২০৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে; আয়োজক মূলত তিন দেশ। যদিও সব মিলিয়ে ছয়টি দেশের মাঠে গড়াবে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর। যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপের মূল আয়োজক থাকবে মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল। বিশ্বকাপ উপলক্ষে এরই মধ্যে হোটেল কক্ষের পরিমাণ দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে আফ্রিকার দেশ মরক্কো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফিফা বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২ কোটি ৬০ লাখ দর্শককে আতিথেয়তা দিতে এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আয়োজক দেশটি। বিশ্বকাপের আগে দুবাইয়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি মাল্টি বিলিয়ন ডলারের সুযোগ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে অবকাঠামো, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা এবং পর্যটন উন্নয়নসহ এ সম্পর্কিত খাতগুলোয় ৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসবে দেশটিতে। এ বিনিয়োগ যথাযথ কার্যকর করতে দুবাইয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চায় উত্তর আফ্রিকার দেশটি।
গত সপ্তাহে জেনারেল কনফেডারেশন অব মরোক্কান এন্টারপ্রাইজেসের (সিজিইএম) ক্যাসাব্লাঙ্কা সদর দপ্তরে অ্যারাবিয়ান বিজনেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিজিইএমের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউএই-মরক্কো বিজনেস কাউন্সিলের নতুন প্রধান আনাস গুয়েনউন বলেন, ‘শুধু বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমাদের কাছে ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আছে। অভিজ্ঞ অংশীদার ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’
বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্ট আয়োজনে দুবাইয়ের সহায়তা চান তিনি। গুয়েনউন বলেছেন, ‘বিশ্বমানের আতিথেয়তা, রিয়েল এস্টেট ও অবকাঠামো প্রকল্পগুলো সফল করার ক্ষেত্রে দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে দুবাইয়ের।’ তিনি বলেন, ‘কাসাব্লাঙ্কার কাছে বেন স্লিমানে অঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম নির্মাণের যে লক্ষ্য মরক্কো নিয়েছে তা বাস্তবায়নে আদর্শ অংশীদার হতে পারে দুবাই।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যখন অংশীদারদের কথা ভাবেন, বিশেষ করে যখন মরক্কোর কথা আসে, তখন শীর্ষ অংশীদার দেশ হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আমাদের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারকটি প্রমাণ করে, আমাদের দুই দেশের মধ্যে এ বড় অংশীদারত্বে বেসরকারি খাত সম্পূর্ণভাবে জড়িত হবে।’
গত সপ্তাহে মরোক্কয় দুবাই চেম্বার্স বাণিজ্য মিশনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পর্যটন বা আতিথেয়তা অবকাঠামোর মতো খাতজুড়ে উভয় বাজারের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মধ্যে সহযোগিতার সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ মরোক্কান সংস্থাগুলোর সঙ্গে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
গুয়েনউন বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে আমরা পর্যটকদের সংখ্যা দ্বিগুণ করে ২৫-২৬ মিলিয়নে উন্নীত করতে চাই। এক্ষেত্রে দুবাই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, কারণ তারা স্টার্টআপ, ডিজিটাল অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।’ সূত্র: অ্যারাবিয়ান বিজনেস।