আবাসন ক্যারিয়ার
সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার হতে চান, তাহলে জানতে হবে যে বিষয়গুলো

সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার-এ তিনটি শিল্পকে একত্রে সিরামিক খাত বলা হয়। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত আছেন কয়েক লাখ মানুষ। প্রতিবছর এ শিল্পের প্রসারে বাড়ছে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ। চাইলে আপনিও একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
কাজের ক্ষেত্র ও ধরন
সিরামিক কাজের চাহিদা ও ক্ষেত্র অনেক বড়। একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে এ খাতে। উৎপাদননির্ভর শিল্প হিসেবে কারখানা পরিচালনার জন্য প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক, সিরামিস্ট, কেমিস্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, আইটি খাতের কাজ জানেন- এমন লোকদের কাজের সুযোগ আছে।
অবশ্য পণ্যের নকশা, কালার ম্যাচিং, গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা দেখাই হচ্ছে সিরামিক প্রকৌশলীর মূল কাজ। এ ছাড়া একজন সিরামিক প্রকৌশলী তার সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন সিরামিক পণ্যের ধারণা দিয়ে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে পারেন।
ভালো করতে হলে
কাজটি যেহেতু সৃজনশীল, তাই এ কাজে মেধা ও মননের সঠিক ব্যবহার খুবই জরুরি। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে পারলে এ পেশায় দ্রুত খুব ভালো অবস্থান অর্জন করা সম্ভব।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
এক সময় কোম্পানিগুলোতে সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার পদের জন্য সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি চাওয়া হতো। বর্তমানে সাধারণত বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রি চাওয়া হয়। আবার কোনো কোনো সিরামিকস কোম্পানি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (কোয়ালিটি কন্ট্রোল) পদের জন্য সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং/টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়।
অনেক সময় ডিগ্রির পাশাপাশি সিরামিক টেকনোলজির বিভিন্ন দিকের ওপর শর্ট কোর্স চাওয়া হয়। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে কাস্টিং সুপারভাইজার পদে আবেদনের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির পাশাপাশি সিরামিক কাস্টারের ওপর ভোকেশনাল ট্রেনিং থাকা জরুরি।
এ ছাড়া একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের যে ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়- সিরামিকজাতীয় পণ্যের খুঁটিনাটি জ্ঞান; সর্বোচ্চ উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা; সোলার সেল, ইনসুলেটর আর সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে ভালো ধারণা; কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনে (CAD) দক্ষতা; ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা; কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ধারণা।
অপরদিকে নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা; বিশ্লেষণী ক্ষমতা- যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে; অন্যদের সঙ্গে কাজ করার মানসিকতা থাকা; বিভিন্ন ধরনের কাজ একসঙ্গে সামলানোর দক্ষতা ও কারখানায় কাজ করার মানসিকতা থাকা।
পড়াশোনার সুযোগ
দেশে সিরামিক নিয়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসে চার বছর মেয়াদি সিরামিক টেকনোলজি ডিপ্লোমা কোর্স এবং দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্স চালু আছে। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স আটটি সেমিস্টারে বিভক্ত। এ কোর্সে আসন সংখ্যা ৮০।
দুই বছরের সিরামিক ট্রেড কোর্সে ছয় সপ্তাহ বরাদ্দ রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য। এসএসসি (ভোকেশনাল) সিরামিক ট্রেডে আসন সংখ্যা ৩০। এ বিষয়ে দেশে মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। এ ছাড়া সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে এ বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি দেওয়া হয়। প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই সাধারণ ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
ক্যারিয়ার
প্রথমে এন্ট্রি লেভেলে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করলেও দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে ধীরে ধীরে ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার, চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা প্রোডাকশন হেড হওয়া সম্ভব। ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটিং আর বিজনেস সেক্টরে দক্ষতা থাকলে কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বা সিইও হওয়াও সম্ভব। দেশের বাইরেও রয়েছে এ খাতে কাজ করার প্রচুর সুযোগ। এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়লে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকা যায়।
আয়
সৃজনশীল এ পেশায় পড়াশোনা চলাকালেও চাকরি করে আয়ের সুযোগ থাকে। সদ্য পাশ করা ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে। আর কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে মাসিক বেতন ৬০-৭০ হাজার হয়।
অবশ্য পুরোটাই নির্ভর করে একজনের কাজের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার ওপর। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের বেতন-ভাতা, আবাসনসহ অন্যান্য সুবিধা বহন করে।
আবাসন ক্যারিয়ার
সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের খুঁজে বের করতে হচ্ছে বিশেষ প্রতিযোগিতা

