Connect with us
<

আবাসন ক্যারিয়ার

এক সৃজনশীল তরুণের হাত ধরে চট্টগ্রামের আবাসন খাতে আমূল পরিবর্তন

২০০৪ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সদ্য অনার্স শেষ করা ইফতেখার হোসেন বিভোর ছিলেন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর চিন্তায়। কিন্তু ব্যাংক মানি দেখাতে না পারায় তার সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।

ইফতেখার হোসেন তার চাচা সাবেক আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নির্মাণাধীন আগ্রাবাদের আক্তারুজ্জামান সেন্টার প্রকল্পে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বেতনে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি নেন।

ইফতেখার ওই প্রকল্পের লিফট-জেনারেটর সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখভাল করতেন। তার বাবার মালিকানাধীন আবুল হোসেন চৌধুরীর কনস্ট্রাকশন ফার্ম চৌধুরী অ্যাসোসিয়েট নির্মাণকাজটি করছিল।

ওই সময়ই ইফতেখার সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজেই রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গড়বেন।

ইফতেখার বলেন, ‘তখন এই ইন্ডাস্ট্রির প্রধান সমস্যা ছিল মানুষের আস্থার অভাব। নির্ধারিত সময়ে পরেও অ্যাপার্টমেন্টের কাজ সম্পন্ন না করার অনিয়মই তখন প্রচলিত নিয়ম ছিল। আমি চিন্তা করলাম, এই ধারণা দূর করতে হবে।’

Advertisement

এই চিন্তা থেকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন চৌধুরী প্রোপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (সিপিডিএল)।

তিনি জালানে, ‘আমাদের প্রথম প্রকল্প জামালখানের চৌধুরী হাইটস। ২৪ মাস মেয়াদি এই প্রকল্প আমরা ২২ মাসেই বুঝিয়ে দিয়েছিলাম।’

সিপিডিএলের প্রত্যেকটা প্রকল্পের সামনে টাইমার মেশিন বসানো হয় বলে জানালেন ইফতেখার। তিন বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুত সময়ে অ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তর করার সংস্কৃতি চালুর চেষ্টা করেছি।’

প্রায় দুই দশকে কোম্পানিটি ৩৩টি প্রকল্প হস্তান্তর হয়েছে। সেইসঙ্গে সিপিডিএলের হাত ধরে ফুল ফার্নিশড স্টুডিও অফিস অ্যাপার্টমেন্ট, সেকেন্ড হোমের মতো সৃজনশীল ধারণায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রামে ২৩টি প্রকল্পের কাজ চলছে।

চট্টগ্রামে কনডোমিনিয়ামের ধারণা পরিচিত করিয়েছে সিপিডিএল। এক ছাদের নিচে বসবাসের আনুষঙ্গিক সব সুবিধাই কনডোমিনিয়াম। এসব অ্যাপার্টমেন্টে সুইমিং পুল, ওয়াকওয়ে, জিমনেশিয়াম, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, লাউঞ্জ, বাচ্চাদের খেলার স্থানসহ প্রয়োজনীয় সব আধুনিক সুবিধা থাকে।

Advertisement

চট্টগ্রামে আধুনিক লাইফস্টাইলের সুবিধা-সংবলিত প্রথম এ ধরনের অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেছে সিপিডিএল। নগরীর মেহেদীবাগ এলাকায় ৩০ কাঠা জমিতে ক্রিমসন ক্লোভার নামে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা হয় ২০১৪ সালে। একে বলা হয় চট্টগ্রামের প্রথম স্টার ক্লাস রেসিডেন্স।

প্রতিষ্ঠানটি সবসময় সৃজনশীল ও নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করছে। কনডোমিনিয়ামের আদলে মধ্যব্ত্তিদের জন্য নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে ৬০ কাঠা জমিতে ডাউন-টাউন নামে প্রকল্প করেছে সিপিডিএল।

নগরীতে প্লাজা ডে সিপিডিএল নামে ফুল ফার্নিশড স্টুডিও অফিস অ্যাপার্টমেন্টও নির্মাণ করেছে সিপিডিএল। সাধারণত ১০টি অফিসের জন্য আলাদা ১০টি ওয়েটিং রুম, কিচেনসহ সবকিছুর প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্লাজা ডে সিপিডিএলে সবার জন্য কমন ফ্যাসিলিটি রয়েছে। এতে করে অফিস খরচ কমছে। অল্প জায়গা ব্যবহার করে বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করতে পারছে।

নগরীর ফয়েজ লেক এলাকায় ২০ কাঠা জমিতে দ্য গ্যালারিও নামে সেকেন্ড হোম কনসেপ্টে অ্যাপার্টমেন্ট করছে সিপিডিএল। ১৮ তলা ওই ভবনে ছোট ছোট ১০০টি ইউনিট করা হচ্ছে।

ব্যবসায়িকসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসেন অনেকে। তাদের জন্য এই প্রকল্প। ৩৭৫-৯৭৫ বর্গফুটের এসব ছোট ছোট ইউনিটে বছরের কিছু সময় নিজেরা থাকার পাশাপাশি হোটেল/হোস্টেলের মতো করে ভাড়াও দিতে পারবেন ফ্ল্যাট মালিকরা।

Advertisement

সিপিডিএলের প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘আমরা সবসময় একটু ভিন্নভাবে চিন্তার চেষ্টা করেছি। নতুনত্ব আনতে চেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের জামালখান এখন মুক্ত বাতাসে বসার মতো জায়গায় পরিণত হয়েছে। এটিও সিপিডিএলের হাত ধরে শুরু। ঢাকা বেইলি রোডের আদলে আমরা শুরু করেছিলাম।

‘চকবাজারের দেবপাহাড় এলাকায় আমরা যখন প্রকল্প করতে যাই, তখন অনেকে বলেছিলেন, এখানে কে আসবে! “সবুজ ঐতিহ্যে অনন্য দেবপাহাড়” স্লোগানে ওই এলাকার পরিবেশ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছি। এগুলোকে আমরা বলি সোশ্যাল হ্যাপিনেস। সবসময় আর্থিক লাভ হিসেবে নিয়ে কাজ করা যায় না।’

ইফতেখার বলেন, ‘আমাদের এমন কিছু অতিথি চলে আসে, যাদের বাসায় নেওয়া যায় না। তাদের জন্য কনডোনিয়ামে কমন লাউঞ্জ-ড্রইং রুম রয়েছে। সেখানে একটি ফুডকোর্টও আছে। একেবারে নিজের বাসার ড্রইং রুমের মতো।’

প্রকল্প হস্তান্তরের পর সব দায়িত্ব শেষ করে না কোম্পানিটি। গ্রাহকদের কমিউনিটি গঠন করে নিয়মিত সুবিধা-অসুবিধার দেখভাল করে তারা।

Advertisement

প্রকল্প হস্তান্তরের পর সেবা দেওয়ার জন্য সিপিডিএল সার্ভিস অ্যাপ বানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে সমস্যার কথা জানালে ঘরে সেবা পৌঁছে যায়।

ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘কাজ শেষ করে আমরা চলে যাই না। অ্যাপার্টমেন্টের সবকিছু কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, তা নিয়েও নিয়মিত মতবিনিময় করা হয়। আমরা শুধু আর্থিক লাভের জন্য কাজ করছি না। ১০০ বছর পরও যেন মানুষ সিপিডিএলকে মনে রাখে, সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’

সিপিডিএল প্রতিষ্ঠার পর সময়ের প্রয়োজনে আরো সাতটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন ইফতেখার হোসেন।

কর্ণফুলীর ওপারে হচ্ছে স্যাটেলাইট সিটি

চলতি বছর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল চালু হলে নদীর দুই পারের যোগাযোগ সহজ হবে। শহরের বাইরেও কিছু মানুষ বসবাস করতে চান। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে তারা যান না।

Advertisement

কর্ণফুলীর তীরবর্তী আনোয়ারা উপজেলায় স্যাটেলাইট সিটি গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছে সিপিডিএল। সেখানে ৬ একর জমিতে অনিন্দনগর নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘শহরের বাইরে আনোয়ারা একটি গ্রোথ সেন্টার। ওয়ান সিটি টু টাউনের সুবিধায় সেখানে স্যাটেলাইট সিটি গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। স্কুল, কলেজ, পার্ক, ধর্মীয় উপসানালয়সহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে মানুষ সেখানেও বসবাস করবে।

‘আমরা ধীরে ধীরে কাজ করছি। আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগাযোগ করছি শিক্ষার মান বাড়াতে। স্যাটেলাইট সিটি গড়ার লক্ষ্যে সিপিডিএল নীড় নামে আলাদা কোম্পানিও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিসহ সংকটের মধ্যে যাচ্ছে রিয়েল এস্টেট এবং নির্মাণ শিল্প। কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করছে সিপিডিএল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ইফতেখার বলেন, ‘এসব চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সামলানোই ব্যবসায়ীর কাজ। ব্যবসা করতে গেলে নানা ধরনের পরিস্থিতি সামনে আসবে। এর মধ্যে স্ট্রাকচারাল প্রতিষ্ঠান কৌশল দিয়ে টিকে থাকবে। আমরা প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারকরা সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।’

Advertisement
Continue Reading
Advertisement

আবাসন ক্যারিয়ার

সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার হতে চান, তাহলে জানতে হবে যে বিষয়গুলো

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর
সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার হতে চান, তাহলে জানতে হবে যে বিষয়গুলো

সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার-এ তিনটি শিল্পকে একত্রে সিরামিক খাত বলা হয়। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত আছেন কয়েক লাখ মানুষ। প্রতিবছর এ শিল্পের প্রসারে বাড়ছে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ। চাইলে আপনিও একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

কাজের ক্ষেত্র ও ধরন
সিরামিক কাজের চাহিদা ও ক্ষেত্র অনেক বড়। একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে এ খাতে। উৎপাদননির্ভর শিল্প হিসেবে কারখানা পরিচালনার জন্য প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক, সিরামিস্ট, কেমিস্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, আইটি খাতের কাজ জানেন- এমন লোকদের কাজের সুযোগ আছে।

অবশ্য পণ্যের নকশা, কালার ম্যাচিং, গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা দেখাই হচ্ছে সিরামিক প্রকৌশলীর মূল কাজ। এ ছাড়া একজন সিরামিক প্রকৌশলী তার সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন সিরামিক পণ্যের ধারণা দিয়ে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে পারেন।

ভালো করতে হলে
কাজটি যেহেতু সৃজনশীল, তাই এ কাজে মেধা ও মননের সঠিক ব্যবহার খুবই জরুরি। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে পারলে এ পেশায় দ্রুত খুব ভালো অবস্থান অর্জন করা সম্ভব।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
এক সময় কোম্পানিগুলোতে সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার পদের জন্য সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি চাওয়া হতো। বর্তমানে সাধারণত বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রি চাওয়া হয়। আবার কোনো কোনো সিরামিকস কোম্পানি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (কোয়ালিটি কন্ট্রোল) পদের জন্য সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং/টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়।

Advertisement

অনেক সময় ডিগ্রির পাশাপাশি সিরামিক টেকনোলজির বিভিন্ন দিকের ওপর শর্ট কোর্স চাওয়া হয়। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে কাস্টিং সুপারভাইজার পদে আবেদনের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির পাশাপাশি সিরামিক কাস্টারের ওপর ভোকেশনাল ট্রেনিং থাকা জরুরি।

এ ছাড়া একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের যে ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়- সিরামিকজাতীয় পণ্যের খুঁটিনাটি জ্ঞান; সর্বোচ্চ উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা; সোলার সেল, ইনসুলেটর আর সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে ভালো ধারণা; কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনে (CAD) দক্ষতা; ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা; কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ধারণা।

অপরদিকে নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা; বিশ্লেষণী ক্ষমতা- যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে; অন্যদের সঙ্গে কাজ করার মানসিকতা থাকা; বিভিন্ন ধরনের কাজ একসঙ্গে সামলানোর দক্ষতা ও কারখানায় কাজ করার মানসিকতা থাকা।

পড়াশোনার সুযোগ
দেশে সিরামিক নিয়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসে চার বছর মেয়াদি সিরামিক টেকনোলজি ডিপ্লোমা কোর্স এবং দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্স চালু আছে। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স আটটি সেমিস্টারে বিভক্ত। এ কোর্সে আসন সংখ্যা ৮০।

দুই বছরের সিরামিক ট্রেড কোর্সে ছয় সপ্তাহ বরাদ্দ রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য। এসএসসি (ভোকেশনাল) সিরামিক ট্রেডে আসন সংখ্যা ৩০। এ বিষয়ে দেশে মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। এ ছাড়া সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে এ বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি দেওয়া হয়। প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই সাধারণ ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

ক্যারিয়ার
প্রথমে এন্ট্রি লেভেলে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করলেও দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে ধীরে ধীরে ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার, চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা প্রোডাকশন হেড হওয়া সম্ভব। ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটিং আর বিজনেস সেক্টরে দক্ষতা থাকলে কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বা সিইও হওয়াও সম্ভব। দেশের বাইরেও রয়েছে এ খাতে কাজ করার প্রচুর সুযোগ। এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়লে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকা যায়।

আয়
সৃজনশীল এ পেশায় পড়াশোনা চলাকালেও চাকরি করে আয়ের সুযোগ থাকে। সদ্য পাশ করা ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে। আর কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে মাসিক বেতন ৬০-৭০ হাজার হয়।

অবশ্য পুরোটাই নির্ভর করে একজনের কাজের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার ওপর। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের বেতন-ভাতা, আবাসনসহ অন্যান্য সুবিধা বহন করে।

Continue Reading

আবাসন ক্যারিয়ার

সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের খুঁজে বের করতে হচ্ছে বিশেষ প্রতিযোগিতা

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

ঘরের সাজসজ্জা বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের নিয়ে আগামী নভেম্বরে ‘আইডেব এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৪’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের যেকোনো ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-নির্বিশেষে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।

বিশেষ এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইডেব)।

এ উপলক্ষে শনিবার রাজ ধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।

সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের খুঁজে বের করতে হচ্ছে বিশেষ প্রতিযোগিতা

ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিযোগিতাটি এখন থেকে প্রতিবছর চলমান থাকবে। এ প্রতিযোগিতার বিষয়ে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট থেকে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। এ জন্য কোনো ফি লাগবে না।

প্রতিযোগিতায় প্রকল্প জমা দেওয়ার বিষয়ে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রকল্পে কোনো ধরনের ওয়াটারমার্ক বা লোগো থাকা যাবে না। নকশার প্রভাব, সৃজনশীলতা থেকে শুরু করে দেশীয় ঐতিহ্যকে লালন, পরিবেশগত মূল্যবোধ ও রং-এর গুণগত ব্যবহারকে বিচারিক মানদণ্ড হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মোট ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পুরস্কার দেওয়া হবে।

Advertisement
সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের খুঁজে বের করতে হচ্ছে বিশেষ প্রতিযোগিতা

ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিযোগিতার নানা দিক তুলে ধরেন আইডেবের আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম ও সদস্যসচিব সৈয়দ কামরুল আহসান। তাঁরা জানান, বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সংগঠন আইডেব ২০১৯ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কার্যক্রমকে তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। সেই ধারাবাহিকতায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

আইডেব আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম বলেন, ১৯৮০ সালের পর থেকে দেশে এই পেশা এলোমেলোভাবে একটু একটু করে এগিয়েছে। বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ মানুষ এই পেশার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে এই খাতে। বাংলাদেশের বহু ডিজাইনার বর্তমানে আন্তর্জাতিক ডিজাইনারদের সঙ্গে তুলনীয় একই মানের কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের কাজের তেমন স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। তাই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দেশের সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সামনে তুলে আনতে চাই।

শফিউল ইসলাম বলেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সমাজে তাঁদের সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করা যাবে +880 1725-151515 এই মোবাইল নম্বরে। এ প্রতিযোগিতার বিষয়ে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।

 

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Advertisement
আবাসন সংবাদ3 weeks ago

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান...

নির্বাচিত প্রতিবেদন4 weeks ago

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর...

অর্থ ও বাণিজ্য4 weeks ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭...

আবাসন সংবাদ4 weeks ago

আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাকুরির গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মোটা...

আইন-কানুন4 weeks ago

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া...

Advertisement

সর্বাধিক পঠিত