দেশের দ্রুত বর্ধনশীল রিয়েল এস্টেট কোম্পানি প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রিমিয়াম ডে শিরোনামে ৪ দিন ব্যাপী একক আবাসন মেলা শুরু হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান কর্পোরেট অফিসে কেক কেটে প্রিমিয়াম ডে শীর্ষক ৪ দিন ব্যাপী একক আবাসন মেলার উদ্বোধন করা হয়। একক একক আবাসন মেলাটি চলবে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুল হুদা প্রিমিয়াম ডের উদ্বোধন করেন। প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তরুণ উদ্যোক্তা রওশন আল মাহমুদ সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নাজনীন আক্তার, উপদেষ্টা মো. নুরুল ইসলাম, বিজনেস ডেলেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান রেজাউল করিম, চীফ অপারেশন অফিসার মো. আশরাফুল আলম প্রমূখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও সহাস্রাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
মধ্যবিত্তদের জন্য পরিকল্পিত ও নিরাপদ আবাসন গড়ে তোলার প্রত্যয়ে প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটির বর্ষপূর্তিতে এই ‘প্রিমিয়াম ডে’ আয়োজন করে আসছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তরুণ উদ্যোক্তা রওশন আল মাহমুদ বলেন, প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রতিবছর সেপ্টম্বর প্রিমিয়াম ডে পালন করি আমরা। ক্রেতারা অংশগ্রহণ করে নিজেদের স্বপ্নের আবাসন খুঁজে নিতে পারবেন। এছাড়াও মেলায় বুকিং দিলেই আকর্ষনীয় ডিসকাউন্ট পাবেন।
তিনি আরও বলেন, মধ্যবিত্তদের অনেকেই স্বপ্ন দেখেন ঢাকায় একটা বাড়ি করার। অনেকের মনে ইচ্ছে থাকলেও কিন্তু সাধ্য থাকে না। আবার কেউ কেউ স্বপ্ন বাস্তবায়নে উদ্যোগও নেন। কিন্তু নানা কারণে সে স্বপ্ন পূরণ হয় না। যারা মন থেকে ঢাকায় দুই বা তিন কাঠা জমি কিনে বাড়ি করার পরিকল্পনা করছেন তাদের হৃদয়ে লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড।
উল্লেখ্য, গুলশানের প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড (কর্পোরেট অফিস), গুলশান গ্রেস, হাউজ নং-০৮, রোড- সাউথ এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড এর প্রকল্পগুলো
ঢাকায় আমাদের কোম্পানির তিনটি প্রকল্প রয়েছে। একটা ‘পূর্বাচল প্রিমিয়াম টাউন’, ‘পূর্বাচল প্রিমিয়াম গার্ডেন’ ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’। প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রকল্পগুলো ১০০% প্রাকৃতিকভাবে বাড়ি করার উপযোগী। আর এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম পরিকল্পিত নগরী রাজউক পূর্বাচলের কাছে।
কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই তিনটি প্রকল্পের মধ্যে ঢাকার মধ্যেই রয়েছে ‘প্রিমিয়াম টাউন’ প্রকল্পটি। এটি রাজউক প্রকল্পের পাশেই। পূর্বাচল সেক্টর সংলগ্ন প্রকল্প। ঠিক যেনো পূর্বাচল বর্ধিতাংশ। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্যাটেলাইট মেগা সিটি, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এক্সপ্রেসওয়ে রোড, সর্বোচ্চ টাওয়ার ১১১ তলা বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ার, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সর্বাধুনিক মেট্রোরেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্থায়ী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ, আন্তর্জাতিক মানের গলফ সেন্টার, ইকো-পার্ক ও ডিপ্লোমেটিক জোন। প্রকল্পের চারদিকে সরকারি রাস্তা সম্বলিত একমাত্র প্রকল্প। ওই এলাকায় সকল সুযোগ-সুবিধাসহ নাগরিক বসবাস করছে।
রওশন আল মাহমুদ আরও বলেন, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে থেকে ২ মিনিটের দূরত্বে ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’ প্রকল্পের অবস্থান। এটি খুবই মানসম্মত একটি প্রকল্প। চমৎকার লোকেশন, মনোরম পরিবেশ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২১টি জেলাকে যুক্ত করে নতুন যুগের সূচনা করেছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে এই অঞ্চলকে করেছে সমৃদ্ধশালী। এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে বসবাসের উপযোগী বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত প্লট পাওয়া যাচ্ছে ৩, ৫ ও ১০ কাঠা পরিমাণে।
‘প্রিমিয়াম টাউন’ প্রকল্পটিতে ১০% ডাউন পেমেন্ট দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে বসবাসের উপযোগী জমি পাওয়া যাচ্ছে। এখানে কাঠা প্রতি মাসিক ৬০০০ টাকা দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতেও জমি কেনার সুযোগ রয়েছে। বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত প্লট পাওয়া যাচ্ছে ৩, ৫ ও ১০ কাঠা পরিমাণে। নিষ্কন্টক জমি, এককালীন স্বল্প দামে নিজ নামে জমির সাফ-কবলা দলিলসহ রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার রয়েছে উন্নত ও মানসম্মত ব্যবস্থা।
‘প্রিমিয়াম টাউন’ প্রকল্পটিতে রয়েছে কোম্পানির নিজস্ব পরিবহন সেবায় সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রকল্প পরিদর্শনের সুবিধা। অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় দামও হাতের নাগালে। দুই দশকে ঢাকায় জমির দাম বেড়েছে ২৭ গুণেরও বেশি। তাই যারা ঢাকায় জমি কিনে স্বপ্নের বাড়ি করার কথা ভাবছেন তারা আর দেরি না করে, যত দ্রুত সম্ভব ‘পূর্বাচল প্রিমিয়াম টাউন’, ‘পূর্বাচল প্রিমিয়াম গার্ডেন’ ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’ প্রকল্পে প্লট বুকিং দিয়ে আপনি এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হতে পারেন উন্নত আধুনিক শহরের অংশীদার।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে থেকে ২ মিনিটের দূরত্বে প্রিমিয়াম ভ্যালি প্রকল্পের অবস্থান। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আধুনিকভাবে জীবনযাপনের জন্য রয়েছে সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। চারদিকে রয়েছে মানুষের বসবাস। রয়েছে উন্নত ও অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রকল্পের উভয়দিকে রয়েছে সরকারি প্রশস্ত রাস্তা। আরও রয়েছে ৪ লেন বিশিষ্ট ৩০০ ফুট ঢাকা মাওয়া রোড, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পস, প্রস্তাবিত মালিবাগ বিলামল ফ্লাইওভার, রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প, ৪০ কি. মি. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, অলিম্পিক সিটি, অত্যাধুনিক রেলওয়ে জাংশন, ডিওএইচএস, ঢাকা-কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু কনভেনশন হল ২ সহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।