Abasan TV
  • সংবাদ
  • ফিচার
    • ক্যারিয়ার
  • স্মার্ট হোম
  • বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • লোন ক্যালকুলেটর
  • ভিডিও
No Result
View All Result
Abasan TV
  • সংবাদ
  • ফিচার
    • ক্যারিয়ার
  • স্মার্ট হোম
  • বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • লোন ক্যালকুলেটর
  • ভিডিও
No Result
View All Result
Abasan TV
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

কাচের ভবনের কারণেই কী বাড়ছে দাবদাহ?

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর by আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর
মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪
কাচের ভবনের কারণেই কী বাড়ছে দাবদাহ?

ছবি: সংগৃহীত

Share on FacebookShare on Twitter

বাংলাদেশের গত এপ্রিলে টানা তাপদাহের পর এ মাসের শুরুতে হওয়া বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসে। তবে আবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় আলোচনায় ‘গরম বাড়ার কারণগুলো’। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় গরম বাড়ার কারণ হিসেবে জলাভূমি ও গাছপালা কমে যাওয়া ছাড়াও উঠে আসছে ‘কাঁচের ভবনের’ আধিক্যের বিষয়টি।

অনেকেই বলছেন, নগরীতে পরিকল্পনাহীনভাবে কাচ দিয়ে নির্মিত ভবনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে গরম।

ADVERTISEMENT

নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, আধুনিক ভবনগুলোর ক্রমবর্ধমান শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শহরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। একইসঙ্গে কাচ দিয়ে নির্মিত ভবনে ‘শেডিং’ ব্যবস্থা না থাকাকেও তাপমাত্রা বাড়ার জন্য দায়ী করছেন তারা।

ঢাকায় ভবন নির্মাণে কাচের ব্যবহারের শুরু যেভাবে
আশির দশক পর্যন্ত ঢাকার উঁচু ভবনগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল ‘শেডিং ব্যবস্থা’। এই ব্যবস্থায় ভবনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন সূর্যের আলো সরাসরি ভবনের ভেতরে প্রবেশ না করে।

আলো ও বাতাসের জন্য আগের ভবনগুলো ছিল জানালা নির্ভর।সেজন্য বর্ষায় বৃষ্টির ঝাপটা কিংবা গ্রীষ্মের রোদে ঘরকে গরম থেকে রক্ষা করতে জানালায় ওপরটা এমনভাবে তৈরি করা হতো যাতে সরাসরি সূর্যের আলো কিংবা বৃষ্টির ঝাপটা না ঢোকে।

প্রাকৃতিক আলো বাতাসের এই পরিকল্পিত ব্যবহারকে স্থাপত্যের ভাষায় ‘প্যাসিভ ডিজাইন স্ট্রাটেজি’ বলা হয়ে থাকে।নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে ভবনে কাচের ব্যবহারের প্রবণতা শুরু হয়। চাহিদা থাকায় সেসময় বেড়ে যায় কাচ আমদনি।

“কোনো একটা ভবন বাক্সের মতো বানিয়ে কাচ দিয়ে মুড়ে দিলে খুব সহজেই একটা লুক আর উন্নত দেশের ছাপ চলে আসায় এর চাহিদা বেড়ে যায়,” বলেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (বাস্থই) সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ।

বলেন, আগে ভবন নির্মাণের সময় যেমন ১৮-২০ ইঞ্চির শেডিং দেয়া হতো, নতুন ভবনগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি। এর ফলে কাচের ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভবনের ভেতরে বাড়তে থাকে তাপ। আবার, সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে আশপাশের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে তুলছে।

‘ভবনের কাঠামোর কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা’
ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকায় নতুন যে ভবনগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে তার বেশিরভাগই পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এসব ভবনের বড় একটি অংশেই এমন কাচ ব্যবহার করা হয় যাতে বাইরের বাতাস-শব্দ ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। ফলে ভবন শীতল রাখতে বেড়ে যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার। আর এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকেই তাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন নগরবিদরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “উন্মুক্ত এবং উপযুক্ত নয় এমন কাচ দিয়ে ভবন নির্মাণের ফলে বাড়ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার।”

