Connect with us
<

আবাসন সংবাদ

আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি জার্মান-ডেনমার্ক প্রযুক্তিনির্ভর

আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠার যাত্রাটি ছিল দীর্ঘ ও কঠিন। এ যাত্রায় বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ১৩২ কেভি সংযোগের অভাবে ফ্যাক্টরিকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছিল না। শুরুতে দক্ষ শ্রমিক খুঁজে পাওয়া ও তাদের ব্যবস্থাপনা নিয়েও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারী যন্ত্রপাতি ফ্যাক্টরিতে পরিবহন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এছাড়া ফ্যাক্টরি স্থাপনের জন্য নদী শাসন, বিআইডব্লিউটিএ থেকে অনুমতি নেয়া এবং গ্যাস পাইপলাইন সংযোগ করা অনেক সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ কাজ ছিল। এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আকিজ গ্রুপের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ফলে এ ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে।

কারখানার আকার ও শ্রমিকের সংখ্যা: ২৪ একর জমির ওপর নির্মিত আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির যাত্রা শুরু হয়েছিল আনুমানিক ২০০ জন শ্রমিক নিয়ে।

বর্তমান শ্রমিক সংখ্যা ও তাদের প্রাপ্ত সুবিধা
আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে বর্তমানে ৮৫০ জন শ্রমিক নিয়মিত ভিত্তিতে কর্মরত আছেন। আমরা শ্রম আইন ও প্রবিধানের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কারখানার বিভিন্ন ইউনিট ও যন্ত্রপাতি

আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে বর্তমানে দুটি প্রডাকশন লাইন রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি জার্মান প্রযুক্তিনির্ভর এবং দ্বিতীয়টি ডেনমার্ক প্রযুক্তিনির্ভর। কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্রেন, মোটর, ফ্যানসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়, যার অধিকাংশই বেলজিয়াম, ইতালি, জার্মানি ও চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।

আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়, যা পরিবেশগত মান বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার অনুমোদিত বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণার পরিমাণ ৪০০ পিপিএম পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলেও আকিজ সিমেন্টের প্রথম প্রডাকশন লাইন ২৫ পিপিএম এবং দ্বিতীয় প্রডাকশন লাইন মাত্র ১৫ পিপিএম ধরে রাখার নিশ্চয়তা দিচ্ছে, যা কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

Advertisement

বিদেশী কর্মী: কারখানায় স্থায়ীভাবে কোনো বিদেশী কর্মী বা প্রকৌশলী কর্মরত নেই। তবে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রয়োজনে কনসালট্যান্টদের নিয়োগ দেয়া হয়, যাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ভবিষ্যতে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা
বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্পে আকিজ গ্রুপের অবদান অপরিসীম। প্রায় ২৪ একর জমির ওপর দুটি চায়নিজ বল মিল স্থাপনের মধ্য দিয়ে আকিজ সিমেন্টের যাত্রা শুরু হয়। এ মিলগুলো প্রতি ঘণ্টায় ৬০০ টন করে পিসি (PC) সিমেন্ট উৎপাদন করত।

২০০৭ সালে আকিজ সিমেন্ট বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জার্মানির LOESCHE কোম্পানির অত্যাধুনিক ভিআরএম (VRM) টেকনোলজি স্থাপন করে। এ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়ে আসছে।

২০১৮ সালে আকিজ সিমেন্ট আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়। FLSmidth কোম্পানির আরো উন্নত ভিআরএম টেকনোলজি স্থাপন করে, যা প্রতি ঘণ্টায় ২২০ টন সিমেন্ট উৎপাদনের ক্ষমতা রাখে।

রফতানি: আকিজ সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড সর্বদা গুণগত মানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। উন্নত কাঁচামাল ও কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদিত আকিজ সিমেন্ট দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা পূরণে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই বর্তমানে আকিজ ব্র্যান্ডের সিমেন্ট বিদেশে রফতানি করা হয় না, বরং দেশের ভেতরেই সেরা মানের সিমেন্ট সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

Advertisement

ব্যবসার বর্তমান আকার ও বাজার অংশীদারত্ব
বাংলাদেশের বর্তমান সিমেন্ট বাজারের মূল্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ বিশাল বাজারে আকিজ সিমেন্টের অংশীদারত্ব ৬-৭ শতাংশ। আকিজ সিমেন্ট সর্বদা গুণমানকে প্রাধান্য দেয়। ফ্লাই অ্যাশের পরিবর্তে স্ল্যাগ ব্যবহারের কারণে প্রতিষ্ঠানটির সিমেন্টের গুণগত মান উন্নত, যার কারণে দাম কিছুটা বেশি। তাই আকিজ সিমেন্টকে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের একটি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ প্রিমিয়াম সেগমেন্টে আকিজ সিমেন্টের বাজার শেয়ার প্রায় ৩০ শতাংশ।

Continue Reading
Advertisement

আবাসন সংবাদ

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা প্রদান বিষয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা সম্বলিত সুপরিকল্পিত বিশ্বমানের আধুনিক ভবন নির্মাণে রিহ্যাব সদস্যবৃন্দ বদ্ধপরিকর। এ জন্য সিডিএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগীতা কামনা করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের পরিচালক ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, নূর উদ্দীন আহাম্মদ, শারিস্থ বিনতে নূর, মোঃ মাঈনুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিয়নের সিডিএ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার এস. এম আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল সদস্যবৃন্দ এবং রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রকৌশলী ও স্থপতিবৃন্দ।

Continue Reading

অর্থ ও বাণিজ্য

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তার আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ২১ কোটি টাকা বা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিং গতকাল মঙ্গলবার তাদের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার মাধ্যমে মুনাফার এই হিসাব দিয়েছে। একই সভা থেকে কোম্পানিটি গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার আগের অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে গত অর্থবছরে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ও লভ্যাংশ উভয়ই বেড়েছে।

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে চূড়ান্ত করা মুনাফা ও লভ্যাংশের তথ্য আজ বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত অর্থবছরের জন্য তারা শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আড়াই টাকা (২৫ শতাংশ) করে লভ্যাংশ দেবে। বর্তমানে শেয়ারধারীদের হাতে কোম্পানিটির যে শেয়ার রয়েছে তার বিপরীতে লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ করতে হবে। আগের অর্থবছরে (২০২৩–২৪) কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তাতে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একেকজন শেয়ারধারী ১ টাকা ৯০ পয়সা করে পেয়েছিলেন। ওই বছর ঘোষিত লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে বিতরণ করেছিল প্রায় ১৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ বাবদ ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে কোম্পানিটি। লভ্যাংশ বাবদ বাড়তি এই ব্যয়ের জোগান আসছে বাড়তি মুনাফা থেকে। কারণ, এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা ২১ কোটি টাকা বেড়েছে।

এদিকে মুনাফা ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির খবরে আজ শেয়ারবাজারে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের দামও ঊর্ধ্বমুখী ছিল লেনদেনের শুরু থেকে। প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ টাকা বা সোয়া ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। এ সময় কোম্পানিটির ৮ লাখের বেশি শেয়ারের হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
আবাসন সংবাদ3 weeks ago

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান...

নির্বাচিত প্রতিবেদন4 weeks ago

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর...

অর্থ ও বাণিজ্য4 weeks ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭...

আবাসন সংবাদ4 weeks ago

আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাকুরির গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মোটা...

আইন-কানুন4 weeks ago

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া...

Advertisement

সর্বাধিক পঠিত