রসারণে ব্যাপক অবদান রাখবে। সরকারের আবাসন খাত সহায়ক নীতি সহায়তা, পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় প্রণোদনায় উন্নত আবাসনের ছোঁয়া দেশের প্রত্যন্ত পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন অনেকেই।

পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে গত ১৩ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৬ শতাংশ যা ২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮ ও ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৭ শতাংশের উপরে ছিল এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৮ শতাংশ অতিক্রম করে। কোভিডকালেও ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঈর্ষণীয় ৬.৯৪ শতাংশ ছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ধলা হয়েছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় আবাসন খাত প্রতিবছর জিডিপির এই প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পরিসংখ্যান বলছে মোট দেশজ জিডিপির ৭ শতাংশ আসে সরাসরি রিয়েল এস্টেট খাত থেকে। এ ছাড়াও এ খাতের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাকআপ লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিসহ জিডিপিতে মোট অবদান ১৫ শতাংশেরও বেশি। সম্ভাবনাময় এ খাতের সঙ্গে জড়িত আছে ২১১টি থেকে ২৬০টি সংযুক্ত খাত।

বর্তমানে আবাসন খাত দেশের সার্বিক শিল্পোন্নয়নে অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর তাই অব্যাহত এ অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে কখনো যৌথ উদ্যোগ, কখনো ব্যক্তি উদ্যোগকে সহায়তা করেছে রাষ্ট্র। নীতি সাহায্য থেকে শুরু করে দ্রুত বর্ধমান এ খাতকে নানামুখী পদক্ষেপ এ খাতের অব্যাহত প্রবৃদ্ধির ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে সহায়তা করে চলছে।

নব্বই দশকের শুরুতে শহরমুখী জনস্রোত, শিল্প-বাণিজ্য উদারীকরণ ও তেজি অর্থনৈতিক প্রবণতায় শুরু হয় অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ, রেডি প্লট বিক্রয়, বৃহদাকায় আবাসন পরিকল্পনার। উচ্চ মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত ও সচ্ছল মধ্যবিত্ত অনেকেই সে সময় আগ্রহী হয় আধুনিক আবাসন ব্যবস্থায় সংযোজিত হতে। ক্রমশ দেশে করপোরেট ব্যবসার সম্প্রসারণ, গার্মেন্টস খাতে অগ্রগতি এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিস্থিতিতে শহরের আবাসন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। বাড়ে ক্রেতা এবং এ খাত থেকে সরাসরি সুবিধাভোগীর সংখ্যা। অনেকেই নিজের পুরোনো ভবন বদলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে আবাসন শিল্প বিশেষত বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণে জোয়ার দেখা যায়।

Advertisement

দ্রুত নগরায়ণের ফলে জমির ওপর চাপ বেড়েছে দিন দিন। এরই এক অনিবার্য ফসল আবাসন খাত। বাংলাদেশে আবাসন ব্যবসার বয়স এখন ৪০ পেরিয়ে গেছে। দেশের বেসরকারি আসান খাত মোট নগর আবাসনের অর্ধেকটা মেটায়। ১৯৯৬-৯৭ সাল থেকে আবাসন ব্যবসা বড় আকারে শুরু হয়। আবাসন ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান রিয়াল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯১ সালে। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির সদস্যসংখ্যা ছিল মাত্র ১১। রিহ্যাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন এর সদস্যসংখ্যা ৯১১।

Continue Reading
Advertisement

আবাসন সংবাদ

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা প্রদান বিষয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা সম্বলিত সুপরিকল্পিত বিশ্বমানের আধুনিক ভবন নির্মাণে রিহ্যাব সদস্যবৃন্দ বদ্ধপরিকর। এ জন্য সিডিএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগীতা কামনা করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের পরিচালক ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, নূর উদ্দীন আহাম্মদ, শারিস্থ বিনতে নূর, মোঃ মাঈনুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিয়নের সিডিএ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার এস. এম আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল সদস্যবৃন্দ এবং রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রকৌশলী ও স্থপতিবৃন্দ।

Continue Reading

অর্থ ও বাণিজ্য

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তার আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ২১ কোটি টাকা বা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিং গতকাল মঙ্গলবার তাদের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার মাধ্যমে মুনাফার এই হিসাব দিয়েছে। একই সভা থেকে কোম্পানিটি গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার আগের অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে গত অর্থবছরে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ও লভ্যাংশ উভয়ই বেড়েছে।

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে চূড়ান্ত করা মুনাফা ও লভ্যাংশের তথ্য আজ বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত অর্থবছরের জন্য তারা শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আড়াই টাকা (২৫ শতাংশ) করে লভ্যাংশ দেবে। বর্তমানে শেয়ারধারীদের হাতে কোম্পানিটির যে শেয়ার রয়েছে তার বিপরীতে লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ করতে হবে। আগের অর্থবছরে (২০২৩–২৪) কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তাতে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একেকজন শেয়ারধারী ১ টাকা ৯০ পয়সা করে পেয়েছিলেন। ওই বছর ঘোষিত লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে বিতরণ করেছিল প্রায় ১৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ বাবদ ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে কোম্পানিটি। লভ্যাংশ বাবদ বাড়তি এই ব্যয়ের জোগান আসছে বাড়তি মুনাফা থেকে। কারণ, এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা ২১ কোটি টাকা বেড়েছে।

এদিকে মুনাফা ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির খবরে আজ শেয়ারবাজারে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের দামও ঊর্ধ্বমুখী ছিল লেনদেনের শুরু থেকে। প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ টাকা বা সোয়া ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। এ সময় কোম্পানিটির ৮ লাখের বেশি শেয়ারের হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
আবাসন সংবাদ3 weeks ago

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান...

নির্বাচিত প্রতিবেদন4 weeks ago

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর...

অর্থ ও বাণিজ্য4 weeks ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭...

আবাসন সংবাদ4 weeks ago

আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাকুরির গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মোটা...

আইন-কানুন1 month ago

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া...

Advertisement

সর্বাধিক পঠিত