ঘরের সাজসজ্জা বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের নিয়ে আগামী নভেম্বরে ‘আইডেব এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৪’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
দেশের যেকোনো ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-নির্বিশেষে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।
বিশেষ এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইডেব)।
এ উপলক্ষে শনিবার রাজ ধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।

ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিযোগিতাটি এখন থেকে প্রতিবছর চলমান থাকবে। এ প্রতিযোগিতার বিষয়ে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট থেকে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। এ জন্য কোনো ফি লাগবে না।
প্রতিযোগিতায় প্রকল্প জমা দেওয়ার বিষয়ে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রকল্পে কোনো ধরনের ওয়াটারমার্ক বা লোগো থাকা যাবে না। নকশার প্রভাব, সৃজনশীলতা থেকে শুরু করে দেশীয় ঐতিহ্যকে লালন, পরিবেশগত মূল্যবোধ ও রং-এর গুণগত ব্যবহারকে বিচারিক মানদণ্ড হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মোট ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পুরস্কার দেওয়া হবে।

ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিযোগিতার নানা দিক তুলে ধরেন আইডেবের আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম ও সদস্যসচিব সৈয়দ কামরুল আহসান। তাঁরা জানান, বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সংগঠন আইডেব ২০১৯ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কার্যক্রমকে তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। সেই ধারাবাহিকতায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আইডেব আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম বলেন, ১৯৮০ সালের পর থেকে দেশে এই পেশা এলোমেলোভাবে একটু একটু করে এগিয়েছে। বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ মানুষ এই পেশার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে এই খাতে। বাংলাদেশের বহু ডিজাইনার বর্তমানে আন্তর্জাতিক ডিজাইনারদের সঙ্গে তুলনীয় একই মানের কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের কাজের তেমন স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। তাই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দেশের সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সামনে তুলে আনতে চাই।
শফিউল ইসলাম বলেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সমাজে তাঁদের সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করা যাবে +880 1725-151515 এই মোবাইল নম্বরে। এ প্রতিযোগিতার বিষয়ে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।
আবাসন ক্যারিয়ার
ইবনে সিনায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পাবেন আবাসন সুবিধা

ইবনে সিনা ট্রাস্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মেডিকেল অফিসার পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
২৫ জুন থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও সম্পূর্ণ ফি আবাসন সুবিধাসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ইবনে সিনা ট্রাস্ট
পদের নাম: মেডিকেল অফিসার
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিবিএস ডিগ্রি
অন্যান্য যোগ্যতা: বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত।
অভিজ্ঞতা: প্রয়োজন নেই
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: হেলথ কেয়ারে
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই
কর্মস্থল: ইবনে সিনা প্রাইমারি হেলথ কেয়ার আউটডোর সেন্টার, দৌলতপুর (শ্যামারচর বাজার সংলগ্ন),
পোস্ট অফিস: বজেন্দ্রগঞ্জ, থানা: শাল্লা, জেলা: সুনামগঞ্জ।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা প্রদান করা হবে।
আবাসন সুবিধা: সম্পূর্ণ ফি।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ১০ জুলাই ২০২৪
-
বিবিধ2 years ago
বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
সীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
রাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
মাত্র ২৪ ঘন্টায় খতিয়ানের ভূল সংশোধনের সরকারি নির্দেশনা
-
ফিচার4 weeks ago
প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল
-
আইন-কানুন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
প্রিমিয়াম হোল্ডিংয়ের বর্ষপূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী একক আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত