বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সাম্প্রতিক বছরে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই পাল্টে গেছে। এর বদলে আজকাল নবায়নযোগ্য ও সবুজ জ্বালানি বেশ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সড়ক পরিবহনের পর সে পথেই হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে চলাচলকারী ফেরি পরিষেবা।
১৯ জুলাই থেকে এ জলপথে নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলাচল করবে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের ক্যাটামারান এমভি সি চেঞ্জ। হাইড্রোজেন ফুয়েলচালিত এ ফেরিতে সর্বোচ্চ ৭৫ যাত্রী উঠতে পারবেন। পাইলট প্রকল্প হিসেবে আগামী ছয় মাস যাত্রীরা বিনামূল্যে এ পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়া ওয়াটার ইমার্জেন্সি ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটির প্রধান জিম ওয়ান্ডারম্যান বলেন, ‘পাইলট প্রকল্প সফল হলে আমাদের বহরে হাইড্রোজেনচালিত আরো ফেরি যোগ হবে।’
সেই সঙ্গে আশা করেন এ ধরনের যান যুক্তরাষ্ট্র ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। একবার জ্বালানি নিয়ে সি চেঞ্জ প্রায় ৩০০ নটিক্যাল মাইল ভ্রমণ ও ১৬ ঘণ্টা সচল থাকতে পারে। বৈদ্যুতিক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনকে একত্রিত করে তৈরি হবে জলযানটির ফুয়েল সেল। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর উপজাত হিসেবে পাওয়া যাবে পানি। সড়ক ও আকাশপথ থেকে তুলনামূলক কম হলেও বৈশ্বিক গ্রিনহাউজ গ্যাসে জাহাজ শিল্পের অবদান প্রায় ৩ শতাংশ। নতুন প্রযুক্তিটি এ শিল্পের সে হিস্যা কমাতে সাহায্য করবে।
ফুয়েল সেল অ্যান্ড হাইড্রোজেন এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ফ্রাংক ওলাকের মতে, হাইড্রোজেনচালিত ফেরি খুবই অর্থবহ। আশা করছেন ভবিষ্যতে কনটেইনারবাহী জাহাজেও এ ধরনের জ্বালানি ব্যবহার হবে। অর্থায়নের পাশাপাশি সি চেঞ্জ প্রকল্প পরিচালনা করছে বিনিয়োগ সংস্থা সুইচ মেরিটাইম। জাহাজটি তৈরি হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার আলামেডার বে শিপ অ্যান্ড ইয়ট ও ওয়াশিংটনের বেলিংহামে অল-আমেরিকান মেরিনে। সূত্র: এপি