নির্বাচিত প্রতিবেদন
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে

আমরা কমবেশি অনেকেই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এর কথা শুনেছি। হয়তো অনেকেই অনেক কিছু ভাবতে পারেন। কিন্তু আসলে রিয়েল এস্টেট বিষয়টা কি?
যদি আমরা শব্দ দুটিকে আলাদা আলাদা বিবেচনা করি; তাহলে রিয়েল বলতে আসল বা দৃশ্যমান এবং এস্টেট বলতে ধন বা ভূসম্পত্তি কে বুঝায়। আর রিয়েল এস্টেট বলতে সাধারণত দৃশ্যমান স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ কে বুঝায়। যারা রিয়েল এস্টেটের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের কাজ সমাধান করার মাধ্যমে অর্থোপার্জন করেন, তাদের সে কাজটি কে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বলে।
আমাদের জানার বিষয় হলো, কিভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়? – এ সম্পর্কে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন, এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাকঃ
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা কি?
যারা ব্যবসা সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না, তারা যেন একটা ক্লিয়ার ধারণা পান, সে লক্ষ্যেই আজকের এই আর্টিকেলটি। বিষয়টি ভালভাবে বুঝার জন্য প্রথমে আপনাকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সংজ্ঞাটা জেনে নিতে হবে।
দৃশ্যমান কোনো স্থাবর অথবা অস্থাবর ধন-সম্পদ অথবা ভূসম্পত্তি কে বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ এর মাধ্যমে উন্নয়ন সাধন করে ব্যাবসায়িক লাভ অর্জনের প্রচেষ্টা চালানো কে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বলে।
উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে ডেভলপার কোম্পানী এদের কথা বলা যেতে পারে। একটি ডেভলপার কোম্পানী কোন মালিকের ভূ-সম্পত্তি কে উন্নয়ন সাধন অথবা বাড়ি নির্মাণ করার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে থাকে। আর তাদের এ কাজটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, নির্দিষ্ট মালিকানাধীন সকল বাস্তব সম্পদই রিয়েল এস্টেট। এ জাতীয় সম্পদ কেনা, বেচা, ভাড়া দেওয়ার পেশাকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বলে।
কেন করবেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসা?
বিভিন্ন কারণে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে পারেন। তারমধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই ব্যবসা দুই, তিন পাচ গুণ বা তারও বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ থাকে, যা খুব কম ব্যবসাতেই হয়ে থাকে।
এছাড়াও আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অনেকটা ঝামেলামুক্ত ভাবেই এ ব্যবসাটি করার মাধ্যমে কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হতে পারেন।
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা তে সাধারণত জমির দেখাশোনা, কাগজপত্র যাচাই বিল্ডিং কন্সট্রাকশন বা নির্মাণ কাজ পরিচালনা-এ জাতীয় কাজগুলো ব্যবসায়ীদের করতে হয়। তবে যারা অভিজ্ঞ তাদের জন্য এ কাজটি নিঃসন্দেহে বড় অংকের লাভবান হওয়ার জন্য দারুন একটি প্ল্যাটফর্ম। তাই এসব সুবিধা বিবেচনা করে আপনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করতে পারেন।
কিভাবে শুরু ও পরিচালনা করবেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসা?
এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রধানত ২টি জিনিস অবশ্যই প্রয়োজন। তা হলো – ১। অভিজ্ঞতা এবং ২। বড় অঙ্কের মূলধন। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় থাকতে হয়। তবে অভিজ্ঞতা ও বড় অঙ্কের মূলধন না থাকলে এটি করে বড় প্রফিট অর্জন সম্ভব নয়।
অভিজ্ঞতা হলো এই সেক্টরে করার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ধরুন, আপনার কাছে যথেষ্ট মূলধন আছে বিনিয়োগ করার জনরয। কিন্তু এই সেক্টর বিষয়ক কাজ সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধারণাই না থাকে, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে আপনি এ ব্যবসার জন্য একদমই উপযুক্ত নন।
উদাহরণস্বরুপ, আপনাকে ডেভলপার কোস্পানী কর্তৃক পরিচালিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এর কথা বলছি। এই ব্যবসার জন্য আপনাকে জমিজমা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানতে হবে। যেমন, কি বিষয়ে কাজ করতে হবে, কিভাবে জমিজমা যাচাই করতে হবে, সিএস পর্চা, আরএস পর্চা, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর প্রভৃতি বিষয়ে জানা থাকতে হবে।
যারা সফল হয়েছেন রিযেল এস্টেট ব্যবসা করে; তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয় জানতে হবে। উত্তম হয় যদি তাদের অধীনে চাকরি করা যায়। তাহলে কয়েক মাসেই পর্যাপ্ত পরিমাণে এ ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা পাবেন ইনশা আল্লাহ্।
চাকরির পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্বস্ত মাধ্যম থেকেও খুটিনাটি বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হবে। যত বেশি অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান লাভ করতে পারবেন, তত বেশি সফলতার সুযোগ পাবেন ইনশা আল্লাহ্।
এর পরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মূলধন। ডেভলপার কোম্পানির হয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার জন্য বড় অঙ্কের মূলধন দরকার। কম মূলধনে এ ব্যবসা করা যায় না।এজন্য আপনার যদি কমপক্ষে ৩০ লক্ষ টাকা বা তদূর্ধ্ব মূলধন থাকে, তাহলে আপনি এ ব্যবসাতে নামতে পারেন।
এছাড়াও ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স, জমির দলিলসহ প্রভৃতি বিষয় আপনাকে বুঝতে হবে।
মনে রাখবেন, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া এই ব্যবসা করা বৈধ নয়। তাই এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার পর ব্যবসায় শুরু করতে হবে আপনাকে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে রিয়েল এস্টে ব্যবসা শুরু করার জন্য নিম্নলিখিত কাজগুলো আপনাকে করতে হবে।
# পরিকল্পনা গ্রহণ করা
# অভিজ্ঞতা অর্জন করা
# রিয়েল এস্টেটের সাথে জড়িত খুটিনাটি বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা
# মূলধন একত্রীকরণ ও তা হাতে রাখা
# অংশীদারি রিয়েল এসরটে ব্যবসার জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়া
# মৌখিক চুক্তির সাথে অবশ্যই ডকুমেন্টস ভিত্তিক চুক্তি করে নেয়া
# ছোট প্রজেক্ট ও কম বিনিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করা।
যদি উপরোক্ত পয়েন্টগুলো সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে চাই, তাহলে বলবো যে, প্রথমে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করজর জন্য সিরিয়াস হোন এবং দৃঢ়ভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। এরপর অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ছুটে চলুন।
এক্ষেত্রে কোন বিল্ডার্স কোম্পানি তে চাকরি করা অথবা পর্যবেক্ষণ করা একটি ভাল উপায়। চাকরি করা সম্ভব না হলেও সরেজমিনে থেকে কাজ শিখে নিতে পারেন।
এর পরবর্তী ধাপে জায়গা জমি-জমা এবং দলিল বা বিভিন্ন ডকুমেন্টস রিলেটেড সূক্ষ্ম জ্ঞানার্জন করুন। তারপর আপনার মূরধন একত্র করে তা হাতের কাছে রাখুন, যাতে বিনিয়োগ করা সম্ভব হয়।
যদি ব্যক্তি মালিকানায় ব্যবসা করতে চান তাহলে তো একাই যথেষ্ট ব্যবসা শুরু করার জন্য। কিন্তু কয়েকজন মিলে যদি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর আগেই স্ট্যাম্পসহ চুক্তিপত্র করে নিবেন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যবসার জন্য প্রথম প্রজেক্টটি তে তুলনামূলক একটু কম বিনিয়োগ করার চেষ্টা করবেন প্রথমেই এখুব বড় ইনভেস্ট করা থেকে বিরত থাকবেন। সমস্ত মূলধন একবারে বিনিয়োগ করা যাবে না; বরং কিছু মূলধন যেন বিনিয়োগের পর হাতে থাকে, সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে।
উপরোক্ত ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এগুলো হলো প্রাথমিক ধারণা। আরও বিস্তারিত জানতে গুগল ও ইউটিউব সার্চ করতে পারেন এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন বই পড়তে পারেন, যাতে স্বচ্ছ ধারণা পান।
এই ব্যবসাটি পরিচালনার জন্য নিজের ব্যবসায়ীক লাভের ক্ষেত্রটি পূর্বে বুঝে নেয়া জরুরি। জমির দাম নির্ধারন, প্রোপার্টির দাম নির্ধারণ বা রিয়েল এস্টেট মূল্যায়ন – কোন বিষয়টি থেকে আপনি লাভবান হতে চান – তা বিবেচনার বিষয়।
উপরে আমরা রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এর মাত্র একটি ব্যবসায়ীক দিক নিয়ে জেনেছি। কিন্তু রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বিভিন্নভাবে হতে পারে। শুধুমাত্র কোন জমি বৈধ কি না তা যাচাই করে তার সামান্য কিছু উন্নয়ন সাধন করে ক্রেতার নিকট বিক্রয় করানোর মাধ্যমেও ব্যবসা করা যায়।
তাই যে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে লাভ করতে চান, সে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে করার মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। যদি কোন জমির শুধু ভূমি উন্নয়ন করাটাই আপনার মিশন থাকে, তাহলে ভূমি উন্নয়ন করার যাবতীয় কাজ পরিচালনা করাটাই হলো আপনার কর্ম পরিচালনার ক্ষেত্র।
কতিপয় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার ক্ষেত্র
বড় অঙ্কের লাভ করা যায়-আমরা অনেকেই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বলতে এমনটাই বুঝে থাকি। কিন্তু আসল বিষয়টা এমন নয়।
তবে হ্যা, বড় অঙ্কের লাভবান হতে হলে এক্সপেরিয়েন্স জরুরি হলেও এমনও রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এর ক্ষেত্র রয়েছে, যেটায় এক্সপেরিয়েন্স বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই এ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়া সম্ভব।
আপনার সুবিধার্থে সব মিলিয়ে কিছু রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বিষয়ক ক্ষেত্র নীচে উল্লেখ করছি।
১। সেলিং
২। আর্কিটেকচার
৩। ব্লগিং
৪। রিপেয়ারিং
৫। রিয়েল এস্টেট এজেন্সী
৬। স্টাইলিং
৭। অনলাইন মার্কেটিং
মোটকথা, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা হলো একটি বৃহৎ ধারণার বিষয়, যেখানে প্রত্যেকটা কাজের ব্যাপারেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি।
কেননা, সামান্য কোন ভুলের কারণে প্রজেক্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু সঠিক প্রক্রিয়ায় করতে পারলে বিশাল মুনাফা লাভের সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই আপনি যদি রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞ হন এবং বড় মূলধন বিনিয়োগের পাশাপাশি আর্থিক ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
আবাসন সংবাদ
রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা প্রদান বিষয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা সম্বলিত সুপরিকল্পিত বিশ্বমানের আধুনিক ভবন নির্মাণে রিহ্যাব সদস্যবৃন্দ বদ্ধপরিকর। এ জন্য সিডিএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগীতা কামনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের পরিচালক ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, নূর উদ্দীন আহাম্মদ, শারিস্থ বিনতে নূর, মোঃ মাঈনুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিয়নের সিডিএ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার এস. এম আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল সদস্যবৃন্দ এবং রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রকৌশলী ও স্থপতিবৃন্দ।
নির্বাচিত প্রতিবেদন
আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর রাজনৈতিক অস্থিরতা বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে নির্বাচনের পর আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমরা আশা করছি। কারণ তখন বড় অঙ্কের বিনিয়োগে মানুষের মনে দ্বিধা বা ঝুঁকি থাকবে না।
এই পরিস্থিতিতে আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আরবান ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার শেখ কামরুজ্জামান।
ডেভেলপারদের বর্তমান পরিস্থিতি : বর্তমানে বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডেভেলপাররা কিছুটা চাপের মধ্যে আছেন। পুঁজি ব্যবস্থাপনা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ-মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে না। পাশাপাশি, সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ইতিবাচক প্রণোদনা নেই। কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগও কমে এসেছে। এছাড়া ব্যাংকিং সেক্টরে তারল্য সংকট ব্যাংকগুলো আবাসন খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ পাচ্ছে না। এর ফলে ডেভেলপাররা মূলধন ব্যবস্থাপনার গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। রাজউকের কর্মকর্তাদের ভালো উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও সফটওয়্যারের ত্রুটি আবাসন খাতে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। এর ফলে দৈনন্দিন কাজে বিলম্ব হচ্ছে। যা পুরো খাতের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করছে।
নির্মাণ সামগ্রী উপকরণের দামের অস্থিরতা আবাসন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
নতুন ড্যাপ : প্রস্তাবিত নতুন ড্যাপ (DAP) পাস হলে উন্নয়নের ক্ষেত্র বাড়বে। আগের ড্যাপ ডেভেলপার বা ক্রেতা কারোর জন্যই সুবিধাজনক ছিল না। নতুন ড্যাপ খুব সম্ভাবনাময়।
ফ্ল্যাট বিক্রির গতি : বর্তমানে ফ্ল্যাট বিক্রি কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। অনেক ক্রেতা আশা করছেন ফ্ল্যাটের দাম আরও কমবে। আগামী তিন-চার মাসের আগে মন্দা কাটবে কিনা তা বলা কঠিন। তবে জাতীয় নির্বাচনের পর আবাসন খাত আবার স্বাভাবিক গতিতে ফিরবে বলে আমরা আশাবাদী।
রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব : রাজনৈতিক অস্থিরতায় সবাই শঙ্কিত থাকে। এর ফলে ব্যাংক ঋণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, যা আবাসন খাতকেও প্রভাবিত করে। সাধারণত, যখন মানুষ অন্য দেশে অভিবাসী হয়, তখন তারা তাদের কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়, যা সেকেন্ডারি বাজারের বিকাশের জন্য ইতিবাচক। আমরা মনে করি না যে এটি আবাসন খাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি অর্থনীতির একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
রেজিস্ট্রেশন ফি’র প্রভাব : ফ্ল্যাট বিক্রির ওপর রেজিস্ট্রেশন ফি কমা বা বৃদ্ধি সাধারণত খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব থাকলেও ফ্ল্যাট কেনা বা বিক্রির প্রধান নিয়ামক নয়। তবে আমাদের দেশে রেজিস্ট্রেশন খরচ অন্য দেশের তুলনায় বেশি, যা আবাসন খাতের উন্নয়নের জন্য সহায়ক নয়। সরকার বড় আকারের অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দিলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশের এলাকায় আবাসন খাতের প্রসার ঘটবে।
আবাসন খাতকে উদ্যমপূর্ণ করার জন্য ব্যাংকিং খাতের ভূমিকা : ব্যাংকের জন্য আবাসন খাত সাধারণত ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে থাকে। তারা অন্যসব খাতে ঋণ দিতে বেশি আগ্রহী, যদিও আবাসন একটি নিরাপদ বিনিয়োগ এবং এখানে আসল সম্পত্তি জামানত হিসাবে থাকে। ব্যাংকগুলোর কাছে দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের অভাব রয়েছে। এ কারণে তাদের সম্পদ-দায় ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়।
যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন : আবাসন খাতের উন্নয়নে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ডেভেলপারদের কাছে জমি সরবরাহ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ডেভেলপার বাছাইয়ে সতর্ক থাকতে হবে। রাজউকের নকশা অনুমোদন ও অন্য সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ করা যেতে পারে।
-
বিবিধ2 years ago
বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
সীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
রাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
মাত্র ২৪ ঘন্টায় খতিয়ানের ভূল সংশোধনের সরকারি নির্দেশনা
-
ফিচার4 weeks ago
প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল
-
আইন-কানুন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
প্রিমিয়াম হোল্ডিংয়ের বর্ষপূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী একক আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
ডম-ইনো এফেক্ট: ফ্ল্যাট ক্রেতারা প্রতারিত, প্রকল্পগুলো পরিত্যক্ত