আবাসন খাতে লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড গড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জনবহুল শহর দুবাই। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৩৪ হাজারের বেশি লেনদেন নথিভুক্ত রয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে দুবাই ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট (ডিএলডি)।
আবাসনে খাতে মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে লেনদেন ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। এতে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিক দুবাইয়ের আবাসন খাতের ইতিহাসে সবচেয়ে সক্রিয় প্রান্তিকের রেকর্ড স্পর্শ করেছে।
এ বিষয়ে রিয়েল এস্টেট এজেন্সি বেটারহোমসের মার্কেট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের আবাসন খাতের এমন বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে ভূমিকা রেখেছে নজরদারিমূলক এফএটিএফ গ্রে লিস্ট থেকে ইউএইর অপসারণ এবং বর্তমানে খাতটির ঊর্ধ্বমুখী বাজার।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ওয়াইন্ড বলেন, ‘২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ডিএলডিতে ৩৪ হাজারের বেশি লেনদেনের রেকর্ড হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটিই দুবাই রিয়েল এস্টেট খাতের সবচেয়ে বড় প্রান্তিক। বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী বাজার সামনেও আমাদের অনুকূলে থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’
দুবাইয়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা ২০২৪ ও ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে শহরটিতে জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৬ হাজার। এ সময়ে নতুন বাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ ইউনিট। ফলে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বড় আকারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
আবাসনের এ ঘাটতি বাড়ি ভাড়ার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ফলে বাড়ি ভাড়া আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে।
তথ্য বলছে, জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে প্রতিদিন একটির বেশি আবাসনের নির্মাণকাজ চালু হয়েছে। দুবাইয়ের রিয়েল এস্টেট খাতে মোট লেনদেনের মধ্যে প্রায় ৫৮ শতাংশই অফ প্ল্যান আবাসন। রিয়েল এস্টেট খাতে ‘অফ প্ল্যান’ বলতে এমন প্রকল্পকে বোঝায়, যেখানে নির্মাণাধীন ও নির্মাণ শেষে হস্তান্তরের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র: অ্যারাবিয়ান বিজনেস।