Connect with us
<

সাক্ষাৎকার

নতুন সম্ভাবনা দেখছে এডিসন রিয়েল এস্টেট

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চোখধাঁধানো অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স গড়ে তুলেছে এডিসন রিয়েল এস্টেট। এ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ।

প্রশ্ন: চাকরিজীবনের শুরুতে সিমেন্স বাংলাদেশের কনজ্যুমার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ডিভিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরপর শুরু করেন সিম্ফনি মোবাইল কোম্পানির ব্যবসা। নতুন করে এখন আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হলেন কেন?

আমিনুর রশিদ: এডিসন গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বেশ সুনামের সঙ্গেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা। যে খাতেই হাত দিয়েছি, সেখানেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। ইলেকট্রনিকস, পাওয়ার, মোবাইল, কমিউনিকেশন ইত্যাদি ব্যবসায়ে নিজেদের সুনাম বজায় রেখেছি। এডিসন গ্রুপ দেশ ও দেশের মানুষের অগ্রগতির অংশীদার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৫ সালে এডিসন রিয়েল এস্টেটের যাত্রা শুরু হয়। এই ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পেছনে আমাদের মূল ইন্সপিরেশন ছিল বর্তমান প্রজন্মের উন্নত জীবনের চাহিদা বৃদ্ধি এবং সে অনুযায়ী যথাযথ আবাসনের অভাব পূরণ করা। আমি দেখেছি যে মানুষের উন্নত জীবনের এই চাহিদা সাধ্যের ভেতরে পূর্ণ করার ব্যাপারে আহামরিভাবে কেউ কাজ করছে না। বিশ্বাস করুন, অনেক কিছু করার আছে আমাদের এই রিয়েল এস্টেট সেক্টরে এবং অনেক জায়গা আছে, যেগুলোকে অনেকে গুরুত্বসহকারে না দেখলেও কাস্টমারের কাছে চাহিদাগুলো আপন। আমি চাই, এডিসন গ্রুপের ঐতিহ্যের ধারা বজায় রেখে এডিসন রিয়েল এস্টেট লিমিটেডও মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং তাদের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষাগুলো পূরণ করবে।
আপনিও জানেন, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট বা আবাসন একটি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল খাত। এরপরও মানসম্মত আবাসস্থলের ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের মধ্যে বড় ঘাটতি রয়েছে এবং এটার ওপর জোর দিয়েই আমরা আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্যে এডিসন জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে অনন্য ডিজাইনের উচ্চ মানসম্পন্ন বাসস্থান নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্লায়েন্টদের আবাসনের ক্ষেত্রে অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ক্রমাগত সেরা চেষ্টা করে চলেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানিত ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত রিয়েল এস্টেট ব্র্যান্ড হয়ে উঠব। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে অবিচল থাকব এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে তাঁদের জীবনে সুখের নতুন এক সূচনা করব ইনশা আল্লাহ।

প্রশ্ন: আপনাদের বেশির ভাগ প্রজেক্ট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাভিত্তিক কেন, বলবেন?

আমিনুর রশিদ: দেখুন, বসুন্ধরা হলো বর্তমান সময়ে দেশের বড় আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। এই সেখানকার প্ল্যানও বেশ গোছানো। এই এলাকায় সবচেয়ে বড় শপিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে নামকরা স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটি, হসপিটাল, কনভেনশন সেন্টার, খেলার জায়গা—সবই রয়েছে। এরপর পাশেই পূর্বাচল ৩০০ ফুট রাস্তা, এয়ারপোর্ট, বনানী, গুলশান—এসব এলাকাও কাছেই। সে জন্য বসুন্ধরাকে যদি উন্নত ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বলি, তাহলে ভুল হবে না। আর মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের কথাও যদি বলি, তাঁরাও এমন গোছানো আবাসিক পরিবেশে থাকতেই বেশি আগ্রহী। এরপর বসুন্ধরার মতো অন্য কোনো এলাকায় আমরা ১০-২০ কাঠার প্লট সহজে পাই না। আমাদের পক্ষে বসুন্ধরাতেই সুলভ মূল্যে উন্নত মানের আবাসন দেওয়া সম্ভব। সব মিলিয়ে বলব, আবাসন খাতে যে বিপ্লব আমরা আনতে চাইছি, সেটা কেবল বসুন্ধরাতেই সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব।

Advertisement

প্রশ্ন: আপনাদের প্রকল্পগুলোর ভিন্নতা ও নতুনত্ব নিয়ে যদি কিছু বলতেন।

আমিনুর রশিদ: আমাদের প্রজেক্টগুলো গতানুগতিক নয়, বরং বেশ চোখে পড়ার মতো। যেমন আমাদের লাক্সারি ক্যাটাগরির অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে আমরা যেসব অত্যাধুনিক ফিচার রাখছি, তা মূলত উন্নত বিশ্বের কন্ডোমিনিয়াম আবাসনে থাকে। আবার কিছু কিছু জায়গায় না–ও থাকতে পারে। আমাদের প্রিমিয়াম প্রজেক্টগুলোতে যেসব সুবিধা থাকছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সুইমিংপুল, জিম, কমিউনিটি স্পেস, বাচ্চাদের খেলার জায়গা ইত্যাদি। এগুলো বর্তমান যুগে দেশের লিভিং স্ট্যান্ডার্ডে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমাদের এন্ট্রি লেভেলের কমফোর্ট প্রজেক্টগুলোতেও আমরা যেসব সুবিধা দিচ্ছি, সেগুলো অন্য অনেক কোম্পানিতে লাক্সারি হিসেবে ধরা হয়। দেশের নামীদামি ও অভিজ্ঞ আর্কিটেক্টরা আমাদের প্রজেক্টগুলোর ডিজাইন করেন। এসব প্রজেক্টে সর্বোচ্চ মান ও গ্রাহকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিতে আমরা থাইসেনক্রাপ, ওয়েল অ্যান্ড পাওয়ার, আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড, গ্রহি, এবিবি, হোলসিম, বিএসআরএমের মতো বিশ্বমানের নামীদামি ব্র্যান্ডের ম্যাটেরিয়াল ও অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করে থাকি।

প্রশ্ন:আপনাদের প্রকল্পগুলো নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

আমিনুর রশিদ: আমরা বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। বিশেষ করে সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখে আমাদের প্রিমিয়াম দুটি প্রজেক্ট ‘এডিসন আমোর’ ও ‘এডিসন এপ্রিকাস’ উদ্বোধন করার পর থেকে আমরা আরও ভালো সাড়া পাচ্ছি। এর চেয়েও বেশি সাড়া পাওয়ায় আমাদের কাজের গতি অনেক বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। এই পর্যায়ে আমরা যে সাড়াটা পাচ্ছি, তা যেকোনো কোম্পানিকে মূল লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বেশ অনুপ্রেরণামূলক। সামনে আমাদের যে প্রজেক্টগুলো আসছে, সেগুলো আরও বেশি সাড়া ফেলবে বলে আমরা মনে করছি।

প্রশ্ন : নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের প্রতি কি কোনো বার্তা আছে, যারা আবাসন খাত নিয়ে কাজ করছে?

Advertisement

আমিনুর রশিদ: আসলে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের আমি এই খাত নিয়ে নতুন করে ভাবতে বলব। ইয়াং ব্লাড ব্যাপারটা পুরো ব্যবহার করতে হবে তাদের। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছি। সেই তুলনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেকচারাল ইনোভেশনের ক্ষেত্রে এখনো আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। দেশ–বিদেশ ঘুরে দেখতে হবে যে কাদের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন ও প্র্যাক্টিস কেমন। আমাদেরও সেই পর্যায়ে যাওয়ার স্পৃহা থাকতে হবে। আমাদের জ্ঞান বিতরণ করতে হবে এবং দেশে এমন একটি প্র্যাক্টিস ও ইকোসিস্টেম ডেভেলপ করতে হবে যেন আর্কিটেক্টরা স্বাধীনভাবে বৈশ্বিক মানের ডিজাইন বা নকশা বাস্তবায়নে আগ্রহ নিয়ে কাজ করেন। এখানে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। যে প্রজেক্টগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে, তার প্রতিটিই যেন একেকটা আর্কিটেকচারাল মাস্টারপিস হয়, সে লক্ষ্যে মেধা ও শ্রম দিতে হবে। প্রজেক্টগুলোর প্রতি ইঞ্চি জায়গার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এডিসন রিয়েল এস্টেটে আমরা তরুণদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছি। গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে দেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরে নতুন এবং ভালো কিছু করার প্রত্যয়ে আমাদের পুরো টিম কাজ করছে।

Continue Reading
Advertisement

নির্বাচিত প্রতিবেদন

প্রতিটি ফ্ল্যাটে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণ করে জেমস গ্রুপ

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর
প্রতিটি ফ্ল্যাটে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণ করে জেমস গ্রুপ

সারা দেশে যেসব রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো স্বনাম ধন্য জেমস গ্রুপের দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এই কোম্পানি দুটির বিশেষত্ব হলো, কোম্পানির প্রতিটি প্রজেক্টে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণ করে থাকে। কোম্পানি দুটি কাস্টমারের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সব সময় তিনটি বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর সেগুলো হলো-প্রজেক্টের কোয়ালিটি (গুণগত মান), কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) ও সার্ভিস (সেবা)। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণে কাজ করছে কোম্পানি দুটি।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে জেমস গ্রুপের কার্যালয়ে আবাসন বিষয়ক প্রথম মাল্টিমিডিয়া পোর্টাল আবাসন.টিভির সঙ্গে একান্ত আলাপে এসব কথা বলেন জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেডের সিইও এম কে আনোয়ার হাসান। আলাপে উঠে আসে জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্পগুলোর আদ্যোপান্ত। দীর্ঘ আলাপের কিছু চুম্বক অংশ আবাসনের পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।

আবাসন: জেমস গ্রুপের রিয়েল এস্টেট প্রজেক্টগুলো সম্পর্কে জানতে চাই।

এম কে আনোয়ার হাসান: দেশের স্বনাম ধন্য জেমস গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হলো এর রিয়েল এস্টেট সেগমেন্ট। গ্রুপটির মূল কনসার্ন হলো এর দুটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে ঘিরে। এ কোম্পানি দুটি হলো, জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এই দুটি নামেই রিয়েল এস্টেট বিজনেসটা পরিচালিত হয়। আমরা জয়েন ভেঞ্চার এবং জমি কিনে দুভাবে প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে থাকি। মূলত, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে কেন্দ্র করেই আমাদের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দুটি যাত্রা শুরু করেছিল। আমরা ইতিমধ্যেই রাজধানী ঢাকায় প্রায় ৫২টি প্রকল্প অত্যন্ত সফলতার সাথে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাস্টমারদের কাছে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছি। চুক্তিতে কাস্টমারদের কাছে যে কোয়ালিটির নির্মাণ সামগ্রীর স্পেসিফিকশন করা ছিল, সে অনুযায়ী ৫২টি প্রকল্প অমরা সম্পন্ন করে তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি।

আমাদের হাতে এখনও আরও ৫০টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বাকিগুলো রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বা অন্যান্য পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলোর বেশির ভাগই বসুন্ধরা এলাকাতেই গড়ে উঠেছে। এছাড়াও উত্তরা, কে এম দাস লেন, ধানমন্ডিসহ বেশ কিছু এলাকাতে আমাদের প্রকল্প রয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন আর্মিদের যে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, সেখানে আমরা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সাইন করেছি। বসুন্ধরার পর জলসিঁড়িতেও জেমস-এর প্রকল্পের বিস্তৃতি ঘটতে যাচ্ছে, ইনআশাল্লাহ।

Advertisement

আবাসন: জেমস মোস্তাবা মেনশন প্রকল্পটি কোন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে? এখানে কী ধরনের ফ্ল্যাট রয়েছে? আকার, আয়তন, পরিমাণ. . .

এম কে আনোয়ার হাসান: জেমস মোস্তাবা মেনশন একটি লাক্সারিয়াস প্রজেক্ট। এটি বসুন্ধরায় অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এলাকা জি ব্লকে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রজেক্টটি ১২ কাঠা জমির উপরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি ১৪তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং। এতে রয়েছে বেইজমেন্ট, গ্রাউন্ড ফ্লোর, সুইমিংপুল, কিডস জোনসহ অত্যাধুনিক বিল্ডিংয়ের সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। প্রতিটি ফ্লোরে ২টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ২ হাজার ৬৫০শ’ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের কাজ চলমান আছে। আশা করছি, আগামী দেড় বছরের মধ্যে কাস্টমারদের কাছে রেডি ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে পারবো।

আবাসন: জেমস শামিমা গার্ডেন প্রজেক্টও কী বসুন্ধরায় গড়ে তোলা হয়েছ? এ প্রজেক্ট সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলুন।

এম কে আনোয়ার হাসান: জেমস শামিমা গার্ডেন প্রজেক্টটি গড়ে তোলা হয়েছে বসুন্ধরায় এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডের ৫২০ নম্বর হাউজে। এটা ছোট একটা প্রজেক্ট। তবে এতে রয়েছে অত্যাধুনিক নাগরিক জীবনযাপনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। প্রতি ফ্ল্যাট ১ হাজার ৫৫০ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতি ফ্লোরে রয়েছে একটি করে ইউনিট। প্রজেক্টটি ইতমধ্যেই কাস্টমারদের বুঝিয়ে দিয়েছি।

আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, রিয়েল এস্টেট বিজনেসে কাস্টমাররা সবসময় যে অভিযোগটি করে থাকেন, সেটি হলো তারা সময় মতো নির্মাতা কোম্পানিগুলোর কাছে থেকে তাদের ফ্ল্যাট বুঝে পান না। এতে নির্মাতা কোম্পানিগুলো উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, বদনামও হয়ে থাকে। সে জায়গা থেকে যেখানে একটা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে ২৪ থেকে ৩০ মাসের সময় বেধে দেওয়া থাকে, সেখানে আমরা এই প্রজেক্টটি ১৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে কাস্টমার খুশি হয়েছেন। আমরা আমাদের কাস্টমারদের প্রতি দেওয়া কমিটমেন্ট অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রজেক্ট বুঝিয়ে দিয়ে চেষ্টা করছি মানুষের ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়ার। জেমস কনট্রাকশনস সব সময় কাস্টমারদের কোয়ালিটিফুল কাজ করে দিতে বিশ্বাসী। সেসাথে কমিটমেন্ট অনুসারে কাজ করে থাকে।

আবাসন: জেমস বিডি প্যালেস প্রজেক্টটির বিশেষত্ব কী?

Advertisement

এম কে আনোয়ার হাসান: দেখুন, অমাদের প্রতিটি প্রজেক্টই আন্তর্জাতিকমানের বুয়েটের আর্কিটেক্ট দিয়ে ডিজাইন করে, সর্বোচ্চ মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে টেকসই ও নান্দনিক ডিজাইনে নির্মাণ করে থাকি। তাই, প্রতিটি প্রজেক্টই সৌন্দর্যে, নিজস্বতায় ও নান্দনিকতায় অনন্য। জেমস বিডি প্যালেসও আমাদের তেমন একটি লাক্সারিয়াস প্রজেক্ট হবে। প্রজেক্টটি বসুন্ধরায় জি ব্লকের ৯ কাঠা জমিজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। তিন কাঠার তিনটি প্লট একসাথে করে প্রজেক্টটি গড়ে উঠেছে। প্লটগুলো যথাক্রমে ৫১২, ৫১৩, ৫১৪। সাউথ ফেস বা দক্ষিণমুখী করে গড়ে উঠা প্রজেক্টটির প্রতিটি ফ্লোরে দুটি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ১৯শ’ স্কয়ারফিট করে রয়েছে। প্রজেক্টটির কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাস্টমারদের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারবো।

আবাসন: জেমস সালেহ ওয়েসিস প্রজেক্টটি কোন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে? এ সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন. . .
এম কে আনোয়ার হাসান: আমাদের বেশির ভাগ প্রজেক্টগুলোই গড়ে তোলা হয়েছে বসুন্ধরা এলাকায়। আমাদের টার্গেটকৃত কাস্টমার হলেন বসুন্ধরায় বসবাসরত অভিজাত শ্রেণি। তাই, জেমস সালেহ ওয়েসিস প্রজেক্টটিও বুসন্ধরায় জে ব্লকে গড়ে তোলা হয়েছে। দক্ষিণমুখী প্রজেক্টটি ৫ কাঠা জমির উপরে গড়ে তোলা হয়েছে। ১০তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে প্রতি ফ্লোরে একটি করে ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ১ হাজার ৯৫০ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রজেক্টটিও আমরা কাস্টমারদের কাছে ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। কাস্টমাররা গত দুই মাস ধরে এখানে বসবাস করা শুরু করেছেন।

আবাসন: জেমস কনট্রাকশনসের প্রজেক্টগুলোতে কাস্টমারদের জন্য বিশেষ কোনো গিফট, ছাড় বা অফার দেওয়া হয় কি না?
এম কে আনোয়ার হাসান: দেখুন, আমরা আমাদের প্রজেক্টে কাস্টমারদের জন্য বিশেষ কোনো গিফট, সুযোগ-সুবিধা, ছাড় বা অফারে বিশ্বাসী না। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি প্রজেক্ট নির্মাণ কোয়ালিটিতে। কাস্টমারকে সময় মতো প্রজেক্ট বুঝিয়ে দেওয়াতে। কাস্টমারের সন্তোষ্টিতে ও কোয়ালিটিফুল সার্ভিসে। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এ বিষয়গুলো ঠিক থাকলে কাস্টমাররা ছাড় বা অফার চায় না, গিফট চায় না। তারা চায় আমরা যাতে আমাদের দেওয়া কমিটমেন্ট অনুসারে কোয়ালিটিফুল কাজ করে, স্বপ্নের ফ্ল্যাটটি সময় মতো তাদেরকে বুঝিয়ে দেই। আর আমরা এ বিষয়গুলোকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।

আমরা যাতে সব সময় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাস্টমারদের হাতে প্রজেক্টটি বুঝিয়ে দিতে পারি, সেদিকে সবসময় সতর্ক থাকি। সেসাথে আমরা যেনো কোয়ালিটিফুল একটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রক্ষা করতে পারি, সেদিকেও খেয়াল রাখি। প্রজেক্টের চুক্তির সময় যে নির্মাণ সামগ্রী দেওয়ার জন্য কমিটমেন্ট করেছি, সেটা পৃথিবীর সেরা নির্মাণ সামগ্রী না হলেও আমরা যেটি দেওয়ার চুক্তি করেছি, সেটি বাজার মূল্য ও চুক্তির দাবি অনুসারে সবচেয়ে ভাল মানেরটা দিচ্ছি কি না, সেটি নিশ্চিত করে থাকি।

আমাদের দু’একটি প্রজেক্ট ছাড়া প্রতিটি প্রজেক্ট লোকেশন অনুসারে সব সময় সাউথ ফেসিং বা দক্ষিণমুখী করে নিয়ে থাকি। এটা বেশির ভাগ কাস্টমারের ফ্যাসিনেশন থেকে আমরা সাউথ ফেসিং প্রজেক্টগুলো নিয়ে থাকি। কাস্টমাররা যাতে প্রজেক্টে থেকে সব সময় ঠিক মতো আলো-বাতাস পায়, আনন্দ ও আরাম পায়, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন আর্কিটেকচার দিয়ে বিল্ডিংগুলো ডিজাইন করে থাকি। বড় প্রজেক্টগুলোর ছাদের জায়গা, বিল্ডিংয়ের আশপাশের জায়গা, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, গার্ডেনিংয়ের জায়গা, সুইমিং ও কিডজোন রাখা এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

এছাড়াও কাস্টমারকে প্রত্যেকটি প্রজেক্টের মালিকানার লিগেল ডকুমেন্ট দিয়ে থাকি। যাতে একজন কাস্টমার ফ্ল্যাট কেনার পর তার প্রকৃত মালিকানা সুরক্ষিত থাকে। চাইলে যাতে তিনি যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এ বিষয়গুলোর প্রতিই আমরা মূল ফোকাস দিয়ে থাকি। যদি বলা হয় কাস্টমারদের জন্য কী গিফিট, ছাড় বা অফার দেওয়া হয়, তাহলে বলবো এগুলোই হলো তাদের জন্য ছাড় বা অফার। তবে মার্কেটিং পলিসির জন্য বিশেষ দিবস বা মেলা উপলক্ষে কাস্টমারদের জন্য বিভিন্ন গিফিট, ছাড় বা অফারের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এগুলো আমাদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। আমাদের মূল ফোকাস হলো, উল্লিখিত বিষয়গুলোর উপর। এগুলোর উপর ভিত্তি করেই আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করছি। কাস্টমারদের কাছ থেকে সেভাবে ফিটব্যাকও পাচ্ছি।

Advertisement

আবাসন: রিয়েল এস্টেটপ্রেমীদের জন্য আগামীতে নতুন কী কী প্রকল্প আসছে?

এম কে আনোয়ার হাসান: ইতিমধ্যেই জেনেছেন আমরা কাস্টমারদের কাছে ৫২টি প্রজেক্ট সফলভাবে হস্তান্তর করেছি। এখনও আরও ৫০টি প্রজেক্ট পাইপ লাইনে রয়েছে। উত্তরার মতো ব্র্যান্ড আবাসন এলাকায় প্রকল্প সম্পন্ন করেছি এবং আরও কয়েকটি প্রকল্প পাইপ লাইনে আছে। সেগুলো আগামীতে আসছে। এর পাশাপাশি আমরা বর্তমানে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে কাজ শুরু করেছি। সেখানেও নতুন কিছু প্রজেক্ট আসছে। মতিঝিলের আশপাশে যেমন, আর কে মিশন রোড, কে এম দাশ লেন ও ধানমন্ডিতে আমাদের নতুন প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছি। এগুলো সময় মতো আসবে নতুন চমক নিয়ে।

‘হাউজিং ফর অল’ কনসেপ্ট থেকে আমরা কিছু লো কস্ট হাউজিং ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছি। উদ্দেশ্য নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষরা যাতে যাদুর নগরীতে একটা ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারেন। সে বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই হয়তো চমক হিসেবে বেশ কিছু প্রজেক্ট চলে আসবে, ইনশাআল্লাহ। এভাবে আমাদের আবাসন প্রকল্পগুলো রাজধানীর বিভিন্ন কমার্শিয়াল ও নান্দনিক জায়গায় চালু করছি।

আবাসন: যারা অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশে আপনার ম্যাসেজ কী থাকবে?

এম কে আনোয়ার হাসান: আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একজন কাস্টমার জীবনে একবার ফ্ল্যাট কিনে থাকেন। ব্যতিক্রমও আছে। তাই, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি বলবো, কাস্টমারদের একটা ফ্ল্যাট কেনার আগে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। সেগুলো হলো, যে কোম্পানির কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি কিনবে, সেটি রাজউকের অনুমোদন আছে কি না সেটি নিশ্চিত হওয়া। রাজউকের অনুমোদিত প্লান অনুসারে বিল্ডিংটা নির্মাণ করছে কি না। ডিজাইনটা যেনো ফাংশনাল হয় সেটি খেয়াল করতে হবে। চুক্তির সময় যে কোয়ালিটির নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বিল্ডিংটা নির্মাণ করার কথা ছিল, সেটি দিয়ে তারা নির্মাণ করছে কি না সেটি দেখে নিতে হবে।

জমির লিগাল ডকুমেনটেশন, মালিকানা, মিউটেশন, সিএস, আর এস পর্চা, এগুলো যিনি বুঝেন এমন একজন ভাল উকিল দিয়ে যেনো বুঝে নেন। কেননা ফ্ল্যাট কেনার পর ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে দেখা যায় ডকুমেনটেশনে ঝামেলা আছে। তাই, আপনি যখন ফ্ল্যাট কেনার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, তখন অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে বুঝে তারপর নিতে হবে। তা না হলে আপনাকেই পস্তাতে হবে।

Advertisement
Continue Reading

নির্বাচিত প্রতিবেদন

‘ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ’

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর
ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ। কিচেন টাচ ও কিচেন আর্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি দেশের হোম ও কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতের একজন উদীয়মান ও তরুণ উদ্যোক্তা। আইটি সাংবাদিকতার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হলেও কিচেন এক্সেসরিজের প্রতি ভালোলাগা থেকে শুরু করেন কিচেন টাচ উদ্যোগ। কাজের প্রতি নিষ্ঠা, সততা, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অল্প দিনে গড়ে তুলেছেন কিচেন টাচ উদ্যোগ। গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও হোম, কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন দিয়ে হাজারো ক্রেতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। হোম এবং কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ উদ্যোগের পাশাপাশি যুক্ত আছেন বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে। বর্তমানে তিনি টেক আলো নিউজের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আইসিটি এমপ্লয়ী সোসাইটি অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট (এডমিন), এইড ডেভেলপার অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়াম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন দৈনিক যায়যায় দিন, দৈনিক ভোরের পাতা, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

>>আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তদের জন্য পরিকল্পিত ও নিরাপদ আবাসন গড়তে চাই : রওশন আল মাহমুদ

সম্প্রতি কথা হয় প্রথম আবাসন বিষয়ক মাল্টিমিডয়া পোর্টাল আবাসন.টিভির সাথে। খোলামেলা কথা বলেন কিচেন টাচ উদ্যোগ হোম ও কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি আবাসন মাল্টিমিডয়া পোর্টালের পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।

আবাসন: দুনিয়ায় এতো কিছু থাকতে উদ্যোগের বিষয় হিসেবে কিচেন এক্সেসরিজকে বেছে নিলেন কেনো?

Advertisement

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: বাসা বা বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান কিচেন বা রান্নাঘর৷ প্রতিদিনই কয়েকবার করে ব্যবহার করা হয় এটি। একটি বাসার রান্নাঘরের সাথে অন্য পাঁচটা রুমের তুলনা হয় না। আমাদের বাড়ির মা-বোন বা গৃহিনীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রান্নাঘরে কত সময় যে পার করে দেয় তার কোন হিসেবে নেই। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ সময়ে রান্নাঘরের সাজসজ্জার দিকে নজর দেই না। রান্নাঘরে স্বাচ্ছন্দ্যে ও সহজভাবে কাজ করার মতো পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দেই না। লিভিং রুম,ডাইনিং রুম আর বেডরুমের সাজসজ্জায় সীমাবদ্ধ রাখি। রান্নাঘরের দিকে বিশেষ খেয়াল দেই না। আসলে রান্নাঘরের ডিজাইন বা সাজসজ্জা হতে হবে খুবই পরিকল্পিত এবং সময়োপযোগী। বিষয়টা নিয়ে আমার মাথায় ভাবনা আসে ২০১৪ সালে।

ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ

আমি যখন নিজের বাসায় নতুন রান্নাঘর তৈরি করি। সব কিছু থাকতো এলোমেলো। কোথায় কি রাখতে হবে সেটা জানতাম না। প্রয়োজনীয় জিনিসটি সময় মত হাতের কাছে পাওয়া যেতো না। রান্নাঘরে হাঁটাচলার পর্যাপ্ত জায়গার অভাব ছিল। তখন চিন্তা করি, এই রান্নাঘরটাকে আধুনিক করলে কেমন হয়? তখন একজন কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের সাথে কথা বলে, সে অনুসারে অনলাইনে কিচেন এক্সেসরিজ খোঁজা শুরু করি। রাজধানীর সব কিচেন মার্কেটে ঘুরে ঘুরে এক্সেসরিজ কিনে আমার কিচেনটাকে মনের মতো করে সাজাই। কিন্তু তখন প্রয়োজন মত সব পাই নাই। ওই সময় মাথায় এলো এটা নিয়েও তো বিজনেস করা যায়।

 

>>আরও পড়ুন: ‘সরকারের সুনজরে ফার্নিচার শিল্পখাতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব’

>>আরও পড়ুন: ‘রিয়েল স্টার প্রোপার্টিজকে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই’ 

১৭ কোটি মানুষের দেশে সবারই তো একটা রান্নাঘর থাকবে। এ ব্যবসার ভবিষ্য সম্ভাবনা ভাল। পেশাগতভাবে আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডেড হওয়াতে সব কিছু সোর্সিং করা সহজ হয়ে গেল। আস্তে আস্তে যতই হোম কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন, কিচেন এক্সেসরিজ সম্পর্কে জানছি, পড়াশোনো করছি, ততই মনের মধ্যে ভাল লাগা কাজ করছে। একটা সময় এসে কিচেন এক্সেসরিজ নিয়েই বিজনেস শুরু করি। এভাবেই কিচেন টাচ-এর পথচলা শুরু।

Advertisement

ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ

আবাসন: এই শো-রুমে একজন ক্রেতা তার কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য কি ধরনের এক্সেসরিজ কিনতে পারবেন?

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: আমাদের শো-রুমে ৩৬০ ধরনের হোম অ্যান্ড কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ সল্যুশনস রয়েছে। একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজ প্রয়োজন হয়, এখানে বিভিন্ন নামিদামি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সব ধরনের গুণগতমানসম্পন্ন এক্সেসরিজ রয়েছে। চীন, জাপান, জার্মানী, ইতালি, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, হংকং-এর মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি সফল দেশের প্যারোস, ওয়েল ম্যাক্স, ওলউইন, ভেরনা, আইডিয়াল, রিননাই, অ্যারিশটন, অলিয়ন, এভারসাইন ব্র্যান্ডের কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ রয়েছে।

ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ

এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল, অলিয়ন ৩ বার্নার মার্বেল, কিচেন হুড, ১২ লেয়ার লার্ডার বাস্কেট, মেজিক কর্নার বাস্কেট লেফট অ্যান্ড রাইট, ৫ লেয়ার কর্নার বাস্কেট, ১২ লেয়ার টল ইউনিট বাস্কেট, ৬ লেয়ার টল ইউনিট বাস্কেট, পুল আউট ৩ সেলফ স্লিডিং বাস্কেট, ১৮০ ডিগ্রি রিভোলিং বাস্কেট, বোটল অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, ৩৬০ ডিগ্রি রিভোলিং বাস্কেট, স্পাইস র ্যাক বাস্কেট, প্লান অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, প্লেট অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট ৩ সাইডেড, সাইড বাস্কেট ম্যাটেরিয়াল, পিভিসি কালেরি ট্রে, ড্রাবল বল সিংক, কাটলেরি, এলিভেটর বাস্কেট, ডাস্টবিন, ডরবিন, সিংক সাপোর্ট র ্যাক, ডিশ র ্যাক, লিড হোল্ডার, টিসু হোল্ডার, প্লেট অ্যান্ড বৌল হ্যাংগিং র ্যাক রাইস কন্টিনার, প্লান অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, ৩ লেয়ার পুল আউট ভেজিটেবল বাস্কেট।

ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ

আবাসন: কিচেন টাচ ক্রেতাদের কি ধরনের পণ্যসেবা দিয়ে থাকে? সেগুলো কী কী?

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজের প্রয়োজন হয় আমরা ক্রেতাদের সব ধরনের কিচেন এক্সেসরিজ সরবারহ করে থাকি। স্মার্ট কিচেন হুড ,স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল, অলিয়ন ৩ বার্নার মার্বেল- এর মতো প্রোডাক্টগুলো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার পর এগুলো বাসায় নিয়ে সঠিকভাবে সেটআপের কাজগুলো করে থাকি। ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গ্যারান্টি দেওয়া হলেও কোন কারণে এরই মধ্যে নষ্ট বা সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে দক্ষ, ডায়নামিক, স্মার্ট টিমের সাহায্যে সেগুলো সার্ভিসিং করে থাকি।

Advertisement

ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ

এছাড়াও আমরা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কনসালটেনন্সির কাজও করে থাকি। যারা নতুন কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের পরিকল্পনা করেন, কোথায় কোন এক্সেসরিজটা বসাতে হবে, কতটুকু জায়গায় বসাতে হবে, কীভাবে বসাতে হবে, কিচেনের জায়গাটা কতটুকু পরিমাণে হলে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দে কাজ করা যাবে। একটা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য কত খরচ লাগতে পারে এসব পরামর্শ দেওয়ার কাজগুলো আমরা করছি। শুধু কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজই করি না। সেটি ক্লায়েন্টের মনের মতো করে তৈরি করে দেওয়ার পর, যখন কোন সমস্যা দেখা দেয়, তখন সাথে সাথে সে সমস্যার সমাধানের কাজও করি।

>>আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তদের আবাসন চাহিদা মেটাতে কাজ করছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস : রওশন আল মাহমুদ 

আবাসন: কিচেন টাচ-এর পণ্যের বিশেষত্ব কি? মার্কেটে এতো শো-রুম রেখে ক্রেতারা কিচেন টাচ-এর পণ্য কিনবে কেনো?

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: কিচেন টাচ একটি বিশ্বাস ও নির্ভিরযোগ্য কিচেন এক্সেসরিজ সরবারহকারী এবং কনসালটেন্সি কোম্পানি। এখানে পাওয়া যাচ্ছে ৩৬০ ধরনের হোম অ্যান্ড কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ সল্যুশনস। একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজ প্রয়োজন হয়, এখানে বিভিন্ন নামিদামি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সব ধরনের গুণগতমানসম্পন্ন এক্সেসরিজ রয়েছে। চীন, জাপান, জার্মানী, ইতালি, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, হংকং-এর মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি সফল দেশের প্যারোস, ওয়েল ম্যাক্স, ওলউইন, ভেরনা, আইডিয়াল, রিননাই, অ্যারিশটন, অলিয়ন, এভারসাইন ব্র্যান্ডের কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ রয়েছে। আমরা শুধু কিচেন এক্সেসরিজ বিক্রিই করি না। সেসাথে বিক্রয়োত্তর সেবাও দিয়ে থাকি। যাতে একজন ক্রেতা তার পছন্দের এক্সেসরিজটা কিনে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।

ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ

আর কিচেন টাচ বিশ্বাস করে প্রত্যেকজন ক্রেতাই অত্যন্ত মূল্যবান ও সম্মানের। তাই কোম্পানি গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো-কোয়ালিটি (গুণগত মান), কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) ও সার্ভিস (সেবা)। এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাহকের সন্তোষ্টি পূরণে কাজ করে আসছে কিচেন টাচ।

আবাসন: কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দাম সাধারণত কত থেকে শুরু হয়, আর কত বেশি হয়ে থাকে?

Advertisement

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: দেখুন, অন্য পাঁচটা প্রযুক্তিপণ্যের মতো কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দামও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে পণ্যটা কি এবং কোন ধরনের, কোন কোয়ালিটির, কোন ব্র্যান্ডের। যেমন, ধরুন এটা স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল বিক্রি করি ১৬ হাজার টাকায়। আবার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কোয়ালিটির চুলা পাওয়া যাবে যেগুলোর দাম শুরু হয় ১৫ হাজার টাকা থেকে, ২৫ হাজার, ২২ হাজার, আবার ২০ হাজার বা ২৪ হাজার টাকা। তাই, কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দামও ব্র্যান্ড ও কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

আবাসন: আপনারা কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কনসালটেন্সি করে থাকেন।একটা কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে কী কী বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে?

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: দেখুন, একটা সময় ছিল যখন কিচেন মানে মনে করা হতো হেঁশেল। এখানে মা-বোনদের জীবনের বেশিটা সময় কাটতো। সময়ের পালাবদলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই হেঁশেল এখন বাড়ি বা ফ্ল্যাটের এককোণে ছিমছাম, সুন্দর, পরিপাটি মডিউলার কিচেনে এসে ঠেকেছে। একটা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেসগুলো হলো-একটি ভাল কিচেনের লেআউট তৈরি করা, ওয়ার্কিং ট্রাইঅ্যাঙ্গেলকে মাথায় রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা রাখা, যথেষ্ট পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা রাখা, সাধ্যের মধ্যে ভাল ও সর্বোচ্চমানের কাঁচামাল ব্যবহার করা, ছোট রান্নাঘরের জন্যে হাল্কা রঙ নির্বাচন করা, সহজে মেইনটেইন নিশ্চিত করা।

ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ

কিচেন সাধারণ বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বা উত্তর-পশ্চিম কোণে হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিষস চুলা,হুড, ওভেন, সিংক, আর রেফ্রিজারেটরকে এমনভাবে রাখতে হবে যেনো এই তিনটিকে লাইন টেনে জুড়লে একটা ত্রিভুজের আকার নেয়। কিচেন কাউন্টার ন্যূনতম ২২ ইঞ্চি চওড়া আর ৩৩ ইঞ্চি উচ্চতার হতে হবে। ছোট রান্নাঘর হাল্কা রঙের হলে ভাল, বিশেষকরে কাউন্টারের ওপরের দিক। জানালায় চিমনী না লাগালেই ভাল। ফ্রেশএয়ার ফ্যান জানালার বিপরীত দিকে হলে ভাল। কিন্তু এই ভুলটা অধিকাংশ ডেভলপাররা করে থাকেন। রান্নাঘরের সাইজ অনুযায়ী চিমনী লাগানো উচিত। একটা ৬০ স্কয়ারফুট কিচেনে ২০০০-৩০০০ (আরপিএম) সাকশন চিমনী হলেই চলে। রান্নাঘরে ফলস্ সিলিং করলে বেশি জমকালো হয়। তাই না করাই ভাল।

আবাসন: উদ্যোগকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেক্টরটা অনেক বড়। এখানে অনেক সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে। আমি একজন ছোট উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে আসছি। আমি কাজের কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি। উদ্যোগটি শুরু থেকে এ পর্যন্ত যাদের সার্ভিস দিয়েছি তাদের সেরা মানের সার্ভিসটিই দিয়েছি। অসংখ্য ক্রেতা বার বার এসে সার্ভিস নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত আসছেন। সাথে আনছেন নতুন ক্রেতাদের। এভাবে কিচেন টাচ জায়গা করে নিয়েছে হাজারো ক্রেতাদের হৃদয়ে। আমি চাই এভাবেই ধীরে ধীরে ক্রেতাদের রুচি, পছন্দ ও চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। কিচেন টাচের এক্সেসরিজ শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে গেছে। পরিকল্পনা আছে দেশের ৬৪টি জেলায় কিচেন টাচের এক্সেসরিজকে পৌঁছে দিতে।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Advertisement
আবাসন সংবাদ3 weeks ago

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান...

নির্বাচিত প্রতিবেদন4 weeks ago

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর...

অর্থ ও বাণিজ্য4 weeks ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭...

আবাসন সংবাদ4 weeks ago

আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাকুরির গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মোটা...

আইন-কানুন4 weeks ago

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া...

Advertisement

সর্বাধিক পঠিত