অর্থ ও বাণিজ্য
নিউইয়র্ক-লন্ডনের তুলনায় এশিয়ায় বাড়ছে বিলাসবহুল আবাসনের মূল্য

ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও সরবরাহের নিরিখে সম্প্রসারিত হচ্ছে বৈশ্বিক রিয়েল এস্টেট খাত। এ খাতের লেনদেনের বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে প্রাইম প্রপার্টি নামে পরিচিত বিলাসবহুল আবাসনগুলো, যেখানে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মূল্য।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, খরুচে বাড়ির চাহিদার দিক থেকে আমেরিকা ও ইউরোপকে টেক্কা দিচ্ছে এশিয়ার কিছু শহর। এতে অবশ্য বাদ পড়েছে আবাসন নিয়ে সংকটে থাকা চীনের শহরগুলো।
রিয়েল এস্টেট খাতের পরামর্শক নাইট ফ্রাঙ্ক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এশিয়ার বেশকিছু শহরে বিলাসবহুল বাড়ির দাম ক্রমে বাড়ছে। অন্যদিকে একই সময়ে নিউইয়র্ক ও লন্ডনের মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোয় নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষণীয়।
সাধারণত আবাসন বাজারের শীর্ষ ৫ শতাংশ প্রাইম প্রপার্টি হিসেবে সংজ্ঞায়িত। এর আওতায় থাকে অতিধনীদের জন্য নির্মিত বিলাসবহুল আবাসন প্রকল্পগুলো।
নাইট ফ্রাঙ্কের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় নিউইয়র্ক ও লন্ডনে প্রাইম প্রপার্টির মূল্য ২ শতাংশের বেশি কমে গেছে। এশিয়া ও ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত দুই শহর হংকং ও বার্লিনে একই ধরনের পতন লক্ষ করা গেছে। এর বিপরীতে এশিয়ার জনবহুল কিছু বাণিজ্যিক শহরে বিলাসবহুল সম্পত্তির দাম ডাবল ডিজিটে বেড়েছে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ও উদীয়মান দুই ধরনের অর্থনীতিই রয়েছে। প্রাইম প্রপার্টির মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে ম্যানিলা, টোকিও ও মুম্বাই। শহরগুলোয় মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে বিলাসবহুল বাড়ির মূল্য বেড়েছে যথাক্রমে ২৭, ১৩ ও ১২ শতাংশ।
মূলত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এ ধরনের সম্পত্তির চাহিদাকে প্রভাবিত করছে। প্রতিবেদন অনুসারে, উচ্চ সুদহার ও মন্দার ভয় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সম্পত্তির বাজারকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তবে বৈশ্বিক শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের চাহিদার কারণে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রধান রিয়েল এস্টেট বাজারগুলোয় গড় মূল্য বেড়েছে। নাইট ফ্রাঙ্কের বিশ্লেষণে থেকে দেখা যায়, বিশ্বের বড় ৪৪টি শহরে আবাসন খাতে বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশ।
এশিয়ায় বিলাসবহুল আবাসনের ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী স্থানে রয়েছে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মাঝে দেশটির অর্থনীতি সবচেয়ে শক্তিশালী হারে প্রসারিত হচ্ছে, এর প্রভাব পড়েছে ম্যানিলায় আবাসন খাতে। অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দুর্বল বিনিময় হার ও ঋণ বাবদ খরচ কম হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে জাপানের রাজধানী টোকিও এখন বেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য।
নাইট ফ্রাঙ্কের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ভারতের বিকাশমান অর্থনীতির সঙ্গে মুম্বাইয়ে বিলাসবহুল আবাসনের চাহিদা বৃদ্ধি বেশ সংগতিপূর্ণ। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বৈশ্বিক জিডিপি হিস্যায় ২০২৮ সালে শীর্ষ অবদানকারী হয়ে উঠবে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অতিধনীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে ভারত।
অবশ্য কভিড-১৯-পরবর্তী প্রাইম প্রপার্টি বাজারে একই ছকে এগোয়নি। ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওই বছরে বিলাসবহুল আবাসনে প্রবৃদ্ধি ছিল শূন্য। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, উচ্চ সুদহার চাহিদাকে প্রশমিত করেছিল। কিন্তু এখন বাজার নতুন গতি পেয়েছে, প্রায় ৭৮ শতাংশ বাজারে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে। সম্পত্তি বাজারে সাম্প্রতিক এ পরিস্থিতি নাইট ফ্রাঙ্কের প্রাইম প্রপার্টি সূচককে আরো ইতিবাচক দিকে উন্নীত করেছে। সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ খাতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
এ বিষয়ে নাইট ফ্রাঙ্কের গবেষণা দলের বৈশ্বিক প্রধান লিয়াম বেইলি জানান, দামের এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সাময়িক নয়, বরং তুলনামূলক স্থিতিশীল চাহিদার কারণে প্রাইম প্রপার্টির বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। ফলে কম সরবরাহের বিপরীতে বিলাসবহুল আবাসনের চাহিদা ক্রমে বেড়ে চলেছে। সামগ্রিকভাবে এ প্রভাব পড়েছে মূল্যবৃদ্ধিতে।
এদিকে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এশিয়ার আরেক আবাসন বাজার দুবাইয়ের চিত্র তুলে ধরেছে নাইট ফ্রাঙ্ক। সেখান বলা হয়, প্রাইম প্রপার্টির বিক্রির ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে লন্ডন ও নিউইয়র্কের চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছে দুবাই। দুবাইয়ে ১ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের বাড়ি বেড়েছে ২৬ শতাংশ। চলতি বছর এ বাজার আরো সম্প্রসারিত হবে। সূত্র: দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
অর্থ ও বাণিজ্য
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তার আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ২১ কোটি টাকা বা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিং গতকাল মঙ্গলবার তাদের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার মাধ্যমে মুনাফার এই হিসাব দিয়েছে। একই সভা থেকে কোম্পানিটি গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার আগের অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে গত অর্থবছরে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ও লভ্যাংশ উভয়ই বেড়েছে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে চূড়ান্ত করা মুনাফা ও লভ্যাংশের তথ্য আজ বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত অর্থবছরের জন্য তারা শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আড়াই টাকা (২৫ শতাংশ) করে লভ্যাংশ দেবে। বর্তমানে শেয়ারধারীদের হাতে কোম্পানিটির যে শেয়ার রয়েছে তার বিপরীতে লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ করতে হবে। আগের অর্থবছরে (২০২৩–২৪) কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তাতে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একেকজন শেয়ারধারী ১ টাকা ৯০ পয়সা করে পেয়েছিলেন। ওই বছর ঘোষিত লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে বিতরণ করেছিল প্রায় ১৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ বাবদ ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে কোম্পানিটি। লভ্যাংশ বাবদ বাড়তি এই ব্যয়ের জোগান আসছে বাড়তি মুনাফা থেকে। কারণ, এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা ২১ কোটি টাকা বেড়েছে।
এদিকে মুনাফা ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির খবরে আজ শেয়ারবাজারে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের দামও ঊর্ধ্বমুখী ছিল লেনদেনের শুরু থেকে। প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ টাকা বা সোয়া ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। এ সময় কোম্পানিটির ৮ লাখের বেশি শেয়ারের হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
অর্থ ও বাণিজ্য
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করল সরকার

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। কেউ এ-সংক্রান্ত নির্দেশিকার ব্যত্যয় ঘটালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ অনুযায়ী পরিহারযোগ্য বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন তথ্যাদি শেয়ার করছেন এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারকে বিব্রত করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন; যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চাকরিবিধির পরিপন্থী ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ। প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাঁদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। অনেক ক্ষেত্রে তা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হানিকর এবং বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ের অপরাধ। এ ধরনের বিভিন্ন ব্যত্যয়গুলো নজরে আসায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আদেশে জ্যেষ্ঠ সচিব, সচিব এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’-এর সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা’, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা’ এবং ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা’ অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
-
বিবিধ2 years ago
বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
রাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আবাসন সংবাদ2 months ago
মাত্র ২৪ ঘন্টায় খতিয়ানের ভূল সংশোধনের সরকারি নির্দেশনা
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
সীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
ফিচার1 month ago
প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল
-
আইন-কানুন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত