Connect with us
<

ফিচার

স্মার্ট হোমের সুবিধা ও অসুবিধা

স্মার্ট হোমের সুবিধা ও অসুবিধা

প্রযুক্তির বিপ্লবের এই যুগে আজকাল সবই স্মার্ট। সবকিছুই পাল্লা দিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট ব্যাগ পর্যন্ত বাজারে রয়েছে। তাহলে আপনার ঘরটিও স্মার্ট হবে না কেন? আধুনিক এই যুগে এখন সবকিছুই দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আগেকার দিনের টেলিভিশনে চ্যানেল পরিবর্তন করতে হলে বিছানা থেকে উঠে টিভি সেটের সুইচ টিপতে হতো। সেই কাজটা সহজ করে দিয়েছে রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম। এখন দূর থেকেই আপনি সেটিকে নিয়ন্রণ করতে পারেন৷ তাতে আপনার জীবন আরো আরামদায়ক হয়ে উঠছে, সময় বাঁচানো যাচ্ছে প্রচুর।

এভাবে ঘরের প্রতিটি যন্ত্রপাতি এমনকি দরজা-জানালা পর্যন্ত আপনি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন মোবাইল বা কোনো স্মার্ট ডিভাইসের সাহায্যে। যার ফলে আপনার ঘরটি হয়ে উঠবে স্মার্ট। এই সিস্টেমটিকেই বলা হয় স্মার্ট হোম অটোমেশন সিস্টেম।

স্মার্ট হোমের ধারণা
একটি স্মার্ট হোমের যেকোনো স্থানে বসে আপনি যেকোনো রুমের বৈদ্যুতিক বাতি, ফ্যান, এসি ইত্যাদি আপনার মোবাইল ফোনের সাহায্যেই কন্ট্রোল করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ফোনে প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট কিংবা ওয়াইফাইজাতীয় কোনো ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের। ঘরের প্রত্যেকটি স্মার্ট ডিভাইস এমনকি ওয়াশিং মেশিন ও গিজার ইত্যাদিও এর আওতায় আসতে পারে। বিলাসিতার এই যুগে তাই বিলাসী জীবনযাপনের একটি অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে স্মার্ট হোম।

এছাড়া অধিকাংশ অটোমেশন সিস্টেমই এনার্জি সেভ করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, রাতে যেকোনো বাড়িতে বা বাড়ির বাইরে যেসব বাতি জ্বালানো হয় সেগুলো ভোরবেলায় উঠে নিভিয়ে দিতে হয়। যদি কোনোভাবে বাড়ির বাসিন্দারা দেরি করে ঘুম থেকে উঠে কিংবা বাতি নেভাতে ভুলে যায় তাহলে সেগুলো জ্বলতেই থাকে। ফলে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎশক্তির অপচয় হয়।

Advertisement

কিন্তু একটি স্মার্ট হোমে আপনি কন্ট্রোলিং অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে প্রতিদিন নির্দিষ্টভাবে বাতি নেভানোর সময় সেট করে দিতে পারবেন, যার কারণে শক্তির অপচয় অনেক কমে যাবে৷ কিংবা অনেক স্মার্ট হোম সিস্টেমে অটোমেটেড সেন্সর থাকে যেগুলো সূর্যের আলোর উজ্জ্বলতা ডিটেক্ট করে বুঝতে পারে যে সকাল হয়েছে এবং বাতি নিভিয়ে দিতে হবে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাতি নিভে যায়৷ এটি স্মার্ট হোম অটোমেশনের সাহায্যে এনার্জি সেভ করার একটি ছোট্ট উদাহরণ মাত্র। যেকোনো ডিভাইসকেই অটোমেটেড সিস্টেমের আওতায় এনে সময় এবং শক্তি দুটোই সাশ্র‍য় করা যায়।

স্মার্ট হোমের সেবাসমূহ
আপনার ঘরকে স্মার্ট করে তুলতে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ইকোসিস্টেম বেছে নিতে হবে যার মাধ্যমে ঘরের সব স্মার্ট ও ইলেকট্রিক ডিভাইসগুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকবে। বর্তমানে অনেকগুলো টেক জায়ান্টের নিজস্ব স্মার্ট হোম সার্ভিস রয়েছে। যেমন গুগলের গুগল নেস্ট, অ্যামাজন ইকো, অ্যাপলের হোমকিট ইত্যাদি। এই ইকোসিস্টেমগুলো যেমন ফোনের অ্যাপের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

পাশাপাশি ইউজার এক্সপেরিয়েন্সকে আরো একধাপ উন্নত করতে ব্যবহার করা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। এই প্রক্রিয়ায় আপনার ঘরে ছোট একটি বক্স আকৃতির ডিভাইস বসানো হয় যাতে থাকে মাইক্রোফোন ও স্পিকার। এর সাহায্যে আপনি ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং সিস্টেমের কন্ট্রোলার এ আই আপনাকে একজন অ্যাসিস্টেন্টের মতোই কমান্ডের জবাব দেবে। অনেকটা আমাদের ফোনে থাকা গুগল অ্যাসিস্টেন্টের মতো। গুগল নেস্টের ক্ষেত্রে আপনার অ্যাসিস্টেন্ট হবে গুগল হোম।

একে সংক্ষিপ্তভাবে শুধু গুগল নামেও ডাকা যায়। অ্যামাজন তাদের সিস্টেমের এআইয়ের নাম দিয়েছে অ্যালেক্সা এবং অ্যাপলের ক্ষেত্রে তার নাম হলো সিরি। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টকে যেকোনো ভয়েস কমান্ড দেওয়ামাত্রই সে তা পালন করবে। আপনার নির্দেশমতো সব ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও বিনোদন দিতেও সাহায্য করবে এই অ্যাসিস্টেন্ট। তাদেরকে দিয়ে গান গাওয়ানো কিংবা কবিতা পাঠ করার মতো কাজও করানো যায়। ফলে আপনার একাকিত্বের সময়ে ভালো সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে এই অ্যাসিস্টেন্ট।

স্মার্ট হোম সেটআপ
নিজের ঘরের জন্য একটি ইকোসিস্টেম বেছে নেওয়ার পর আপনি তাদের স্মার্ট হোম ডিভাইসটি আপনার ঘরে সেট করতে পারেন৷ প্রত্যেক স্মার্ট হোম সার্ভিসেরই একটি নিজস্ব অ্যাপ থাকে। সেই অ্যাপ ওপেন করে তাতে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ডিভাইসগুলোকে কানেক্ট করতে হয়।

Advertisement

স্মার্ট হোম অটোমেশনে আসতে হলে ডিভাইসগুলোকেও স্মার্ট হতে হয়। তবে বর্তমানে সাধারণ ডিভাইসগুলোকেও একটি অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহার করার মাধ্যমে স্মার্ট ডিভাইসে পরিণত করা যায়। যেমন আপনার পুরনো দিনের টেলিভিশনকে অ্যান্ড্রয়েড টিভি বক্স ব্যবহার করে পরিণত করে ফেলতে পারেন স্মার্ট টিভিতে।

এমনকি আপনার রুমের দরজা কিংবা জানালায় স্মার্ট লক ইনস্টল করে দরজা-জানালাকেও স্মার্ট বানিয়ে ফেলতে পারেন। এর মাধ্যমে ভয়েস কমান্ড দিয়ে দরজা খোলা বা বন্ধও করা যাবে। বেশিরভাগ স্মার্ট ডিভাইসেই স্মার্ট হোম অটোমেশন সিস্টেমে কানেক্ট করার জন্য কিউআর কোড কিংবা সিরিয়াল নং দেওয়া থাকে। অ্যাপে সেই কোড স্ক্যান করে কিংবা নাম্বার এন্ট্রি করার মাধ্যমে আপনি ডিভাইসটিকে ইকোসিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসতে পারবেন।

একই জাতীয় একাধিক ডিভাইসের ক্ষেত্রে অ্যাপে সেগুলোর আলাদা আলাদা নাম কিংবা সিকুয়েন্স তৈরি করা যায়। যেমন একাধিক লাইটকে আপনি “light 1”, “light 2” -এভাবে নামকরণ করতে পারেন। অথবা আলাদা আলাদা রুমের লাইটগুলোকে “Drawing room light, Kitchen light” এভাবেও নাম দিতে পারবেন৷ বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য ইউনিক ভয়েস কমান্ডও সেট করা যায়। এছাড়া অটোমেশন ডিভাইসের সাথে ইউজার ম্যানুয়াল দিয়ে দেওয়া হয়৷ সেখান থেকেও সম্পূর্ণ সেটআপ শিখে নেওয়া যায়।

স্মার্ট হোমের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ
এতদূর পর্যন্ত পড়ার পর স্মার্ট হোমের সুবিধাগুলো সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনার ভালো ধারণা হয়ে গেছে। সময় আর শক্তি সাশ্রয় করা ছাড়াও বিনোদন পেতে, জীবনকে আরো আরামদায়ক করে তুলতে, এমনকি ঘরের নিরাপত্তা নজরদারি করতেও স্মার্ট হোম অটোমেশন অত্যন্ত সহায়ক।

বাড়ির বাইরে কোথাও গেলে আপনার বাড়ির সিকিউরিটি এলার্ম সিস্টেম আপনাকে ফোনে সতর্ক করতে পারে যদি বাড়িতে কোনো চোর প্রবেশের চেষ্টা করে। এছাড়া বাড়িতে লাগানো সিকিউরিটি ক্যামেরার সাহায্যে আপনি নিজেই নজর রাখতে পারেন বাড়ির উপর। এভাবে স্মার্ট হোম আপনার দৈনন্দিন জীবনযাপনকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে।

Advertisement

স্মার্ট হোমের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো এটি সেটআপ করতে যে যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় সেগুলো অনেকটাই খরচসাপেক্ষ৷ তাই সাধারণ মানুষ কিংবা অনেক মধ্যবিত্তদের পক্ষেও এই সেবা উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া ঘরের পুরোনো কিংবা আনস্মার্ট ডিভাইসগুলোকে স্মার্ট ডিভাইসে পরিণত করতে কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হয়৷

তবে আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত অর্থ থাকে এবং আপনি শৌখিন মানুষ হন, তাহলে আপনার জীবনকে আরো আনন্দময় করে তুলতে দারুণ ভূমিকা পালন করবে স্মার্ট হোম।

লেখক: মনির হোসেন।

Continue Reading
Advertisement

ফিচার

প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

ছয় বছর আগে রাজধানীর শাহীনবাগে ১ হাজার ২৫০ বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কিনতে স্বল্প পরিচিত এক আবাসন প্রতিষ্ঠানে বুকিং দেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী মাজহার হোসেন। তারপর প্রতি মাসে কিস্তিও পরিশোধ করতে থাকেন। তবে কয়েক মাস যেতেই তিনি লক্ষ করলেন, প্রকল্পের কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী।

মাজহার হোসেন জানালেন, এখন ফ্ল্যাট বুঝে পাইনি। কবে পাব সেটি নিশ্চিত না। ভবনের কাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হলেও অন্যান্য কাজ বাকি। আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক কেবল আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন।

অধিকাংশ মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার নিজেদের স্থায়ী ঠিকানার জন্য একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাটের স্বপ্ন দেখে। সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ফ্ল্যাট কিনতে অনেকেই সারা জীবনের সঞ্চয় বিনিয়োগ করেন। তাঁদের কেউ কেউ মাজহার হোসেনর মতো প্রথম অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়েন। এখান থেকে বেরিয়ে আসাটা কঠিন হয়ে পড়ে।

রাজধানীতে জমির দাম অত্যধিক। নির্মাণসামগ্রীর দামও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সে জন্য ফ্ল্যাটের দাম অনেক বছর ধরেই আকাশচুম্বী। তবে চাহিদা বেশি থাকায় এই খাতে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও অনেক। তাদের অধিকাংশই নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা করলেও কিছু প্রতিষ্ঠান সেসবের তোয়াক্কা করছে না। চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। অনেকে বুঝে, না বুঝে সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। পরে দেখেন, প্রতিষ্ঠানের কথা আর কাজে মিল নেই। তখন বছরের পর বছর ঘুরেও কাঙ্ক্ষিত ফ্ল্যাট বুঝে পান না। নিজের একটি বাড়ির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়।

নিজের ফ্ল্যাটের স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন না হয়ে ওঠে, সে জন্য নানা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যদি জীবনের প্রথম ফ্ল্যাট কেনার চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে চুক্তি করার আগে ১০টি কৌশল জেনে নেওয়া উচিত। এগুলো বিবেচনা করে ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ঝামেলার মুখে পড়া থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারেন—

Advertisement

১. সাধ আর সাধ্য
ফ্ল্যাট কেনার আগে আপনার সাধ আর সাধ্যের মধ্যকার বোঝাপড়া সম্পন্ন করতে হবে। ধরা যাক, আপনার ৮০ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট কেনার আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। তবে আপনি সাতপাঁচ না ভেবে গৃহঋণ নিয়ে দুই কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনে ফেললেন। কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে দেখলেন, দৈনন্দিন সংসার চালানো কঠিন। একপর্যায়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ। তখন ফ্ল্যাট বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সে জন্য বাজেট অনুযায়ী ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

রাজধানী ঢাকায় কমবেশি ৬০-৭০ লাখ থেকে শুরু করে ১৫-২০ কোটি টাকার ফ্ল্যাটও আছে। গুলশান-বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারার মতো এলাকায় অভিজাত ফ্ল্যাটের দাম প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ৩৬ হাজার টাকা। আবার বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও, মিরপুরসহ কিছুটা পিছিয়ে থাকা এলাকায় প্রতি বর্গফুট ১০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। আবাসন খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ফ্ল্যাট কিনতে গেলে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা করে।

অভিজাত এলাকার বাইরে অন্য সব এলাকায় স্থানীয় ছোট কোম্পানির আবাসন প্রকল্প রয়েছে। তাদের ফ্ল্যাটের দাম তুলনামূলক কম। আবার কয়েকজন মিলে জমি কিনে বাড়ি বানাতে পারলে ফ্ল্যাটের দাম কম পড়ে। পুরোনো ফ্ল্যাটের দামও কম। আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে সেটিও বিবেচনা করতে পারেন।

২. প্রয়োজন মিটবে যেখানে
অনেকেই কোথায় ফ্ল্যাট কিনবেন সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। তবে সন্তানের লেখাপড়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই ফ্ল্যাট কেনার এলাকা বাছাই করা দরকার। আপনি যেখানে ফ্ল্যাট কিনতে চান, তার আশপাশে ভালো স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আছে কি না, দেখে নিন। আবার ফ্ল্যাটটি যেখানে, সেখান থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার যোগাযোগব্যবস্থা কেমন, তা-ও বিবেচনা করতে হবে। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হলে অফিস কিছুটা দূরে হলেও সমস্যা হয় না। তা ছাড়া ফ্ল্যাটের আশপাশের রাস্তাঘাট, বাজারসুবিধা কেমন, সেসবও বিবেচনায় রাখা দরকার।

৩. ভবনের সুযোগ-সুবিধা
আবাসন প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ এখন আর বিলাসিতা নয়, নিত্যদিনের প্রয়োজন। তাই ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল, কমিউনিটি স্পেস, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, গাড়ি পার্কিং, নিরাপত্তাব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সরবরাহের বিষয়ে ভালোভাবে খোঁজখবর নিতে হবে। তবে সবগুলো সুবিধা নিতে গেলে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

Advertisement

৪. সঠিক প্রতিষ্ঠান বাছাই
কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনছেন, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ সেই প্রতিষ্ঠান যদি নিয়মকানুন না মেনে ব্যবসা করে, তাহলে আপনি বিপদে পড়বেন। সে জন্য খোঁজ নিন, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তরের অতীত ইতিহাস কেমন। প্রতিষ্ঠানটি আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সদস্যপদ আছে কি না, সেটিও যাচাই করুন। কারণ পরবর্তী ফ্ল্যাটসংক্রান্ত কোনো ঝামেলা হলে আপনি সংগঠনটির দ্বারস্থ হতে পারবেন। এ ধরনের জটিলতা নিরসনের রিহ্যাবের পৃথক কমিটিও রয়েছে। তারা নিয়মিতই এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করে। তবে কেবল নিজেদের সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগই আমলে নেয় রিহ্যাব। ফলে আবাসন প্রতিষ্ঠানের রিহ্যাব সদস্যপদ থাকাটাও জরুরি।

৫. অনুমোদনহীন প্রকল্পে সতর্ক
রাজধানীতে আবাসিক, বাণিজ্যিক যেকোনো ভবনের অনুমোদন দিয়ে থাকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অনুমোদন না নিয়ে ভবন করলে সেটি ভেঙে দিতে পারে রাজউক। সে জন্য আপনি যে আবাসন প্রকল্পের ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করছেন, সেটি রাজউক অনুমোদিত কি না, তা যাচাই করে দেখতে হবে।

৬. জমির খোঁজও লাগবে
আপনি যে আবাসন প্রকল্পের ফ্ল্যাট কিনতে চান, সেটি যে জমিতে নির্মাণ হবে বা হচ্ছে, সেটি নিষ্কণ্টক কি না, যাচাই করতে হবে। ভূমি কার্যালয়ে গিয়ে তল্লাশি দিয়ে জমির মালিকানা ও দখলদার সম্পর্কে সব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অর্থাৎ যে জমির ওপর আবাসিক প্রকল্প হবে, সেটির দলিলপত্র যাচাই করে নেওয়া ভালো। জমি নিয়ে কোনো মামলা আছে কি না, সেটি দেখতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কা থাকবে।

৭. শর্তের খুঁটিনাটি জানুন
ফ্ল্যাট কেনার আগে আবাসন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির সব শর্ত ভালো করে পড়ে দেখতে হবে। চুক্তিতে সুস্পষ্টভাবে ফ্ল্যাট কেনার শর্ত, ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণ, ফ্ল্যাটের অনুমোদিত নকশা, ভবনের কোন ফ্ল্যাটটি কিনছেন এবং ক্রেতা যদি উন্নত মানসম্পন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে চান, তাহলে দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মতি—এ বিষয়গুলো উল্লেখ থাকতে হবে। এ ছাড়া একেক আবাসন প্রতিষ্ঠানের ফ্ল্যাটের আয়তন একেকভাবে পরিমাপ করে। ফলে ফ্ল্যাটের মোট আয়তন ও ব্যবহারযোগ্য আয়তনের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে আগেই বুঝে নিতে হবে। সেটি চুক্তিতে রয়েছে কি না, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গেও পরামর্শ করে নেওয়া যেতে পারে।

৮. কিস্তি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা
ফ্ল্যাট যদি কিস্তিতে কেনা হয়, তাহলে কত কিস্তি ও কবে হস্তান্তর হবে, সেটি চুক্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে। কোনো কারণে ফ্ল্যাট কেনা না হলে সেটি কীভাবে নিষ্পত্তি হবে, তা–ও স্পষ্টভাবে থাকতে হবে।

Advertisement

৯. কোনটি কেনা লাভজনক
রেডি বা প্রস্তুত, নির্মাণাধীন নাকি শিগগিরই নির্মাণ শুরু হবে, এমন প্রকল্পের ফ্ল্যাট কিনবেন, সেটিও চূড়ান্ত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রস্তুত ফ্ল্যাটের দাম বেশি। নির্মাণ শুরু হবে এমন ফ্ল্যাট বুঝে পেতে সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে নির্মাণাধীন ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনাটা আপনার জন্য বেশি সুবিধাজনক। কারণ, যত দ্রুত আপনি নিজের বাসা বা ফ্ল্যাটে উঠতে পারবেন, তাতে বাসাভাড়া বাবদ খরচ কমবে। সেই টাকা দিয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধে সুবিধা হবে আপনার।

১০. ঋণ নিন বুঝেশুনে
বর্তমানে ব্যাংকগুলো একজন গ্রাহককে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ দিতে পারে। ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (লিজিং কোম্পানি) আগে থেকেই গ্রাহকের চাহিদামতো ঋণ দিয়ে দেয়। আবার সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) অন্যদের চেয়ে কম সুদহারে ঋণ দেয়। ফলে ঋণ নেওয়ার আগে সুদহারের পাশাপাশি শর্তগুলো ভালো করে দেখে নিন।

Continue Reading

ফিচার

যে জিনিসটি ছাড়া আধুনিক আবাসন অপরিপূর্ণ

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

র৵াংগ্‌স প্রপার্টিজের ডিজাইন ও পরিকল্পনার কাজে অনেক বছর যুক্ত থাকার পর ২০১৫ সালে একদল স্থপতি মিলে গড়ে তোলেন ইনস্পেস আর্কিটেক্টস লিমিটেড। আবাসন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান। তিন প্রিন্সিপাল আর্কিটেক্ট হিমেল কুমার সাহা, ওয়াহিদ আহমেদ ও আয়েশা শফিকের সঙ্গে আছে ৬৫ জনের অভিজ্ঞ একটি দল। বুদ্ধিবৃত্তি ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ে আট বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিতই তাঁরা তৈরি করছে বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা। সবুজ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিজেদের স্থাপনায় ভার্টিক্যাল গার্ডেন, ল্যান্ডস্কেপিং, সবুজ ফেকাড ও রুফটপ গার্ডেনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ইনস্পেস আর্কিটেক্ট। সবুজ এই অংশগুলো ছাড়া আধুনিক বাসস্থান অপরিপূর্ণ, মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তারা।

পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবন যখন ভরসার নাম
আধুনিক স্থাপত্যে পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনকে কেন্দ্রে রেখে কাজ করার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো শহরে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সেই ধারায় কাজ করছে ইনস্পেস আর্কিটেক্টস। তাদের বিভিন্ন ভবন বা স্থাপনার নকশায় পরিবেশের পাশাপাশি অগ্রাধিকার পায় সবুজ। শুধু ফুলের টব বা ছাদবাগান নয়; ভবনের প্রতিটি স্তরে মেলে সবুজের দেখা। ইনস্পেসের ডিজাইন টেবিল থেকে আসা ডায়োরামা, মিরান্ডা, মেরিসা, রিফ্লেকশন, পার্ক টেরেস, মেমোরি ৭১, হোয়াইট ওকসহ বিভিন্ন ভবনের দিকে তাকালেই প্রশান্তি অনুভব করবেন যে কেউ। প্রাকৃতিক উপাদান ও উদ্ভিদের ব্যবহার ভবনের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে রাখে স্বাস্থ্যকর, বায়ুপ্রবাহকে করে অবাধ, সেই সঙ্গে কমায় শক্তির খরচ। তাই ইনস্পেস আর্কিটেক্টসের ভবন নির্মাণের একটি কেন্দ্রীয় ভাবনা হয়ে উঠেছে এখন সবুজ নকশা।

নকশায় ভবিষ্যৎ অন্দরে মিনিমালিজম
ইনস্পেস আর্কিটেক্টসের নকশা করা ডায়োরামা ভবনটি ঘুরে দেখছিলাম। গুলশানে নির্মাণ করা হয়েছে এই আবাসিক ভবন। বারান্দায় সবুজের উপস্থিতি। গুলশানের মতো ব্যস্ত এলাকায়ও বাসিন্দারা পাচ্ছেন প্রকৃতির স্পর্শ। ইনস্পেসের স্থপতি ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘সবুজ স্থাপনায় মিনিমালিস্ট ডিজাইন, স্থাপত্যশিল্পে নতুন এক বিপ্লব আনতে কাজ করছি আমরা। সারা বিশ্বেই এখন ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভবনের ডিজাইন করা হচ্ছে। একই ভাবনা নিয়ে আমরাও বাংলাদেশে কাজ করছি।’

স্থাপত্যের এক নতুন ধারা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন মিনিমালিজম। ইনস্পেস আর্কিটেক্টসের কাজেও অতিরিক্ত জটিলতা আর অপ্রয়োজনীয় সাজসজ্জার বদলে সহজ ও ব্যবহারিক ভাবনাই দেখা যায় বেশি। ভবনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনে প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের প্রবাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভেতরের আলোক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। প্রাকৃতিক উপাদানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে করে ভবনের পরিবেশগত প্রভাব যেমন ঠিক থাকছে, তেমনি ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও ফেলছে ইতিবাচক প্রভাব।

‘পরিবেশের ভারসাম্যের বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
স্থপতি ওয়াহিদুর রহমান
শৈশব থেকেই নকশা ও স্থাপত্যের প্রতি আমার গভীর আকর্ষণ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় আরও গভীরতর হয়েছে সেই আগ্রহ। র৵াংগ্‌স প্রপার্টিজ লিমিটেডে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি, স্থাপত্য কেবল ভবন নির্মাণেরই নয়, জীবনযাপনেরও অংশ। ইনস্পেস আর্কিটেক্টসে আমরা নান্দনিকতা, পরিবেশবান্ধব নকশা, ফাংশনাল ডিটেইল ডিজাইন ও স্থায়িত্বের ওপর গুরুত্ব দিই।

Advertisement

প্রতিটি প্রকল্পে শুধু বসবাসের চাহিদাই মেটাই না, পাশাপাশি ভবনের সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্যের দিকটাও আমাদের খেয়ালে থাকে। আমরা এমন ভবন নির্মাণে বিশ্বাসী, যা দীর্ঘ মেয়াদে পরিবেশ ও মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমাদের নকশায় প্রাকৃতিক আলো–বাতাসের প্রবাহ এবং আধুনিক উপকরণের ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এতে করে শক্তি খরচ হয় কম ও বাড়ে ভবনের স্থায়িত্ব। আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজ, সুন্দর আর টেকসই একটি পরিবেশ তৈরি করা।

প্রতিটি স্থাপনার নকশায় আমরা ত্রিভুজ বা চতুর্ভুজের মতো সরল কিন্তু কার্যকর জ্যামিতিক বিন্যাস ব্যবহার করি, যা দৃষ্টিনন্দন ও ব্যবহারের উপযোগী। ভবনের ভেতরের স্থানগুলোকে আরও উন্মুক্ত, আরামদায়ক ও ব্যবহারবান্ধব করতে ফাংশনাল ডিজাইন করি।

সবুজ ফেকাড বা গাছপালায় আচ্ছাদিত ভবনের বাইরের অংশ পরিবেশবান্ধব নকশার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই পদ্ধতিতে শহরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, বাতাসের গুণগত মান ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভূমিকা রাখা যায়। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে সবুজায়ন ও ফাংশনাল ডিজাইনের ভবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যা ও পরিবেশগত চাপের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি নকশায় আমরা গ্রাহকের নিরাপত্তা ও পরিবেশের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
আবাসন সংবাদ3 weeks ago

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান...

নির্বাচিত প্রতিবেদন3 weeks ago

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর...

অর্থ ও বাণিজ্য3 weeks ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭...

আবাসন সংবাদ4 weeks ago

আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাকুরির গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মোটা...

আইন-কানুন4 weeks ago

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া...

Advertisement

সর্বাধিক পঠিত