উপসাগরীয় দেশ ওমানের অর্থনীতিতে জ্বালানি তেলবহির্ভূত খাতের অবদান ক্রমেই বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশটির জিডিপি দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলবহির্ভূত খাতের অবদান অগ্রগণ্য।
দেশটির পরিসংখ্যান অফিসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে ওমানের অর্থনীতি ১ হাজার ৪৫ কোটি ওমানি রিয়াল বা ২ হাজার ৭১৫ কোটি ডলার সম্প্রসারণ হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলবহির্ভূত কার্যকলাপের পরিমাণ ছিল ৭১৮ কোটি রিয়াল, যা ২০২৩ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
চলতি বছরে ওমান ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে। পূর্বাভাসের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি ও জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
গত জানুয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ফিউচার ফান্ড ওমানের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এর লক্ষ্য হলো বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগে বিনিয়োগ বাড়ানো।
পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যানুসারে, বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওমানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলভিত্তিক কার্যক্রমের পরিমাণ ছিল ২৯৯ কোটি রিয়াল, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কম। প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে আয় ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় গত জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দশমিক ১ শতাংশ কমে প্রায় সাড়ে ৫২ কোটি ৪৪ লাখ রিয়ালে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া শিল্পোৎপাদন কার্যক্রম ২১৮ কোটি রিয়াল হয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে এ খাতে জিডিপির অবদান ছিল ১৯১ কোটি রিয়াল।
জুনে ওমান বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে দেশটির সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের পরিমাণ আনুমানিক ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ সালে ১ হাজার ৯২৪ কোটি রিয়ালে পৌঁছেছে। এছাড়া ওই বছর বিনিয়োগের ওপর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ হারে রিটার্ন অর্জিত হয়েছে। সূত্র: আরব নিউজ।