“স্বাভাবিকভাবেই উচ্চ প্রযুক্তির কাচ না লাগালে ভবন অতিরিক্ত তাপ ক্ষরণ করে কিংবা শোষণ করে। ফলে ভবনের ভেতরের তাপমাত্রা অযাচিত পরিমাণে বেড়ে যায়,” যোগ করেন মি. হাবিব।

ভবনে জ্বালানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার ও এর কার্যকারিতা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘এনার্জি এন্ড বিল্ডিংসে’ ২০২২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভবন শীতলীকরণের নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করে প্রাকৃতিক বায়ুচলাচলের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

এতে জাপানের টোকিও শহরের বাণিজ্যিক ভবনের ওপর পরিচালিত অপর একটি গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে কর্মব্যস্ত দিনগুলোতে আধুনিক বাণিজ্যিক ভবনগুলোয় ব্যবহৃত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র থেকে নির্গত বাতাস সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলেছে।

তাইপের আবাসিক এলাকায় করা অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভবনগুলোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আশেপাশে এসি থেকে নির্গত উষ্ণ বাতাসের কারণে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এর ফলে ভবনগুলো শীতল করতে এসি’র জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে, প্রয়োজন হচ্ছে বাড়তি এসিরও। এটিকে একটি দুষ্টচক্র বলে উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত গবেষণায়।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, আধুনিক কাচের ভবনগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শেডিং ব্যবস্থা না থাকায় সরসরি সূর্যের আলো পড়ে ভবনের ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। পাশাপাশি, কাঁচের দেয়ালে আলো প্রতিফলিত হয়ে আশপাশের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে তোলে।

শুধু তাই নয়, তাপমাত্রা কমাতে ভবনের ভেতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বাড়তি ব্যবহার ও বাড়তি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এসব যন্ত্র থেকে নির্গত উষ্ণ বাতাসও পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এতে ‘হিট আইল্যান্ড’ তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে একে ‘বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা’ বলছেন নগরবিদরা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “একটা এসি যে এনার্জি খরচ করে, তাতে ২৫ থেকে ৩০টা ফ্যান চলতে পারে। আবার নিজের আরামের জন্য বাড়তি তাপ বাইরে দেয়া হচ্ছে। এতে এনার্জির বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।”

সব কাচের ভবনই কি তাপমাত্রা বাড়ায়?
যে কয়টি কারণে ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তারমধ্যে ‘কাঁচের ভবন একটি’ বলে উল্লেখ করেন মি. খান।

তবে ‘কাচের ভবন মানেই খারাপ কিছু নয়’ বরং নির্মাণের সময় ‘কোন ধরনের কাচ, কীভাবে ব্যবহার হছে সেটার ওপর (তাপ) নির্ভর করে’ বলে জানান স্থপতি ইকবাল হাবিব।

তার মতে “উন্মুক্ত এবং উপযুক্ত নয় এমন কাঁচ” দিয়ে ভবন নির্মাণের কারণে বাড়ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার। ফলে বাড়ছে তাপমাত্রা।

অর্থাৎ কাচ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা হলেও বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেয়া হলে এটি বাড়তি তাপ উৎপাদন থেকে বিরত থাকে। যেমন ‘শেডিং’ ব্যবস্থা।

“কাচ দিয়ে কোনো ভবন নির্মাণের সময় যদি এটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয় যাতে করে বাইরের কাচের ওপর সূর্যের আলো সরাসরি না পড়ে তবে এটি বাড়তি তাপ উৎপাদন করবে না। ফলে ভবনের ভেতর গরমও বাড়বে না,” জানাচ্ছেন ভবন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু খুব কম সময়ই ভবন নির্মাণের সময় এই বিষয়টি খেয়াল রাখা হয়। বরং শেডিং ব্যবস্থা না থাকায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে নগরীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে বলে জানান ভবন বিশেষজ্ঞরা।

আবার অনেক জায়গায় কাচগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থাও থাকে না। ফলে বাধ্যতামূলকভাবেই ঝুঁকতে হয় ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের’ দিকে।

ভবনের এই নকশা বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত না বলে মনে করেন পরিকল্পনাবিদ মি. খান।

তিনি বলেন, “শীতপ্রধান দেশে এ ধরনের নকশার কারণে তাপমাত্রা বাড়ে। আর শীত কমলে তাদের লাভ হয়। কিন্তু এখানে তাদের অনুসরণ করা পশ্চাৎপদতা।”

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মাণকে অনেকে ‘প্রেস্টিজ কনসার্ন’ হিসেবে দেখেন বলে মনে করেন মি. হাবিব। বলেন, “শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ওপর ভরসা করে ভবন নির্মাণের প্রবণতাকে অনেকে সামর্থ্য হিসেবে দেখেন। এমনকি সরকারি ভবনগুলোতেও ইদানিং হরহামেশাই দেখা যায় কাচের ব্যবহার।”

তার মতে, যখন এটা ‘জাতীয় দর্শন বা নগর-দর্শনে’ পরিণত হয়, তখন তা নগরীকে ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়।

কী ধরনের ভবন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী?
বাংলাদেশের ভৌগৈলিক অবস্থানের কারণে এখানে সূর্যের আলোর প্রখরতা অনেক বেশি। ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর আদলে বা তাদের অনুসরণে ভবন নির্মাণ অনেকক্ষেত্রেই উপযুক্ত না।

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার একটি দেশে গরম সহনীয় ভবন নির্মাণের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে ঢাকার ফার্মগেট মোড়ের বাংলাদেশ এগ্রিকালাচারাল রিসার্চ কাউন্সিল ও রংপুরের একটি কারুপণ্যের কারখানার উদাহরণ টানেন মি. হাবিব।

এই ভবনগুলোর মধ্যে চারটি সাধারণ বিষয় আছে। প্রথমত, এতে সূর্যের আলো সরাসরি ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়ার ব্যবস্থা আছে। এবং উন্মুক্ততা নিশ্চিত করেই এই বাধা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ক্রস ভেন্টিলেশন। এতে করে বছরের যে আট মাস প্রবল উত্তাপ থাকে না, তখন সহজেই ভবনের মধ্যে আলো-বাতাস যাতায়াত করতে পারে। তৃতীয়ত, গাছ ব্যবহার করে বারান্দায় বা ভবনের বাইরের অংশে সবুজ অন্তর্ভুক্ত করে একে আরও পরিশীলিত করা, যাতে ভবন ঠান্ডা থাকে।

সবশেষ, দিক বিবেচনা করে ভবন নির্মাণ। যেমন, পশ্চিম দিকের উন্মুক্ততা কমিয়ে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্বদিকে উন্মুক্ততা বাড়িয়ে কাঠামো নির্মাণ। কারণ উত্তর দিকে কখনো সূর্যের আলো যায় না, আবার পূর্ব দিকের সকালের আলো আর দক্ষিণ দিকের বাতাস আরামদায়ক।

সেক্ষেত্রে কেউ উঠানের মতো অংশ রেখে তা গাছ দিয়ে পরিশীলিত করে বাতাস শোষণের ব্যবস্থা করেন, আবার কেউ কার্নিশ বা ব্লকার দিয়ে সূর্যের আলো আটকে বাইরে বিশাল কোনো সারফেস বা পৃষ্ঠ তৈরি করেন। আবার কেউ এমন ব্যবস্থা করেন যাতে সূর্যের আলো সরাসরি না ঢুকে, ছায়াসম্বলিত হয়ে ঢোকে।

নিজের ‘উদ্ভাবন আর সৃজনশীলতা’ দিয়ে একেক স্থপতি এই বিষয়গুলোকে একেকভাবে ব্যবহার করেন বলে মন্তব্য করেন মি. হাবিব।

‘বায়ু আর শব্দ দূষণের কারণে তীব্র তাপদাহে মানুষ’
বর্তমানে ঢাকায় যে পরিমাণে শব্দ ও বায়ু দূষণ আছে তাতে করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের বিপরীতে গিয়ে খোলামেলা ভবনের উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন আছে অনেকের।

স্থপতি ইকবাল হাবিব একে একটি ‘চেইন এফেক্ট’ বলছেন। তার মতে, শব্দ দূষণের বড় একটি কারণ যানবাহনের হর্ন। কেবল হর্ন দেয়া বন্ধ করতে না পারার ফলে হাজার কোটি টাকা খরচ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে।

এতে করে একদিকে বিদ্যুতের অতিরিক্ত ব্যবহার যেমন হচ্ছে, তেমনি আশেপাশের সামর্থ্যহীনদের জন্যে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠছে। এছাড়াও ভবনের উন্মুক্ততা বন্ধ করে দেয়ায় শিশুদের জীবনাচরণ বদলে যাচ্ছে।

মি. হাবিব বলেন, “সব মেনে নেবো কেবল হর্ন দিতে স্বাচ্ছ্যন্দ্য বোধ করি বলে? এটা কি হতে পারে? দার্শনিকভাবে দেখলে, সমস্যা সমাধানের কোনো তৎপরতা নেই। তার কারণে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে আর তৈরি হচ্ছে এই উত্তপ্ততা।”

ফলে পরোক্ষভাবে বায়ু আর শব্দ দূষণের কারণেও মানুষ তীব্র তাপদাহ অনুভব করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই চেইন এফেক্টের ব্যাপারে মনোযোগী হলে অনেক কিছু উত্তরণ করা সম্ভব।”

আরও কিছু বাস্তবতা
পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি ভবনে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ সময়ই ভবন মালিকরা এই পানি ওয়াসা থেকে না কিনে ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের গভীর থেকে তোলেন বলে জানান ড. আহমেদ।

এছাড়াও এ ধরনের কাঁচ দিয়ে নির্মিত ভবনগুলোতে শেডিং ব্যবস্থা না থাকলে সূর্যের আলো কাঁচে প্রতিফলিত হয়ে গাড়ির চালকের চোখে পড়লে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

সবমিলিয়ে ভবনে শেডিংবিহীন কাচের ব্যবহারে “বহুমাত্রিক পরিবেশগত প্রভাব পড়ছে” বলেই মত এই নগর বিশ্লেষকের।

তিনি বলেন, “আমাদের দেশে যে আবহাওয়া, আমাদের যে সংস্কৃতি, আমাদের দেশের এনার্জির পরিস্থিতি বা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলোকে মাথায় নিয়ে এসব কিছু হচ্ছে না।”

সমাধান কী?
বাংলাদেশে বর্তমানে ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত যে আইন ও নীতিমালা আছে, তার কোনোটিতেই কাচের ভবনের শেডিং ব্যবস্থা কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহারের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। ফলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ভবন নির্মাণ করেও অনেকেই পার পেয়ে যাচ্ছেন।

সেক্ষেত্রে ‘ইমারত নির্মাণ বিধিমালা’ ও ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের’ মাধ্যমে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট একটি নগর দর্শন বা নির্মাণ দর্শনের তাগিদ দিচ্ছেন নগরবিদরা।

সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালায় একটি ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার কতটুকু হবে বা ভবনটি কী পরিমাণ ইলেকট্রিক লোড নিতে পারবে সেই বিধান রাখার পাশাপাশি ভবনগুলোর মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব ও সবুজায়নের নিয়ম রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

ড. আহমেদ যুক্ত করেন, “একইসঙ্গে আর্থিক প্রণোদনার বিষয়টিও রাখা যেতে পারে।”

তার মতে, ভবন বদ্ধ হলে মানুষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের দিকে ঝুঁকবেই।

“সেক্ষেত্রে ভবনে প্রাকৃতিকভাবে বায়ু চলাচলের ‘ভ্যান্টিলেশন ব্যবস্থা’ থাকলে সরকার বা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্সে রিবেট কিংবা ইন্স্যুরেন্সে সুবিধার মতো প্রণোদনা দিলে অনেকেই এই বিষয়ে উৎসাহী হতে পারেন।”

এক্ষেত্রে জার্মানির উদাহরণ টানেন তিনি। বলেন, শীতপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কাঁচ দিয়ে নির্মিত ভবনে শেডিং ব্যবহার করলে প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে।

“এর মাধ্যমে ভবন মালিক বা ব্যবহারকারীরা নিয়মের দিকে ঝুঁকবে বা মনোযোগী হবে। নয়তো যাই বলা হোক না কেন বাজার নিয়ন্ত্রণকারীরাই ফলাফল নির্ধারণ করবে,” বলেন মি. আহমেদ। সূত্র: বিবিসি।

Tags: কাচ ভবনদাবদাহ?ভবন
Previous Post

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন রিহ্যাব প্রতিনিধি দল

Next Post

ব্রিটিশ আবাসন খাতে সম্পদের গড় মূল্য রেকর্ড সর্বোচ্চে

এই বিভাগ থেকে আরও পড়ুন

৩৬ কোম্পানির প্লট-ফ্ল্যাট না কেনার আহ্বান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের
আবাসন সংবাদ

৩৬ কোম্পানির প্লট-ফ্ল্যাট না কেনার আহ্বান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের

ড্যাপ সংশোধন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিল রিহ্যাব
আবাসন সংবাদ

ড্যাপ সংশোধন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিল রিহ্যাব

জায়গা থাকলে ১০০ তলা পর্যন্ত ভবন করা যাবে: রাজউক
আবাসন সংবাদ

জায়গা থাকলে ১০০ তলা পর্যন্ত ভবন করা যাবে: রাজউক

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করল সরকার
অর্থ ও বাণিজ্য

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করল সরকার

বন্ধ হচ্ছে অবৈধ আবাসন প্রকল্প
আবাসন সংবাদ

বন্ধ হচ্ছে অবৈধ আবাসন প্রকল্প

রিহ্যাবের আবাসন মেলায় ফ্ল্যাটের ছড়াছড়ি, এক ছাদের নীচেই মিলছে ঋণও
আবাসন সংবাদ

রিহ্যাবের আবাসন মেলায় ফ্ল্যাটের ছড়াছড়ি, এক ছাদের নীচেই মিলছে ঋণও

Next Post
ব্রিটিশ আবাসন খাতে সম্পদের গড় মূল্য রেকর্ড সর্বোচ্চে

ব্রিটিশ আবাসন খাতে সম্পদের গড় মূল্য রেকর্ড সর্বোচ্চে

ADVERTISEMENT

আরও পড়ুন

৩৬ কোম্পানির প্লট-ফ্ল্যাট না কেনার আহ্বান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের
আবাসন সংবাদ

৩৬ কোম্পানির প্লট-ফ্ল্যাট না কেনার আহ্বান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের

ADVERTISEMENT

সর্বশেষ সংযোজন

৩৬ কোম্পানির প্লট-ফ্ল্যাট না কেনার আহ্বান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের

৩৬ কোম্পানির প্লট-ফ্ল্যাট না কেনার আহ্বান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের

আবাসন খাতে স্থবিরতা চরমে

আবাসন খাতে স্থবিরতা চরমে

এশিয়ান পেইন্টস-এর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলার শহীদ মিনারগুলো পেলো নতুন রূপ

এশিয়ান পেইন্টস-এর উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলার শহীদ মিনারগুলো পেলো নতুন রূপ

ড্যাপ সংশোধন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিল রিহ্যাব

ড্যাপ সংশোধন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে ১৫ দিন সময় বেঁধে দিল রিহ্যাব

টপ ট্রেন্ডিং

বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
বিবিধ

বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
নির্বাচিত প্রতিবেদন

রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে

রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
আইন-কানুন

রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)

Facebook Youtube
Abasan TV

বাংলাদেশের আবাসন, রিয়েল এস্টেট, ইন্টেরিয়র, স্থাপত্যশিল্প এবং রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারস সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, ছবি, ভিডিও খবর পড়তে ভিজিট করুন ’আবাসন’ পোর্টাল

Connect With Us

জনপ্রিয় বিষয়গুলো

হোটেল খাতহোটেল শেয়ারহাকীমপুরী জর্দাহোটেল-মোটেলহিস্যা বেড়েছেহাউজিং এক্সপো ২০২৪হোন্ডাজেটহাউজিং এক্সপোহোটেল কক্ষহোম ব্র্যান্ড

যোগাযোগ

রাহাত টাওয়ার (৯ম তলা)
১৪ বিপনন সি/এ, লিংক রোড
বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।
সংবাদ ও পিআর সংক্রান্ত ইমেইল
abasan.tv@gmail.com
মোবাইল : 017377 00 555

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আবাসন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও ডেভেলপড Team MediaTix.

No Result
View All Result
  • সংবাদ
  • ফিচার
    • ক্যারিয়ার
  • স্মার্ট হোম
  • বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • লোন ক্যালকুলেটর
  • ভিডিও

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আবাসন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
ডিজাইন ও ডেভেলপড Team MediaTix.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist