বিবিধ
অপরিকল্পিত পূর্বাচল সড়ক, অপচয় রোধ করা প্রয়োজন

দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থার বিষয়টি বহুল আলোচিত। কোনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে যেমন যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার, তেমনি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত। তা না হলে সেই প্রকল্প জনস্বার্থে কাজে আসে না। যেমনটা হয়েছে ঢাকার পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষেত্রে।
সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে এক্সপ্রেসওয়ে করা হয়। অথচ পূর্বাচল সড়কে এক্সপ্রেসওয়ে করা হয়েছে মাত্র ১২ কিলোমিটার সড়কে, যার দুই প্রান্তে রয়েছে আবার সরু সড়কও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অদূরদর্শী এমন পরিকল্পনায় সরকারের ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৫২৪ কোটি টাকা।
অর্থাৎ ৭৬৪ কোটি টাকায় তৈরি ওই সড়ক রাজধানীর সড়কের আদলে নির্মাণ করলে খরচ হতো সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি টাকা। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, তড়িঘড়ি নির্মাণ করা রাজউকের এ এক্সপ্রেসওয়ে চলতি বছরের মাঝামাঝিতে মেট্রোরেল-১-এর নির্মাণকাজের কারণে আবার ভাঙতে হবে। সেটি হলে অতিরিক্ত খরচে নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়ের অপচয়ের হিসাব আরও বাড়বে।
জানা যায়, পূর্বাচল সড়কের সংস্কার ও আধুনিকায়নের নামে ২০১৩ সালে সেখানে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ লেনের সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে ব্যয় বাড়িয়ে ৪২৪ কোটি টাকায় নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। এর তিন বছর পর কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পূর্বাচল সড়ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হয়।
ওই প্রকল্পে পূর্বাচলের নতুন সড়ক ভেঙে ৭৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়। এখন এ সড়ক মেট্রোরেলের কাজের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে রাজউককে আবারও প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে; তখন নানা অনুষঙ্গ যুক্ত করে মোট ব্যয় দাঁড়াতে পারে হাজার কোটি টাকা।
পূর্বাচল উপশহর নিয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ হিসাবে রাজউক কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডটি প্রশস্ত করেছে। ভবিষ্যতে পূর্বাচল সড়কটি সিলেট হাইওয়ের সঙ্গে মিলবে। সে হিসাবে রাজউক চার লেন সড়ক বাইরের যোগাযোগের জন্য নির্ধারিত রয়েছে, সেটা ভালো উদ্যোগ। তবে এক্সপ্রেসওয়েটি যেখানে গিয়ে মিলবে সেটা এক্সপ্রেসওয়ে নয়। আমরা মনে করি, এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে আগে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সব দিক যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেওয়া উচিত ছিল। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ প্রকল্পের ক্ষেত্রেই এর ব্যত্যয় ঘটে থাকে। আমরা দেখছি, সড়কে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও যানজট সমস্যার সমাধান মিলছে না। বরং দিন দিন তা প্রকট আকার ধারণ করছে। যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে একদিকে রাস্তাগুলো সংকুচিত হচ্ছে; অন্যদিকে পরিবহণের সংখ্যা বাড়ছে। কম সড়কে বেশি যানবাহন চলাচল করায় স্বভাবতই একদিকে সেগুলোর গতি হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। এর ধকল নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ কর্মঘণ্টা। তাই কোনো প্রকল্প অনুমোদনের আগে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নেবে, এটাই প্রত্যাশা।

বিবিধ
৫ জুলাই জাতীয় কোয়ালিটি কনভেনশন আয়োজন করেছে বিএসটিকিউএম

বাংলাদেশের ইন্ড্রাস্ট্রি খাতে বিপুল পরিমাণ অপচয় হয় যা সার্বিক গুণমান উন্নয়ন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোধ করা সম্ভব। এই অপচয় রোধ করা গেলে আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করা সম্ভব। এজন্য দেশের সর্বস্তরে গুণমান উন্নয়ন এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপর জোর দিতে হবে।
আজ শনিবার (২৮ জুন) ২৮তম জাতীয় বার্ষিক কোয়ালিটি কনভেনশন (এনএকিউসি) উপলক্ষ্যে আয়োজত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় আয়োজকরা এসব কথা বলেন।
প্রতিবছরের ন্যায় আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় বার্ষিক কোয়ালিটি কনভেনশন (এনএকিউসি)। আগামী ৫ জুলাই ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাসে এই ২৮তম জাতীয় বার্ষিক কোয়ালিটি কনভেনশন (এনএকিউসি) আয়োজন করা হয়েছে। দিনব্যাপী এই আয়োজনে ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের ৫শ এর বেশি ডেলিগেট এবং ৭০টির বেশি সার্কেল অংশগ্রহণ করছে। অংশগ্রহনকারীরা নিজেদের সার্বিক মানউন্নয়ন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে উদ্যোগ, আইডিয়া, সফলতাসহ নানা বিষয় তুলে ধরবেন। সার্বিক মানউন্নয়ন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কারও দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম) এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর উদ্যোগে আয়োজিত কনভেনশনের এবারের স্লোগান কোয়ালিটি ফার্স্ট : এমপাওয়ারিং লোকাল ইন্ডাস্ট্রি ফর গ্লোবাল এক্সিলেন্স।
দ্য স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিয়ম সভায় টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এর প্রয়োজনীয়তা এবং বিএসটিকিউএম এর কার্যক্রম, সম্ভাবনাসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন বিএসটিকিউএম এর উপদেষ্টা প্রকৌশলী এ এম এম খাইরুল বাশার, দ্য স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিএসটিকিউএম এর উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়াল। বিএসটিকিউএম এর সভাপতি এ কে এম শামসুল হুদার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএসটিকিউএম এর সাধারন সম্পাদক এম এম কবির, এনএকিউসি’র আহবায়ক প্রকৌশলী মো. ওয়ালিউর রহমান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিএসটিকিউএম এর সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিএসটিকিউএম) বাংলাদেশে গুণমান উন্নয়ন ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিরবে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি বাংরাদেশের সকল স্তরে গুণমান উন্নয়নে নানা কর্মসূচী পালন করে থাকে।
বিবিধ
আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের হোসেন হাউজিং: স্বাচ্ছন্দ্যের নতুন ঠিকানা

ঢাকার ধানমন্ডি থেকে শ্যামলীর দিকে যেতে শ্যামলী মোড় পার হলেই চোখে পড়ে অনেকগুলো সুউচ্চ আবাসিক ভবন। ভবনগুলো একটি আবাসিক এলাকার গেটেড কমিউনিটি প্রজেক্ট। আবাসিক এলাকার নাম ‘আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হোসেন হাউজিং’। প্রায় ১০ বিঘা এলাকাজুড়ে আধুনিক সুবিধার সমন্বয়ে নির্মিত ১১টি আবাসিক ভবনের মধ্যে পাঁচটি ভবন ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনটির নির্মাণকাজ চলছে। বাকি তিনটির নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে।
শ্যামলী এলাকায় বসবাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হাতের নাগালেই সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাওয়া যায়। দেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবার জোন হিসেবে পরিচিত এলাকাটি হোসেন হাউজিং থেকে হাঁটার দূরত্বে। হোসেন হাউজিংয়ের কাছেই বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল। আবার মূল সড়কের ওপারে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ ছাড়া শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ স্বনামধন্য অনেক বিশেষায়িত হাসপাতাল শ্যামলীতেই অবস্থিত।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, আশা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্যামলীকে বসবাসের জন্য আদর্শ করে তুলেছে। অন্যদিকে নিত্যদিনের বাজার-সদাইয়ের জন্য রয়েছে প্রিন্স বাজার, শ্যামলী স্কয়ার শপিং মল, টোকিও স্কয়ার এবং অতিপরিচিত কৃষি মার্কেট।
শ্যামলীতে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক মানুষের আবাসন–চাহিদা মেটাতে নিজস্ব জমিতে গড়ে তুলেছে হোসেন হাউজিং। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণাধীন তিনটি ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি শুরু করেছে। ১২ তলাবিশিষ্ট এই তিনটি ভবনে ১ হাজার ১১৫ বর্গফুট থেকে ২ হাজার ৭৪৯ বর্গফুট, ৩ এবং ৪ বেডরুমের আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। যে কেউ চাইলে এখান থেকে অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে পারবেন। এমনকি চাইলে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে দিতেও সাহায্য করছে।
এলাকাজুড়ে নির্মাণাধীন ১১টি আধুনিক ভবনের পাশাপাশি এই আবাসিক এলাকায় থাকছে মসজিদ, শিশুদের খেলার জন্য জন্য স্থান, এটিএম বুথ, লন্ড্রি, সাইক্লিং ও জগিং ট্র্যাক, মিনি মার্ট ইত্যাদি। রয়েছে পৃথক লাইফস্টাইল কমপ্লেক্স, যেখানে সুইমিং পুল, জিম, ইয়োগা, ইনডোর প্লে জোন, কমিউনিটি হলসহ কিছু বাড়তি সুবিধা, যা শ্যামলীতে বিলাসবহুল বসবাসের অভিজ্ঞতা দেবে।
শ্যামলীর আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের হোসেন হাউজিং প্রকল্পটি চমৎকার স্থাপত্যশৈলী উদাহরণ, যা আনোয়ার গ্রুপের আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি। এই অ্যাপার্টমেন্টগুলোর ফ্লোর ডিজাইনে প্রাধান্য পেয়েছে ফাংশনালিটি, যা প্রতি বর্গফুটের চমৎকার বণ্টন করে সর্বোচ্চ আলো-বাতাস নিশ্চিত করে। হোসেন হাউজিং আবাসিক এলাকার ডিজাইনে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত সবুজায়ন।
প্রায় দুই যুগ ধরে শহরের আবাসন–চাহিদা মেটাতে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক ডিজাইন, নির্মাণের মান, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং নিজস্ব নির্মাণসামগ্রী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় হোসেন হাউজিংয়ে নতুন তিনটি ভবনের নির্মাণ শুরু করেছে। শ্যামলীর দোরগোড়ায় সব নাগরিক সুবিধা নিয়ে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের হোসেন হাউজিং হোক বিলাসবহুল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় বসবাসের নতুন ঠিকানা।
-
বিবিধ2 years ago
বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
রাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
সীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
মাত্র ২৪ ঘন্টায় খতিয়ানের ভূল সংশোধনের সরকারি নির্দেশনা
-
ফিচার4 weeks ago
প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল
-
আইন-কানুন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত