Connect with us
<

নির্বাচিত প্রতিবেদন

প্রতিটি ফ্ল্যাটে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণ করে জেমস গ্রুপ

প্রতিটি ফ্ল্যাটে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণ করে জেমস গ্রুপ

সারা দেশে যেসব রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো স্বনাম ধন্য জেমস গ্রুপের দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এই কোম্পানি দুটির বিশেষত্ব হলো, কোম্পানির প্রতিটি প্রজেক্টে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণ করে থাকে। কোম্পানি দুটি কাস্টমারের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সব সময় তিনটি বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর সেগুলো হলো-প্রজেক্টের কোয়ালিটি (গুণগত মান), কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) ও সার্ভিস (সেবা)। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণে কাজ করছে কোম্পানি দুটি।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে জেমস গ্রুপের কার্যালয়ে আবাসন বিষয়ক প্রথম মাল্টিমিডিয়া পোর্টাল আবাসন.টিভির সঙ্গে একান্ত আলাপে এসব কথা বলেন জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেডের সিইও এম কে আনোয়ার হাসান। আলাপে উঠে আসে জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্পগুলোর আদ্যোপান্ত। দীর্ঘ আলাপের কিছু চুম্বক অংশ আবাসনের পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।

আবাসন: জেমস গ্রুপের রিয়েল এস্টেট প্রজেক্টগুলো সম্পর্কে জানতে চাই।

এম কে আনোয়ার হাসান: দেশের স্বনাম ধন্য জেমস গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হলো এর রিয়েল এস্টেট সেগমেন্ট। গ্রুপটির মূল কনসার্ন হলো এর দুটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে ঘিরে। এ কোম্পানি দুটি হলো, জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এই দুটি নামেই রিয়েল এস্টেট বিজনেসটা পরিচালিত হয়। আমরা জয়েন ভেঞ্চার এবং জমি কিনে দুভাবে প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে থাকি। মূলত, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে কেন্দ্র করেই আমাদের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দুটি যাত্রা শুরু করেছিল। আমরা ইতিমধ্যেই রাজধানী ঢাকায় প্রায় ৫২টি প্রকল্প অত্যন্ত সফলতার সাথে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাস্টমারদের কাছে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছি। চুক্তিতে কাস্টমারদের কাছে যে কোয়ালিটির নির্মাণ সামগ্রীর স্পেসিফিকশন করা ছিল, সে অনুযায়ী ৫২টি প্রকল্প অমরা সম্পন্ন করে তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি।

আমাদের হাতে এখনও আরও ৫০টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বাকিগুলো রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বা অন্যান্য পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলোর বেশির ভাগই বসুন্ধরা এলাকাতেই গড়ে উঠেছে। এছাড়াও উত্তরা, কে এম দাস লেন, ধানমন্ডিসহ বেশ কিছু এলাকাতে আমাদের প্রকল্প রয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন আর্মিদের যে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, সেখানে আমরা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সাইন করেছি। বসুন্ধরার পর জলসিঁড়িতেও জেমস-এর প্রকল্পের বিস্তৃতি ঘটতে যাচ্ছে, ইনআশাল্লাহ।

Advertisement

আবাসন: জেমস মোস্তাবা মেনশন প্রকল্পটি কোন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে? এখানে কী ধরনের ফ্ল্যাট রয়েছে? আকার, আয়তন, পরিমাণ. . .

এম কে আনোয়ার হাসান: জেমস মোস্তাবা মেনশন একটি লাক্সারিয়াস প্রজেক্ট। এটি বসুন্ধরায় অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এলাকা জি ব্লকে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রজেক্টটি ১২ কাঠা জমির উপরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি ১৪তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং। এতে রয়েছে বেইজমেন্ট, গ্রাউন্ড ফ্লোর, সুইমিংপুল, কিডস জোনসহ অত্যাধুনিক বিল্ডিংয়ের সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। প্রতিটি ফ্লোরে ২টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ২ হাজার ৬৫০শ’ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের কাজ চলমান আছে। আশা করছি, আগামী দেড় বছরের মধ্যে কাস্টমারদের কাছে রেডি ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে পারবো।

আবাসন: জেমস শামিমা গার্ডেন প্রজেক্টও কী বসুন্ধরায় গড়ে তোলা হয়েছ? এ প্রজেক্ট সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলুন।

এম কে আনোয়ার হাসান: জেমস শামিমা গার্ডেন প্রজেক্টটি গড়ে তোলা হয়েছে বসুন্ধরায় এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডের ৫২০ নম্বর হাউজে। এটা ছোট একটা প্রজেক্ট। তবে এতে রয়েছে অত্যাধুনিক নাগরিক জীবনযাপনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। প্রতি ফ্ল্যাট ১ হাজার ৫৫০ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতি ফ্লোরে রয়েছে একটি করে ইউনিট। প্রজেক্টটি ইতমধ্যেই কাস্টমারদের বুঝিয়ে দিয়েছি।

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, রিয়েল এস্টেট বিজনেসে কাস্টমাররা সবসময় যে অভিযোগটি করে থাকেন, সেটি হলো তারা সময় মতো নির্মাতা কোম্পানিগুলোর কাছে থেকে তাদের ফ্ল্যাট বুঝে পান না। এতে নির্মাতা কোম্পানিগুলো উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, বদনামও হয়ে থাকে। সে জায়গা থেকে যেখানে একটা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে ২৪ থেকে ৩০ মাসের সময় বেধে দেওয়া থাকে, সেখানে আমরা এই প্রজেক্টটি ১৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে কাস্টমার খুশি হয়েছেন। আমরা আমাদের কাস্টমারদের প্রতি দেওয়া কমিটমেন্ট অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রজেক্ট বুঝিয়ে দিয়ে চেষ্টা করছি মানুষের ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়ার। জেমস কনট্রাকশনস সব সময় কাস্টমারদের কোয়ালিটিফুল কাজ করে দিতে বিশ্বাসী। সেসাথে কমিটমেন্ট অনুসারে কাজ করে থাকে।

আবাসন: জেমস বিডি প্যালেস প্রজেক্টটির বিশেষত্ব কী?

Advertisement

এম কে আনোয়ার হাসান: দেখুন, অমাদের প্রতিটি প্রজেক্টই আন্তর্জাতিকমানের বুয়েটের আর্কিটেক্ট দিয়ে ডিজাইন করে, সর্বোচ্চ মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে টেকসই ও নান্দনিক ডিজাইনে নির্মাণ করে থাকি। তাই, প্রতিটি প্রজেক্টই সৌন্দর্যে, নিজস্বতায় ও নান্দনিকতায় অনন্য। জেমস বিডি প্যালেসও আমাদের তেমন একটি লাক্সারিয়াস প্রজেক্ট হবে। প্রজেক্টটি বসুন্ধরায় জি ব্লকের ৯ কাঠা জমিজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। তিন কাঠার তিনটি প্লট একসাথে করে প্রজেক্টটি গড়ে উঠেছে। প্লটগুলো যথাক্রমে ৫১২, ৫১৩, ৫১৪। সাউথ ফেস বা দক্ষিণমুখী করে গড়ে উঠা প্রজেক্টটির প্রতিটি ফ্লোরে দুটি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ১৯শ’ স্কয়ারফিট করে রয়েছে। প্রজেক্টটির কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাস্টমারদের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারবো।

আবাসন: জেমস সালেহ ওয়েসিস প্রজেক্টটি কোন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে? এ সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন. . .
এম কে আনোয়ার হাসান: আমাদের বেশির ভাগ প্রজেক্টগুলোই গড়ে তোলা হয়েছে বসুন্ধরা এলাকায়। আমাদের টার্গেটকৃত কাস্টমার হলেন বসুন্ধরায় বসবাসরত অভিজাত শ্রেণি। তাই, জেমস সালেহ ওয়েসিস প্রজেক্টটিও বুসন্ধরায় জে ব্লকে গড়ে তোলা হয়েছে। দক্ষিণমুখী প্রজেক্টটি ৫ কাঠা জমির উপরে গড়ে তোলা হয়েছে। ১০তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে প্রতি ফ্লোরে একটি করে ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ১ হাজার ৯৫০ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রজেক্টটিও আমরা কাস্টমারদের কাছে ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। কাস্টমাররা গত দুই মাস ধরে এখানে বসবাস করা শুরু করেছেন।

আবাসন: জেমস কনট্রাকশনসের প্রজেক্টগুলোতে কাস্টমারদের জন্য বিশেষ কোনো গিফট, ছাড় বা অফার দেওয়া হয় কি না?
এম কে আনোয়ার হাসান: দেখুন, আমরা আমাদের প্রজেক্টে কাস্টমারদের জন্য বিশেষ কোনো গিফট, সুযোগ-সুবিধা, ছাড় বা অফারে বিশ্বাসী না। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি প্রজেক্ট নির্মাণ কোয়ালিটিতে। কাস্টমারকে সময় মতো প্রজেক্ট বুঝিয়ে দেওয়াতে। কাস্টমারের সন্তোষ্টিতে ও কোয়ালিটিফুল সার্ভিসে। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এ বিষয়গুলো ঠিক থাকলে কাস্টমাররা ছাড় বা অফার চায় না, গিফট চায় না। তারা চায় আমরা যাতে আমাদের দেওয়া কমিটমেন্ট অনুসারে কোয়ালিটিফুল কাজ করে, স্বপ্নের ফ্ল্যাটটি সময় মতো তাদেরকে বুঝিয়ে দেই। আর আমরা এ বিষয়গুলোকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।

আমরা যাতে সব সময় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাস্টমারদের হাতে প্রজেক্টটি বুঝিয়ে দিতে পারি, সেদিকে সবসময় সতর্ক থাকি। সেসাথে আমরা যেনো কোয়ালিটিফুল একটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রক্ষা করতে পারি, সেদিকেও খেয়াল রাখি। প্রজেক্টের চুক্তির সময় যে নির্মাণ সামগ্রী দেওয়ার জন্য কমিটমেন্ট করেছি, সেটা পৃথিবীর সেরা নির্মাণ সামগ্রী না হলেও আমরা যেটি দেওয়ার চুক্তি করেছি, সেটি বাজার মূল্য ও চুক্তির দাবি অনুসারে সবচেয়ে ভাল মানেরটা দিচ্ছি কি না, সেটি নিশ্চিত করে থাকি।

আমাদের দু’একটি প্রজেক্ট ছাড়া প্রতিটি প্রজেক্ট লোকেশন অনুসারে সব সময় সাউথ ফেসিং বা দক্ষিণমুখী করে নিয়ে থাকি। এটা বেশির ভাগ কাস্টমারের ফ্যাসিনেশন থেকে আমরা সাউথ ফেসিং প্রজেক্টগুলো নিয়ে থাকি। কাস্টমাররা যাতে প্রজেক্টে থেকে সব সময় ঠিক মতো আলো-বাতাস পায়, আনন্দ ও আরাম পায়, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন আর্কিটেকচার দিয়ে বিল্ডিংগুলো ডিজাইন করে থাকি। বড় প্রজেক্টগুলোর ছাদের জায়গা, বিল্ডিংয়ের আশপাশের জায়গা, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, গার্ডেনিংয়ের জায়গা, সুইমিং ও কিডজোন রাখা এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

এছাড়াও কাস্টমারকে প্রত্যেকটি প্রজেক্টের মালিকানার লিগেল ডকুমেন্ট দিয়ে থাকি। যাতে একজন কাস্টমার ফ্ল্যাট কেনার পর তার প্রকৃত মালিকানা সুরক্ষিত থাকে। চাইলে যাতে তিনি যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এ বিষয়গুলোর প্রতিই আমরা মূল ফোকাস দিয়ে থাকি। যদি বলা হয় কাস্টমারদের জন্য কী গিফিট, ছাড় বা অফার দেওয়া হয়, তাহলে বলবো এগুলোই হলো তাদের জন্য ছাড় বা অফার। তবে মার্কেটিং পলিসির জন্য বিশেষ দিবস বা মেলা উপলক্ষে কাস্টমারদের জন্য বিভিন্ন গিফিট, ছাড় বা অফারের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এগুলো আমাদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। আমাদের মূল ফোকাস হলো, উল্লিখিত বিষয়গুলোর উপর। এগুলোর উপর ভিত্তি করেই আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করছি। কাস্টমারদের কাছ থেকে সেভাবে ফিটব্যাকও পাচ্ছি।

Advertisement

আবাসন: রিয়েল এস্টেটপ্রেমীদের জন্য আগামীতে নতুন কী কী প্রকল্প আসছে?

এম কে আনোয়ার হাসান: ইতিমধ্যেই জেনেছেন আমরা কাস্টমারদের কাছে ৫২টি প্রজেক্ট সফলভাবে হস্তান্তর করেছি। এখনও আরও ৫০টি প্রজেক্ট পাইপ লাইনে রয়েছে। উত্তরার মতো ব্র্যান্ড আবাসন এলাকায় প্রকল্প সম্পন্ন করেছি এবং আরও কয়েকটি প্রকল্প পাইপ লাইনে আছে। সেগুলো আগামীতে আসছে। এর পাশাপাশি আমরা বর্তমানে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে কাজ শুরু করেছি। সেখানেও নতুন কিছু প্রজেক্ট আসছে। মতিঝিলের আশপাশে যেমন, আর কে মিশন রোড, কে এম দাশ লেন ও ধানমন্ডিতে আমাদের নতুন প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছি। এগুলো সময় মতো আসবে নতুন চমক নিয়ে।

‘হাউজিং ফর অল’ কনসেপ্ট থেকে আমরা কিছু লো কস্ট হাউজিং ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছি। উদ্দেশ্য নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষরা যাতে যাদুর নগরীতে একটা ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারেন। সে বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই হয়তো চমক হিসেবে বেশ কিছু প্রজেক্ট চলে আসবে, ইনশাআল্লাহ। এভাবে আমাদের আবাসন প্রকল্পগুলো রাজধানীর বিভিন্ন কমার্শিয়াল ও নান্দনিক জায়গায় চালু করছি।

আবাসন: যারা অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশে আপনার ম্যাসেজ কী থাকবে?

এম কে আনোয়ার হাসান: আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একজন কাস্টমার জীবনে একবার ফ্ল্যাট কিনে থাকেন। ব্যতিক্রমও আছে। তাই, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি বলবো, কাস্টমারদের একটা ফ্ল্যাট কেনার আগে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। সেগুলো হলো, যে কোম্পানির কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি কিনবে, সেটি রাজউকের অনুমোদন আছে কি না সেটি নিশ্চিত হওয়া। রাজউকের অনুমোদিত প্লান অনুসারে বিল্ডিংটা নির্মাণ করছে কি না। ডিজাইনটা যেনো ফাংশনাল হয় সেটি খেয়াল করতে হবে। চুক্তির সময় যে কোয়ালিটির নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বিল্ডিংটা নির্মাণ করার কথা ছিল, সেটি দিয়ে তারা নির্মাণ করছে কি না সেটি দেখে নিতে হবে।

জমির লিগাল ডকুমেনটেশন, মালিকানা, মিউটেশন, সিএস, আর এস পর্চা, এগুলো যিনি বুঝেন এমন একজন ভাল উকিল দিয়ে যেনো বুঝে নেন। কেননা ফ্ল্যাট কেনার পর ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে দেখা যায় ডকুমেনটেশনে ঝামেলা আছে। তাই, আপনি যখন ফ্ল্যাট কেনার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, তখন অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে বুঝে তারপর নিতে হবে। তা না হলে আপনাকেই পস্তাতে হবে।

Advertisement

আবাসন সংবাদ

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা প্রদান বিষয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা সম্বলিত সুপরিকল্পিত বিশ্বমানের আধুনিক ভবন নির্মাণে রিহ্যাব সদস্যবৃন্দ বদ্ধপরিকর। এ জন্য সিডিএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগীতা কামনা করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের পরিচালক ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, নূর উদ্দীন আহাম্মদ, শারিস্থ বিনতে নূর, মোঃ মাঈনুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিয়নের সিডিএ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার এস. এম আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল সদস্যবৃন্দ এবং রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রকৌশলী ও স্থপতিবৃন্দ।

Continue Reading

নির্বাচিত প্রতিবেদন

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর রাজনৈতিক অস্থিরতা বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে নির্বাচনের পর আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমরা আশা করছি। কারণ তখন বড় অঙ্কের বিনিয়োগে মানুষের মনে দ্বিধা বা ঝুঁকি থাকবে না।

এই পরিস্থিতিতে আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আরবান ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার শেখ কামরুজ্জামান।

ডেভেলপারদের বর্তমান পরিস্থিতি : বর্তমানে বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডেভেলপাররা কিছুটা চাপের মধ্যে আছেন। পুঁজি ব্যবস্থাপনা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ-মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে না। পাশাপাশি, সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ইতিবাচক প্রণোদনা নেই। কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগও কমে এসেছে। এছাড়া ব্যাংকিং সেক্টরে তারল্য সংকট ব্যাংকগুলো আবাসন খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছে না। এর ফলে ডেভেলপাররা মূলধন ব্যবস্থাপনার গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। রাজউকের কর্মকর্তাদের ভালো উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও সফটওয়্যারের ত্রুটি আবাসন খাতে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। এর ফলে দৈনন্দিন কাজে বিলম্ব হচ্ছে। যা পুরো খাতের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে।

নির্মাণ সামগ্রী উপকরণের দামের অস্থিরতা আবাসন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

নতুন ড্যাপ : প্রস্তাবিত নতুন ড্যাপ (DAP) পাস হলে উন্নয়নের ক্ষেত্র বাড়বে। আগের ড্যাপ ডেভেলপার বা ক্রেতা কারোর জন্যই সুবিধাজনক ছিল না। নতুন ড্যাপ খুব সম্ভাবনাময়।

Advertisement

ফ্ল্যাট বিক্রির গতি : বর্তমানে ফ্ল্যাট বিক্রি কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। অনেক ক্রেতা আশা করছেন ফ্ল্যাটের দাম আরও কমবে। আগামী তিন-চার মাসের আগে মন্দা কাটবে কিনা তা বলা কঠিন। তবে জাতীয় নির্বাচনের পর আবাসন খাত আবার স্বাভাবিক গতিতে ফিরবে বলে আমরা আশাবাদী।

রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব : রাজনৈতিক অস্থিরতায় সবাই শঙ্কিত থাকে। এর ফলে ব্যাংক ঋণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, যা আবাসন খাতকেও প্রভাবিত করে। সাধারণত, যখন মানুষ অন্য দেশে অভিবাসী হয়, তখন তারা তাদের কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়, যা সেকেন্ডারি বাজারের বিকাশের জন্য ইতিবাচক। আমরা মনে করি না যে এটি আবাসন খাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি অর্থনীতির একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

রেজিস্ট্রেশন ফি’র প্রভাব : ফ্ল্যাট বিক্রির ওপর রেজিস্ট্রেশন ফি কমা বা বৃদ্ধি সাধারণত খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব থাকলেও ফ্ল্যাট কেনা বা বিক্রির প্রধান নিয়ামক নয়। তবে আমাদের দেশে রেজিস্ট্রেশন খরচ অন্য দেশের তুলনায় বেশি, যা আবাসন খাতের উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয়। সরকার বড় আকারের অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দিলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশের এলাকায় আবাসন খাতের প্রসার ঘটবে।

আবাসন খাতকে উদ্যমপূর্ণ করার জন্য ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা : ব্যাংকের জন্য আবাসন খাত সাধারণত ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে থাকে। তারা অন্যসব খাতে ঋণ দিতে বেশি আগ্রহী, যদিও আবাসন একটি নিরাপদ বিনিয়োগ এবং এখানে আসল সম্পত্তি জামানত হিসাবে থাকে। ব্যাংকগুলোর কাছে দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের অভাব রয়েছে। এ কারণে তাদের সম্পদ-দায় ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়।

যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন :
আবাসন খাতের উন্নয়নে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডেভেলপারদের কাছে জমি সরবরাহ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ডেভেলপার বাছাইয়ে সতর্ক থাকতে হবে। রাজউকের নকশা অনুমোদন ও অন্য সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ করা যেতে পারে।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Advertisement
আবাসন সংবাদ3 weeks ago

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান...

নির্বাচিত প্রতিবেদন4 weeks ago

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর...

অর্থ ও বাণিজ্য4 weeks ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭...

আবাসন সংবাদ4 weeks ago

আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাকুরির গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মোটা...

আইন-কানুন4 weeks ago

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া...

Advertisement

সর্বাধিক পঠিত