Connect with us
<

আবাসন ক্যারিয়ার

আপনার কী ফ্ল্যাট, জমি আছে, তাহলে আয়কর রিটার্নে যা করবেন

আপনার কী ফ্ল্যাট, জমি আছে, তাহলে আয়কর রিটার্নে যা করবেন

আপনার আয়কর ফাইলে যদি জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের সঠিক বিবরণ না থাকে, তবে বিপত্তি হতে পারে। আয়কর ফাইলে কীভাবে সম্পত্তির মূল্য দেখাতে হবে, সে বিষয়ে অনেকের সঠিক ধারণা থাকে না। ফলে অনেকের গুনতে হয় অতিরিক্ত আয়কর, এমনকি জেল বা জরিমানাও হতে পারে।

জমি ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিলতা দেখা যায়। সে জন্য বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, আয়কর আইন ও প্রচলিত রীতিনীতির বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সাধারণত প্রকৃত মূল্য এবং ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়। জমি বিক্রয় করার ক্ষেত্রে প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দলিল খরচ হয়।

আয়কর কার্যালয় বিভিন্ন সময় সার্ভে বা জরিপ করে। এ সময় যদি বাড়ি বা ফ্ল্যাট খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে কিন্তু তারা নোটিশ পাঠাবে।

আয়কর আইন বিভিন্ন সময় পরিবর্তন হয়, এ ক্ষেত্রে যে বছরে সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্রয় করা হয়, সে বছরের প্রযোজ্য আইন জেনে নিয়ে আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন তৈরি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

সম্পত্তির মালিকানা সাধারণত তিন ভাগে অর্জিত হতে পারে।
১. উত্তরাধিকার সূত্রে।

Advertisement

২. আপনজনের (স্বামী-স্ত্রী, মাতা-পিতা, সন্তান, ভাই-বোন) নিকট থেকে দানসূত্রে।

৩. ক্রয়সূত্রে।

ক) জমি, দালান, ফ্ল্যাট ক্রয় বা বাড়ি নির্মাণসংক্রান্ত যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-

১. জমি, ফ্ল্যাট বা বাড়ির উত্তরাধিকারী এবং দান সূত্রে পাওয়া গেলে এ ক্ষেত্রে তা যে সংশ্লিষ্ট কর বছরে অর্জন করা হয়, সেই কর বছরের সম্পদ বিবরণীতে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হিসেবে দেখাতে হবে। মূল্য অজানা লিখতে হবে।

২. যে পরিমাণ টাকা এ খাতে বিনিয়োগ করবেন, লক্ষ রাখতে হবে, আয়কর ফাইলে সেই পরিমাণ টাকার বৈধ উৎস আছে কি না।

Advertisement

৩. অনেক সময় আত্মীয়স্বজন বা তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষ ঋণ বা দান গ্রহণ করে। সে ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, নগদে ঋণ বা দান যেন কোনোক্রমেই পাঁচ লাখ টাকার বেশি না হয়। তার বেশি হলে ক্রসচেকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।

ঋণ বা দান উভয়ই যদি একসঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট বছরের আয় হিসেবে গণ্য হবে। অথাৎ পুরো টাকার ওপর আয়কর দিতে হবে।

৪. জমি বা ফ্ল্যাট বা বাড়ি যদি স্বামী-স্ত্রী-সন্তান কিংবা মাতা-পিতা কিনে দেন, সে ক্ষেত্রে আয়কর ফাইলে যিনি কিনে দেবেন, তার আয়কর ফাইলে টাকা থাকতে হবে এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পরিশোধ করাই ভালো।

আয়কর আইন ২০২৩ ধারা-৬৬(১৩) অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী, মাতা-পিতা বা সন্তানের কাছ থেকে এরূপ অর্থ গ্রহণ করা হলে এবং তা দাতার ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলিত হতে হবে।

৫. বাড়ি নির্মাণের সময় অনেকে নির্মাণসামগ্রী বাকিতে ক্রয় করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে অপরিশোধিত টাকা দায় হিসেবে দেখানো যায়, তবে এরূপ দায় পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

Advertisement

যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করা হয়, তবে অপরিশোধিত অর্থ ধারা ৬৬(১৪) অনুযায়ী অন্যান্য উৎস থেকে আয় হিসেবে গণ্য হবে।

৬. বিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যাবে না, অর্থাৎ আয়কর রেয়াত পাওয়া যাবে না।

৭. শুধু ফ্ল্যাট, দালান বা বাড়ি নির্মাণ বিষয়ে আয়কর ফাইলে পর্যাপ্ত টাকা দেখাতে না পারলে প্রতি বর্গমিটারে নির্দিষ্ট হারে আয়কর প্রদান করলে ফ্ল্যাট, দালান বা বাড়ি নির্মাণের ব্যাখ্যা থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন।

৮. বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনুযায়ী নির্মাণ খরচ বের করতে হবে।

৯. জমির ক্রয়মূল্যের সঙ্গে জমির দলিলের খরচ যুক্ত করে জমির মূল্য দেখাতে হবে।

Advertisement

১০. আয়কর রিটার্নের সঙ্গে দলিল বা বণ্টননামার ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।

১১. জমি হস্তান্তর থেকে মূলধনী আয় এসআরও নম্বর ২৮৬-আইন/আয়কর-১৬/২০২৩, তারিখ: ১১ অক্টোবর ২০২৩ দ্বারা চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য হবে।

(খ) জমি, দালান বা ফ্ল্যাটবাড়ি বিক্রয় করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় লক্ষ রাখতে হবে-

১. ক্রয় দলিল বা বিক্রয় দলিলের ফটোকপি সংগ্রহ করতে হবে।

২. আমাদের দেশে জমি বিক্রয় দলিল সাধারণত কম মূল্যে দেখানো হয়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে, যে পরিমাণ কম মূল্যে দেখানো হচ্ছে, তার অতিরিক্ত টাকা আপনার হাতে কালো টাকা হিসেবে গণ্য হবে।

Advertisement

৩. বিক্রয়মূল্য থেকে ক্রয়মূল্য ও উৎসে আয়কর বাদ দিলে যে অতিরিক্ত টাকা পাওয়া যায়, এর ওপর অতিরিক্ত আয়কর দিতে হবে না।

৪. বিক্রয় দলিলের ফটোকপি আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় সংযুক্ত করতে হবে।

৫. বিক্রি করা সম্পত্তির বিবরণী থেকে সম্পত্তির ক্রয়মূল্য বাদ দিতে হবে।

(গ) ডেভেলপার কোম্পানির কাছ থেকে ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য করণীয়

১. সংশ্লিষ্ট জমিটি অবশ্যই আপনার আয়কর ফাইলে থাকতে হবে।

Advertisement

২. সাইনিং মানির ওপর ১৫ শতাংশ উৎসে কর চূড়ান্ত করদায় হিসেবে বিবেচিত হবে।

৩. ডেভেলপার কোম্পানি যখন ফ্ল্যাট হস্তান্তর করবে, আপনার আয়কর ফাইলে বর্ণনাসহ তা উল্লেখ করতে হবে।

ঘ) অন্যান্য

১. জমির মূল্য বৃদ্ধি প্রদর্শন
আপনি যে কর বছরে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন, সংশ্লিষ্ট বছরের ক্রয়মূল্য সম্পত্তির মূল্য দেখাতে হবে। পরবর্তীকালে যতই মূল্য বৃদ্ধি হোক না কেন, সব সময় ক্রয়মূল্যই দেখাতে হবে। বর্ধিত বা বাজার মূল্য দেখানো যাবে না।

২. সিটি করপোরেশনের মধ্যে যাদের গৃহ পরিসম্পত্তি ও বিনিয়োগ আছে এবং যাঁদের ৪০ লাখ টাকার বেশি মোট সম্পত্তি, তাঁরা এক পাতার ফরম ব্যবহার করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে অন্য ফরম ব্যবহার করতে হবে।

Advertisement

লেখক: আয়কর আইনজীবী ও নির্বাহী পরিচালক, গোল্ডেন বাংলাদেশ

আবাসন ক্যারিয়ার

সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার হতে চান, তাহলে জানতে হবে যে বিষয়গুলো

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর
সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার হতে চান, তাহলে জানতে হবে যে বিষয়গুলো

সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার-এ তিনটি শিল্পকে একত্রে সিরামিক খাত বলা হয়। এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত আছেন কয়েক লাখ মানুষ। প্রতিবছর এ শিল্পের প্রসারে বাড়ছে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ। চাইলে আপনিও একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

কাজের ক্ষেত্র ও ধরন
সিরামিক কাজের চাহিদা ও ক্ষেত্র অনেক বড়। একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের কাজের প্রচুর সুযোগ রয়েছে এ খাতে। উৎপাদননির্ভর শিল্প হিসেবে কারখানা পরিচালনার জন্য প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক, সিরামিস্ট, কেমিস্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, আইটি খাতের কাজ জানেন- এমন লোকদের কাজের সুযোগ আছে।

অবশ্য পণ্যের নকশা, কালার ম্যাচিং, গুণগত মান ঠিক আছে কি না, তা দেখাই হচ্ছে সিরামিক প্রকৌশলীর মূল কাজ। এ ছাড়া একজন সিরামিক প্রকৌশলী তার সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নিত্যনতুন সিরামিক পণ্যের ধারণা দিয়ে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে পারেন।

ভালো করতে হলে
কাজটি যেহেতু সৃজনশীল, তাই এ কাজে মেধা ও মননের সঠিক ব্যবহার খুবই জরুরি। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে পারলে এ পেশায় দ্রুত খুব ভালো অবস্থান অর্জন করা সম্ভব।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
এক সময় কোম্পানিগুলোতে সিরামিক ইঞ্জিনিয়ার পদের জন্য সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি চাওয়া হতো। বর্তমানে সাধারণত বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রি চাওয়া হয়। আবার কোনো কোনো সিরামিকস কোম্পানি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (কোয়ালিটি কন্ট্রোল) পদের জন্য সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং/টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ দেয়।

Advertisement

অনেক সময় ডিগ্রির পাশাপাশি সিরামিক টেকনোলজির বিভিন্ন দিকের ওপর শর্ট কোর্স চাওয়া হয়। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে কাস্টিং সুপারভাইজার পদে আবেদনের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির পাশাপাশি সিরামিক কাস্টারের ওপর ভোকেশনাল ট্রেনিং থাকা জরুরি।

এ ছাড়া একজন সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের যে ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়- সিরামিকজাতীয় পণ্যের খুঁটিনাটি জ্ঞান; সর্বোচ্চ উৎপাদনের জন্য রাসায়নিক উপকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা; সোলার সেল, ইনসুলেটর আর সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে ভালো ধারণা; কম্পিউটার এইডেড ডিজাইনে (CAD) দক্ষতা; ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা; কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ধারণা।

অপরদিকে নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা; বিশ্লেষণী ক্ষমতা- যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে; অন্যদের সঙ্গে কাজ করার মানসিকতা থাকা; বিভিন্ন ধরনের কাজ একসঙ্গে সামলানোর দক্ষতা ও কারখানায় কাজ করার মানসিকতা থাকা।

পড়াশোনার সুযোগ
দেশে সিরামিক নিয়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসে চার বছর মেয়াদি সিরামিক টেকনোলজি ডিপ্লোমা কোর্স এবং দুই বছর মেয়াদি ট্রেড কোর্স চালু আছে। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স আটটি সেমিস্টারে বিভক্ত। এ কোর্সে আসন সংখ্যা ৮০।

দুই বছরের সিরামিক ট্রেড কোর্সে ছয় সপ্তাহ বরাদ্দ রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিংয়ের জন্য। এসএসসি (ভোকেশনাল) সিরামিক ট্রেডে আসন সংখ্যা ৩০। এ বিষয়ে দেশে মাস্টার্স করার সুযোগ রয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। এ ছাড়া সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে এ বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি দেওয়া হয়। প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই সাধারণ ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

Advertisement

ক্যারিয়ার
প্রথমে এন্ট্রি লেভেলে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করলেও দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে ধীরে ধীরে ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার, চিফ ইঞ্জিনিয়ার বা প্রোডাকশন হেড হওয়া সম্ভব। ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটিং আর বিজনেস সেক্টরে দক্ষতা থাকলে কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বা সিইও হওয়াও সম্ভব। দেশের বাইরেও রয়েছে এ খাতে কাজ করার প্রচুর সুযোগ। এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়লে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকা যায়।

আয়
সৃজনশীল এ পেশায় পড়াশোনা চলাকালেও চাকরি করে আয়ের সুযোগ থাকে। সদ্য পাশ করা ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে। আর কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে মাসিক বেতন ৬০-৭০ হাজার হয়।

অবশ্য পুরোটাই নির্ভর করে একজনের কাজের দক্ষতা ও সৃজনশীলতার ওপর। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বাড়ার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের বেতন-ভাতা, আবাসনসহ অন্যান্য সুবিধা বহন করে।

Continue Reading

আবাসন ক্যারিয়ার

সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের খুঁজে বের করতে হচ্ছে বিশেষ প্রতিযোগিতা

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

ঘরের সাজসজ্জা বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের নিয়ে আগামী নভেম্বরে ‘আইডেব এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৪’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের যেকোনো ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-নির্বিশেষে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।

বিশেষ এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইডেব)।

এ উপলক্ষে শনিবার রাজ ধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংগঠনটি।

সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের খুঁজে বের করতে হচ্ছে বিশেষ প্রতিযোগিতা

ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এক্সিলেন্স ইন ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিযোগিতাটি এখন থেকে প্রতিবছর চলমান থাকবে। এ প্রতিযোগিতার বিষয়ে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট থেকে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। এ জন্য কোনো ফি লাগবে না।

প্রতিযোগিতায় প্রকল্প জমা দেওয়ার বিষয়ে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রকল্পে কোনো ধরনের ওয়াটারমার্ক বা লোগো থাকা যাবে না। নকশার প্রভাব, সৃজনশীলতা থেকে শুরু করে দেশীয় ঐতিহ্যকে লালন, পরিবেশগত মূল্যবোধ ও রং-এর গুণগত ব্যবহারকে বিচারিক মানদণ্ড হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মোট ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পুরস্কার দেওয়া হবে।

Advertisement
সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের খুঁজে বের করতে হচ্ছে বিশেষ প্রতিযোগিতা

ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে ইন্টেরিয়র ডিজাইন প্রতিযোগিতার নানা দিক তুলে ধরেন আইডেবের আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম ও সদস্যসচিব সৈয়দ কামরুল আহসান। তাঁরা জানান, বাংলাদেশের ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সংগঠন আইডেব ২০১৯ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কার্যক্রমকে তুলে ধরতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি। সেই ধারাবাহিকতায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

আইডেব আহ্বায়ক শফিউল ইসলাম বলেন, ১৯৮০ সালের পর থেকে দেশে এই পেশা এলোমেলোভাবে একটু একটু করে এগিয়েছে। বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ মানুষ এই পেশার সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে এই খাতে। বাংলাদেশের বহু ডিজাইনার বর্তমানে আন্তর্জাতিক ডিজাইনারদের সঙ্গে তুলনীয় একই মানের কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের কাজের তেমন স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। তাই এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা দেশের সেরা ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের সামনে তুলে আনতে চাই।

শফিউল ইসলাম বলেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সমাজে তাঁদের সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করা যাবে +880 1725-151515 এই মোবাইল নম্বরে। এ প্রতিযোগিতার বিষয়ে আইডেব অ্যাওয়ার্ড ডটকম ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।

 

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Advertisement
আবাসন সংবাদ3 weeks ago

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান...

নির্বাচিত প্রতিবেদন4 weeks ago

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর...

অর্থ ও বাণিজ্য4 weeks ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭...

আবাসন সংবাদ4 weeks ago

আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাকুরির গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মোটা...

আইন-কানুন4 weeks ago

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া...

Advertisement

সর্বাধিক পঠিত