বিবিধ
৫ জুলাই জাতীয় কোয়ালিটি কনভেনশন আয়োজন করেছে বিএসটিকিউএম

বাংলাদেশের ইন্ড্রাস্ট্রি খাতে বিপুল পরিমাণ অপচয় হয় যা সার্বিক গুণমান উন্নয়ন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোধ করা সম্ভব। এই অপচয় রোধ করা গেলে আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করা সম্ভব। এজন্য দেশের সর্বস্তরে গুণমান উন্নয়ন এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপর জোর দিতে হবে।
আজ শনিবার (২৮ জুন) ২৮তম জাতীয় বার্ষিক কোয়ালিটি কনভেনশন (এনএকিউসি) উপলক্ষ্যে আয়োজত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় আয়োজকরা এসব কথা বলেন।
প্রতিবছরের ন্যায় আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় বার্ষিক কোয়ালিটি কনভেনশন (এনএকিউসি)। আগামী ৫ জুলাই ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাসে এই ২৮তম জাতীয় বার্ষিক কোয়ালিটি কনভেনশন (এনএকিউসি) আয়োজন করা হয়েছে। দিনব্যাপী এই আয়োজনে ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের ৫শ এর বেশি ডেলিগেট এবং ৭০টির বেশি সার্কেল অংশগ্রহণ করছে। অংশগ্রহনকারীরা নিজেদের সার্বিক মানউন্নয়ন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উদ্যোগ, আইডিয়া, সফলতাসহ নানা বিষয় তুলে ধরবেন। সার্বিক মানউন্নয়ন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কারও দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম) এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর উদ্যোগে আয়োজিত কনভেনশনের এবারের স্লোগান কোয়ালিটি ফার্স্ট : এমপাওয়ারিং লোকাল ইন্ডাস্ট্রি ফর গ্লোবাল এক্সিলেন্স।
দ্য স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিয়ম সভায় টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা এবং বিএসটিকিউএম এর কার্যক্রম, সম্ভাবনাসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন বিএসটিকিউএম এর উপদেষ্টা প্রকৌশলী এ এম এম খাইরুল বাশার, দ্য স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিএসটিকিউএম এর উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়াল। বিএসটিকিউএম এর সভাপতি এ কে এম শামসুল হুদার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএসটিকিউএম এর সাধারন সম্পাদক এম এম কবির, এনএকিউসি’র আহবায়ক প্রকৌশলী মো. ওয়ালিউর রহমান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিএসটিকিউএম এর সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম) বাংলাদেশে গুণমান উন্নয়ন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিরবে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি বাংরাদেশের সকল স্তরে গুণমান উন্নয়নে নানা কর্মসূচী পালন করে থাকে।
বিবিধ
আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের হোসেন হাউজিং: স্বাচ্ছন্দ্যের নতুন ঠিকানা

ঢাকার ধানমন্ডি থেকে শ্যামলীর দিকে যেতে শ্যামলী মোড় পার হলেই চোখে পড়ে অনেকগুলো সুউচ্চ আবাসিক ভবন। ভবনগুলো একটি আবাসিক এলাকার গেটেড কমিউনিটি প্রজেক্ট। আবাসিক এলাকার নাম ‘আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হোসেন হাউজিং’। প্রায় ১০ বিঘা এলাকাজুড়ে আধুনিক সুবিধার সমন্বয়ে নির্মিত ১১টি আবাসিক ভবনের মধ্যে পাঁচটি ভবন ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনটির নির্মাণকাজ চলছে। বাকি তিনটির নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে।
শ্যামলী এলাকায় বসবাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হাতের নাগালেই সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাওয়া যায়। দেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবার জোন হিসেবে পরিচিত এলাকাটি হোসেন হাউজিং থেকে হাঁটার দূরত্বে। হোসেন হাউজিংয়ের কাছেই বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল। আবার মূল সড়কের ওপারে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ ছাড়া শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ স্বনামধন্য অনেক বিশেষায়িত হাসপাতাল শ্যামলীতেই অবস্থিত।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, আশা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্যামলীকে বসবাসের জন্য আদর্শ করে তুলেছে। অন্যদিকে নিত্যদিনের বাজার-সদাইয়ের জন্য রয়েছে প্রিন্স বাজার, শ্যামলী স্কয়ার শপিং মল, টোকিও স্কয়ার এবং অতিপরিচিত কৃষি মার্কেট।
শ্যামলীতে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক মানুষের আবাসন–চাহিদা মেটাতে নিজস্ব জমিতে গড়ে তুলেছে হোসেন হাউজিং। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণাধীন তিনটি ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি শুরু করেছে। ১২ তলাবিশিষ্ট এই তিনটি ভবনে ১ হাজার ১১৫ বর্গফুট থেকে ২ হাজার ৭৪৯ বর্গফুট, ৩ এবং ৪ বেডরুমের আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। যে কেউ চাইলে এখান থেকে অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে পারবেন। এমনকি চাইলে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে দিতেও সাহায্য করছে।
এলাকাজুড়ে নির্মাণাধীন ১১টি আধুনিক ভবনের পাশাপাশি এই আবাসিক এলাকায় থাকছে মসজিদ, শিশুদের খেলার জন্য জন্য স্থান, এটিএম বুথ, লন্ড্রি, সাইক্লিং ও জগিং ট্র্যাক, মিনি মার্ট ইত্যাদি। রয়েছে পৃথক লাইফস্টাইল কমপ্লেক্স, যেখানে সুইমিং পুল, জিম, ইয়োগা, ইনডোর প্লে জোন, কমিউনিটি হলসহ কিছু বাড়তি সুবিধা, যা শ্যামলীতে বিলাসবহুল বসবাসের অভিজ্ঞতা দেবে।
শ্যামলীর আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের হোসেন হাউজিং প্রকল্পটি চমৎকার স্থাপত্যশৈলী উদাহরণ, যা আনোয়ার গ্রুপের আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি। এই অ্যাপার্টমেন্টগুলোর ফ্লোর ডিজাইনে প্রাধান্য পেয়েছে ফাংশনালিটি, যা প্রতি বর্গফুটের চমৎকার বণ্টন করে সর্বোচ্চ আলো-বাতাস নিশ্চিত করে। হোসেন হাউজিং আবাসিক এলাকার ডিজাইনে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত সবুজায়ন।
প্রায় দুই যুগ ধরে শহরের আবাসন–চাহিদা মেটাতে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক ডিজাইন, নির্মাণের মান, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং নিজস্ব নির্মাণসামগ্রী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় হোসেন হাউজিংয়ে নতুন তিনটি ভবনের নির্মাণ শুরু করেছে। শ্যামলীর দোরগোড়ায় সব নাগরিক সুবিধা নিয়ে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের হোসেন হাউজিং হোক বিলাসবহুল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় বসবাসের নতুন ঠিকানা।
আবাসন সংবাদ
যেসব খাতে বিনিয়োগ করলে মিলবে আয়করে ছাড়

আগামী ৩০ জুন চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হচ্ছে। তাই এখনই একটু চিন্তাভাবনা করা উচিত। কারণ, একটু কৌশলী হলেই আপনি করের বোঝা কমাতে পারবেন। সারা বছরের আয় থেকে অর্থবছরের শেষ দিকে এসে কোথাও বিনিয়োগ করুন। দেখবেন, আপনার কর কমে গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে এমন কিছু খাত ঘোষণা করা আছে, যেখানে বিনিয়োগ করলে অনেক টাকা করছাড় বা কর রেয়াত পাবেন। ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ করদাতাদের জন্য সঞ্চয়পত্র কিংবা মাসিক সঞ্চয় বা পেনশন স্কিম বা ডিপিএস করা হলো কর কমানোর অন্যতম সহজ কৌশল। সঞ্চয়পত্রে সুদ বেশি হওয়ায় তুলনামূলক আপনি বেশি মুনাফা পাবেন, আবার করছাড়ও পাবেন।
খাতগুলো কী
এনবিআর করছাড় নেওয়ার জন্য ৯টি খাত ঠিক করে দিয়েছে। তার একটি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ। এর বাইরে আরও আটটি খাত আছে। এগুলো হলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চার ক্রয়; জীবনবিমার প্রিমিয়াম; সরকারি কর্মকর্তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ভবিষ্য তহবিলের চাঁদা;
স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাঁদা; কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠীবিমার তহবিলে চাঁদা; সরকার অনুমোদিত ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ এবং সুপার অ্যানুয়েশন ফান্ডে চাঁদা। আর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করলেও কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। ডিপিএসের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকার ওপর এই করছাড় দেওয়া আছে।
দান করলেও আছে করছাড়
নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ, দান করেও করছাড় সুবিধা নেওয়া যায়। অনেকেই বিভিন্ন খাতে দান করেন। একটু ভেবেচিন্তে দান করলে তার বিপরীতে নিজের কর কমিয়ে ফেলতে পারবেন। সরকার ১৩টি খাতে দান করলে করছাড় সুবিধা দেয়। এগুলো হলো জাতির জনকের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান; জাকাত তহবিল; জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনুমোদিত দাতব্য হাসপাতাল;
প্রতিদ্বন্দ্বীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর; আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক; আহছানিয়া ক্যানসার হাসপাতাল; ঢাকা আহছানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতাল; এশিয়াটিক সোসাইটি; আইসিডিডিআরবি; সিআরপি; মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান এবং সরকার অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
-
বিবিধ2 years ago
বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
সীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
রাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
মাত্র ২৪ ঘন্টায় খতিয়ানের ভূল সংশোধনের সরকারি নির্দেশনা
-
ফিচার4 weeks ago
প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল
-
আইন-কানুন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
প্রিমিয়াম হোল্ডিংয়ের বর্ষপূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী একক আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত