অর্থ ও বাণিজ্য
মধ্যপ্রাচ্যের নিম্ন আয়ের দেশে গতিশীল হবে রেমিট্যান্স প্রভাব

ভূরাজনৈতিক সংকট ও গত বছরের দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরও চলতি বছর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্রুত গতিতে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
অভিবাসন ও উন্নয়নবিষয়ক ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল রফতানিকারক ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিনির্ভর দেশগুলোর আবাসস্থল মেনা অঞ্চলে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উন্নীত হবে। পরের বছর ২০২৫ সালে বার্ষিক ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে।
রেমিট্যান্সের পুনরুদ্ধারের এ প্রক্রিয়ায় জোরালো ভূমিকা রাখবে উত্তর আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি ও আরব বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিসর। চলতি বছরে দেশটির অর্থনীতিতে একাধিক প্রভাবক ভূমিকা রাখবে। এ সময় বিদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ আসবে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, মিসরীয় পাউন্ডের অবমূল্যায়ন, ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের রাস এল হেকমা চুক্তির অধীনে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে ৮০০ কোটি ডলারের চুক্তি দেশটির অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ও বিদেশ থেকে মিসরীয়দের পাঠানো অর্থ।
গত বছরে অক্টোবরে শুরু হওয়া সংঘাত ফিলিস্তিনের গাজার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ১৯ শতাংশ। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা অঞ্চলটির অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তবে চলতি বছরের শেষের দিকে রেমিট্যান্সের একটি শক্তিশালী প্রবাহ আসতে পারে। কারণ এ সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে সংস্কারকৃত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, রেমিট্যান্স এ অঞ্চলের জন্য বাইরের সম্পদের প্রবাহের সবচেয়ে বড় ও তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে স্থিতিশীল উৎস, যা ২০১০ সাল থেকে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) ও অফিশিয়াল উন্নয়ন সহায়তার সমষ্টিকে ছাড়িয়ে গেছে।
যদিও এ অঞ্চলের অর্থনীতি গত বছরের তুলনায় দ্রুত গতিতে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তার পরও গাজা যুদ্ধের মধ্যে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ নিম্নমুখী ঝুঁকি রয়ে গেছে, যা একটি আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হওয়ার শঙ্কা তৈরি করেছে।
জ্বালানি তেল আমদানিকারী দেশগুলোয় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আর্থিক ও চলতি হিসাবের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা বাহ্যিক অর্থায়নের উদ্বেগ তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্স কাছাকাছি ও মাঝারি মেয়াদে এ অঞ্চলের জন্য অর্থায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের নেতিবাচক প্রভাবগুলো এরই মধ্যে এ অঞ্চলের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে আরো খারাপ করেছে। জর্ডানে রেমিট্যান্স ২০২৩ সালে ৪৫০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে, যা দেশটির জিডিপির ৯ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
গত বছর মেনায় দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় রেমিট্যান্সের প্রবাহ প্রায় ১৫ শতাংশ কমেছে, যা ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০২২ সালে এ অঞ্চলে রেমিট্যান্স প্রভাব ৩ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পায়। এতে প্রধান ভূমিকা রাখে মিসর। আগের বছরের তুলনায় দেশটির রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারে। সূত্র: দ্য ন্যাশনাল নিউজ।
অর্থ ও বাণিজ্য
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তার আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ২১ কোটি টাকা বা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিং গতকাল মঙ্গলবার তাদের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার মাধ্যমে মুনাফার এই হিসাব দিয়েছে। একই সভা থেকে কোম্পানিটি গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার আগের অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে গত অর্থবছরে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ও লভ্যাংশ উভয়ই বেড়েছে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে চূড়ান্ত করা মুনাফা ও লভ্যাংশের তথ্য আজ বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত অর্থবছরের জন্য তারা শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আড়াই টাকা (২৫ শতাংশ) করে লভ্যাংশ দেবে। বর্তমানে শেয়ারধারীদের হাতে কোম্পানিটির যে শেয়ার রয়েছে তার বিপরীতে লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ করতে হবে। আগের অর্থবছরে (২০২৩–২৪) কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তাতে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একেকজন শেয়ারধারী ১ টাকা ৯০ পয়সা করে পেয়েছিলেন। ওই বছর ঘোষিত লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে বিতরণ করেছিল প্রায় ১৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ বাবদ ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে কোম্পানিটি। লভ্যাংশ বাবদ বাড়তি এই ব্যয়ের জোগান আসছে বাড়তি মুনাফা থেকে। কারণ, এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা ২১ কোটি টাকা বেড়েছে।
এদিকে মুনাফা ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির খবরে আজ শেয়ারবাজারে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের দামও ঊর্ধ্বমুখী ছিল লেনদেনের শুরু থেকে। প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ টাকা বা সোয়া ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। এ সময় কোম্পানিটির ৮ লাখের বেশি শেয়ারের হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
অর্থ ও বাণিজ্য
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করল সরকার

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। কেউ এ-সংক্রান্ত নির্দেশিকার ব্যত্যয় ঘটালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ অনুযায়ী পরিহারযোগ্য বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন তথ্যাদি শেয়ার করছেন এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারকে বিব্রত করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন; যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চাকরিবিধির পরিপন্থী ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ। প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাঁদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। অনেক ক্ষেত্রে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হানিকর এবং বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ের অপরাধ। এ ধরনের বিভিন্ন ব্যত্যয়গুলো নজরে আসায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আদেশে জ্যেষ্ঠ সচিব, সচিব এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’-এর সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা’, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা’ এবং ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা’ অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
-
বিবিধ2 years ago
বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
রাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
সীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
মাত্র ২৪ ঘন্টায় খতিয়ানের ভূল সংশোধনের সরকারি নির্দেশনা
-
ফিচার1 month ago
প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল
-
আইন-কানুন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
প্রিমিয়াম হোল্ডিংয়ের বর্ষপূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী একক আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত