শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হিসেবে কাজী মনিরুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব গ্রহণের আগে তিনি আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ইনভেস্টমেন্ট এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বুধবার (২৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাজী মনিরুল ইসলাম আর্থিক এবং বিনিয়োগ খাতে তার ১৫ বছরের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার শুরু করেন এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স লিমিটেডে একজন অ্যানালিস্ট হিসেবে। ২০১৪ সালে তিনি আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে যোগ দেন, যেখানে তিনি পর্যায়ক্রমে গবেষণা প্রধান ও ইনভেস্টমেন্ট এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মকালে তিনি প্রোপাইটারি ইনভেস্টমেন্ট, ইকুইটি রিসার্চ, মার্জিন লোন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমুখী ভূমিকা রেখেছেন।
কর্পোরেট সাফল্যের বাইরেও ২০২৩ সাল থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) একজন অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সিইও পুঁজিবাজারে ভবিষ্যৎ নেতাদের বিকাশের লক্ষ্যে নিবেদিত একজন শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস (বিএএসএম) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে একজন প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কাজী মনিরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্সে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন। তিনি ২০১৪ সালে ভারজিনিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের সিএফএ ইনস্টিটিউট থেকে সিএফএ চার্টার এবং ২০২৩ সালে নিউ ইয়র্কের সিএমটি অ্যাসোসিয়েশন থেকে সিএমটি চার্টার অর্জন করেন।
তার যোগদান প্রসঙ্গে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান বলেন, মনিরুলকে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও হিসেবে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তার সুদূরপ্রসারী অভিজ্ঞতা, পুঁজিবাজারের গভীর জ্ঞান এবং আর্থিক শিক্ষা প্রসারের উদ্যম তাকে একজন বলিষ্ঠ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমি মনে করি। আমার বিশ্বাস, তার অধীনে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিনিয়োগকারীদের আস্থার শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
এদিকে, কাজী মনিরুল ইসলাম তার নিয়োগপ্রাপ্তি নিয়ে বলেন, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের মতো স্বচ্ছ ও স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। প্রতিষ্ঠানটির তরুণ, সম্ভাবনাময় দলের সাথে একজোট হয়ে দেশের মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন এক মাত্রা যোগ করা হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। এক্ষেত্রে আমাদের গ্রাহক কেন্দ্রিক বিজনেস স্ট্র্যাটেজি, সুশাসন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এবং আর্থিক সাক্ষরতার উদ্যোগগুলো আমাদের সহায় হবে বলে আমি মনে করি।