Connect with us
<

আইন-কানুন

রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দের নতুন বিধিমালায় গুরুত্ব পেল যেসব বিষয়

রাজউকের প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দের নতুন বিধিমালায় গুরুত্ব পেল যেসব বিষয়

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভূমি, প্লট, স্পেস ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়ে নতুন বিধিমালা করা হয়েছে। গত ২৫ এপ্রিল ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ভূমি, প্লট, স্পেস ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ) বিধিমালা, ২০২৪’ জারি করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

এর আগে এ বিষয়ে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ল্যান্ড অ্যালোটমেন্ট) রুলস, ১৯৬৯’ ছিল। যেটি বাতিল করে নতুন বিধিমালা জারি করা হয়েছে।

বিধিমালায় রাজউকের ভূমি বা আবাসিক প্লট, বাণিজ্যিক প্লট, বাণিজ্যিক স্পেস, শিল্প প্লট, প্রাতিষ্ঠানিক প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাজউক পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা বা উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত কোনো প্রকল্পের ভূমি বা কোনো আবাসন প্রকল্পের অনুমোদিত লে-আউট প্ল্যানে চিহ্নিত ভূমি বা আবাসিক প্লট বরাদ্দ দিতে পারবে। প্লট বরাদ্দ দিতে জনসাধারণের কাছে আবেদন আহ্বান করে কমপক্ষে দুটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

ভূমি বা আবাসিক প্লটের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক এবং বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে।

Advertisement

কোনো ব্যক্তি ভূমি বা আবাসিক প্লট বরাদ্দ পাওয়ার আবেদন করার অযোগ্য হবে না, যদি তিনি নিজ নামে বা তার স্ত্রী বা স্বামীর নামে ইতোপূর্বে কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমি বা আবাসিক প্লট বরাদ্দ পেয়ে থাকেন। মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে কোনো আবেদন দাখিল করলে আবেদন বাতিল করতে হবে এবং তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ভূমি বা আবাসিক প্লট অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করার পর যদি প্রমাণিত হয় যে, বরাদ্দ গ্রহীতা মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে প্লটের বরাদ্দ নিয়েছেন, তবে ওই বরাদ্দ ও হস্তান্তর বাতিল করতে হবে। এক্ষেত্রে মূল বরাদ্দ গ্রহীতা হস্তান্তর গ্রহীতাকে দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দিবে।

প্লটের ধরন ও আকারভেদে ভূমি বা আবাসিক প্লটের সংখ্যা যোগ্য আবেদনকারীর তুলনায় কম হলে উন্মুক্ত লটারি ও তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে বরাদ্দ দিতে হবে।

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি, সংসদ-সদস্য, বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী, সরকারি কর্মচারি, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী (নিবাসী), সাংবাদিক, স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, বেসরকারি চাকরিজীবী ও শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, আইনজীবী, আইন ও আইনগত দলিলাদি নিরীক্ষা কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারী, কৃষিবিদ, প্রকৌশলী, স্থপতি, পরিকল্পনাবিদ, চিকিৎসক, মূল অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আবাসিক প্লট সংরক্ষণ করা যাবে বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের আওতাধীন যে কোনো প্রকল্পের আবাসিক প্লটে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের জন্য ২ শতাংশ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার কর্মচারীদের জন্য ২ শতাংশ এবং কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের জন্য ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা যাবে।

Advertisement

বিধিমালা অনুযায়ী, রাজউক জনস্বার্থে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে আবাসিক প্লট বরাদ্দ দিতে পারবে- মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তি; সংসদ-সদস্য; বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ পরিবারের সরাসরি সদস্য এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে বা কর্তৃপক্ষের আইন প্রণয়নবিষয়ক কাজে উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রেখেছেন এমন সরকারি কর্মচারী বা এমন কোনো পেশাজীবী যিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত না থেকেও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনসেবা বা জনকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বা করেছেন বা এমন কোনো ব্যক্তি যিনি জনগণ বা রাষ্ট্রের কল্যাণে বিশেষ অবদান রেখেছেন বা নিবেদিত প্রাণ কোনো সমাজকর্মী বা সমাজসেবক।

কোনো বরাদ্দ গ্রহীতা সাময়িক বরাদ্দ প্রাপ্তির পর যৌক্তিক কারণ ছাড়া প্রথম কিস্তির অর্থ যথাসময়ে পরিশোধ না করলে আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে বরাদ্দপত্র বাতিল করা যাবে।

ভূমি বা আবাসিক প্লট বরাদ্দ গ্রহীতাকে আবশ্যিকভাবে ইজারা দলিল রেজিস্ট্রেশন করার পর ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ চার বছরের মধ্যে বসবাস উপযোগী করে বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে ব্যর্থ গহলে প্রতি বছর প্রতি কাঠার জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।

বাণিজ্যিক প্লট বা বাণিজ্যিক স্পেস, শিল্প প্লট, প্রাতিষ্ঠানিক প্লট, বরাদের আবেদন, বরাদ্দের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে বিধিমালায়।

ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়ে বিধিমালায় বলা হয়েছে, রাজউক কোনো আবাসিক প্রকল্পে অধিক সংখ্যক জনগণের আবাসন ব্যবস্থা করার জন্য উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যম ও স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য এক বা একাধিক এলাকা বা ব্লক আকারে ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করতে পারবে।

Advertisement

কর্তৃপক্ষের আওতাধীন যে কোনো প্রকল্পে নির্মিত ফ্ল্যাটের মোট সংখ্যার ১০ শতাংশ সরকারি কর্মচারীদের জন্য, ৩ শতাংশ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের মাধ্যমে বরাদ্দের জন্য, ৩ শতাংশ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বরাদ্দের জন্য এবং ২ শতাংশ কর্তৃপক্ষের কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ মূল্য কিস্তিতে পরিশোধের পর অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ মূল্য কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে পরবর্তী ১৫ বছরের কিস্তিতে বা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে পারবে। কর্তৃপক্ষ আবাসিক ফ্ল্যাটের মূল্য নির্ধারণের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবে।

রাজউক নিম্ন-আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় চিহ্নিত এলাকায় বা কর্তৃপক্ষের কোনো আবাসন প্রকল্পের অনুমোদিত লে-আউট প্ল্যানে চিহ্নিত স্থানে ভবন নির্মাণ করে সাশ্রয়ী ভাড়া বা মূল্য পরিশোধের ভিত্তিতে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিতে পারবে বলে বিধিমালায় জানানো হয়েছে।

বিধিমালার বিভিন্ন তফসিলে সংশ্লিষ্ট আবেদন ফরমগুলোর নমুনাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।  সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।

Advertisement

আইন-কানুন

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া আনজুম স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ধরুন, একটি জমি ২০০০ সালে একজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়েছে, যার দলিল নম্বর ১২০০। পরে একই জমি ২০০৫ সালে আরেকজনের কাছে বিক্রি হয়, যার দলিল নম্বর ২০০০। দ্বিতীয় ব্যক্তি সেই জমির নামজারিও করে ফেলেছেন।”

এই পরিস্থিতিতে আইন অনুযায়ী, যিনি আগে জমিটি কিনেছেন অর্থাৎ ২০০০ সালের দলিল যাঁর নামে, তিনিই হবেন জমির প্রকৃত মালিক। যদিও দ্বিতীয় ব্যক্তি নামজারি করে ফেলেছেন, তবুও প্রথম ক্রেতা এসিল্যান্ড অফিসে ‘মিসকেস’-এর মাধ্যমে দ্বিতীয় নামজারিটি বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ব্যারিস্টার তাসমিয়া আরও জানান, “আবেদনের পর কর্তৃপক্ষ উভয় দলিল পর্যবেক্ষণ করবে। যদি দেখা যায় একটি দলিল আগে হয়েছে এবং অপরটি পরে, তাহলে প্রথম দলিলটিই বৈধ হিসেবে গণ্য হবে। ফলে দ্বিতীয় দলিল ও নামজারি উভয়ই বাতিল হয়ে যাবে।”

সুতরাং, একই জমি একাধিকবার বিক্রি হলেও—আইন অনুযায়ী যে ব্যক্তি আগে দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন, তিনিই হবেন জমির বৈধ ও প্রকৃত মালিক।

Advertisement
Continue Reading

আইন-কানুন

দলিলে লেখা এসব শব্দের অর্থ জেনে রাখুন, নাহলে পড়তে পারেন আইনি জটিলতায়

Published

on

By

আবাসন কনটেন্ট কাউন্সিলর

যেকোনো দলিল লিখতে হয় আইনে বলে দেওয়া নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে। বিশেষ করে সাফকবলা, হেবা বা দানপত্র দলিল, বায়না দলিল, আমমোক্তার দলিলসহ অন্যান্য জমিজমাসংক্রান্ত দলিলে ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন ব্যতিক্রমী শব্দ ও সংকেত। এসব শব্দ সচরাচর অন্য কোথাও ব্যবহৃত হয় না। দলিল করার সময় কিংবা দলিল তল্লাশি বা পরীক্ষা করে দেখার সময় এসব শব্দের অর্থ ভালোভাবে না বুঝলে হতে পারে নানা জটিলতা, পড়তে পারেন বিপদে। তাই জেনে নিন, দলিলে ব্যবহৃত কিছু শব্দের আসল অর্থ।

১. গং
অর্থ: অন্যান্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। একজনের নামের সঙ্গে গং থাকলে বোঝায় তাঁর সঙ্গে আরও লোক আছে।

২. খং
অর্থ: খতিয়ান। জমির বিবরণ, দাগ নম্বর, অংশসহ সরকারি জরিপের একটি দলিল। বিভিন্ন দলিলে খতিয়ানের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে খং লেখা হয়।

৩. নিং
অর্থ: নিরক্ষর। যে ব্যক্তি লেখাপড়া জানেন না, তাঁর পক্ষে দলিলে অন্য কেউ স্বাক্ষর দিলে প্রথমে নিরক্ষর ব্যক্তির নামের বাঁ পাশে বা সামনে লেখা হয় নিং।

৪. বং
অর্থ: বাহক। যিনি নিরক্ষর ব্যক্তির নাম লিখে সাক্ষর দেন, তাঁর নামের সামনে লেখা থাকে বং।

Advertisement

৫. সাং
অর্থ: সাকিন বা গ্রাম। বাসস্থানের ঠিকানা অর্থে ব্যবহৃত হয়।

৬. জং
অর্থ: স্বামী। দলিলে কোনো বিবাহিত নারীর স্বামীর নামের সামনে লেখা হয় জং।

৭. মং
অর্থ: মোট। কোনো মোট হিসাব বা পরিমাণের সংক্ষিপ্ত রূপ এটি। অনেক দলিলে ‘মবলক’ শব্দটিও ব্যবহার করা হয় মোট পরিমাণ বোঝাতে।

৮. এওয়াজ
অর্থ: বিনিময়। সমমূল্যের জমি বা সম্পদের বিনিময়কে বলা হয় এওয়াজ।

৯. সিট
অর্থ: মানচিত্রের অংশ।

Advertisement

১০. পিং
অর্থ: পিতা। দলিলে কোনো ব্যক্তির পিতার নামের আগে লেখা হয়।

১১. ইয়াদিকৃত
অর্থ: পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু। শব্দটি লেখা হতো পুরোনো দলিলগুলোতে।

১২. পত্র মিদং
অর্থ: পত্রের মাধ্যমে। চিঠি দিয়ে জানানো বা অবগত করা হয়েছে, এ অর্থে ব্যবহার করা হয়।

১৩. বিং
অর্থ: বিস্তারিত। কোনো কিছু বিস্তারিত বোঝাতে ব্যবহার করা হয় বিং।

১৪. দং
অর্থ: দখলকারী। কোনো জমি যাঁর দখলে আছে, তাঁর নামের পাশে লেখা হয় দং।

Advertisement

১৫. হাল দাগ
অর্থ: বর্তমানে প্রচলিত দাগ নম্বর।

১৬. সাবেক দাগ
অর্থ: পূর্বের বা আগের দাগ নম্বর।

১৭. চালা
অর্থ: একটু উঁচু জমি, যেখানে সহজে চাষবাস করা যায়।

১৮. নাল
অর্থ: যে জমিতে চাষবাস করা যায় বা চাষের উপযুক্ত।

১৯. বাইদ
অর্থ: বৃষ্টির পানি জমে, এমন নিচু ও জলাভূমি প্রকৃতির জমি।

Advertisement

২০. কোর্ফা বা কোরফা
অর্থ: জমির মালিকানা স্বত্ব, যা প্রজা তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা রাজার কাছ থেকে নিয়ে চাষ করেন।

২১. ছাহাম
অর্থ: জমিজমার অংশ বা ভাগ। কোনো জমিতে কে কত অংশ জমি পেলেন বা পাবেন, বিশেষ করে শরিকদের মধ্যে জমিজমার প্রাপ্য অংশ বোঝাতে ব্যবহার করা হয় ছাহাম।

২২. খাসজমি
অর্থ: সরকারি মালিকানাধীন জমি।

২৩. পতিত জমি
অর্থ: যে জমিতে চাষবাস করা হতো, কিন্তু জমির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য সাময়িকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে না।

২৪. চাকরান
অর্থ: জমিদারেরা চাকরদের বেতনের বদলে জমিতে যে ভোগদখলের সুবিধা দিতেন, তাকে বলে চাকরান।

Advertisement

২৫. ছুট বা ছুটা দাগ
অর্থ: জমির নকশায় ভূমির দাগ নম্বর দেওয়ার সময় ভুলে কোনো সংখ্যা বাদ পড়ে গেলে বাদ পড়া নম্বরটি হচ্ছে ছুট বা ছুটা দাগ।

২৬. বাটা
অর্থ: বাটা মানে বিভক্ত। জমির নকশা তৈরির সময় কোনো দাগ বিভক্ত করে বা আলাদা করে নতুন দাগ নম্বর সৃষ্টি করার সময় বিশেষভাবে দাগ তৈরি করা হয়, একেই বলে বাটা দাগ।

২৭. ছড়া বা ছড়ি
অর্থ: পাহাড় বা টিলা থেকে যে জমি সমতলের দিকে ছড়িয়ে পড়েছে, তাকে বলে ছড়া বা ছড়ি।

২৮. নয়নজুলি
অর্থ: কোনো রাস্তা তৈরির সময় দুই দিক থেকে মাটি তোলার ফলে একধরনের নালা তৈরি হয়। সেই নালাকেই বলে নয়নজুলি।

২৯. হালট
অর্থ: জমির পাশ দিয়ে চাষের সুবিধার্থে বলদ কিংবা কৃষকদের চলাচলের জন্য যে পথ রাখা হয়, তাকে বলে হালট।

Advertisement

৩০. সিকস্তি
অর্থ: নদী বা সাগরের জোয়ারে যখন কোনো জমি ভেঙে যায়, তাকে বলে সিকস্তি।

৩১. পয়স্তি
নদী বা সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়া কোনো জমি যখন পুনরায় চরের মতো জেগে ওঠে, তাকে বলে পয়স্তি।

৩২. বিলা
অর্থ: জলাবদ্ধ এলাকা, মৌসুমি জলাভূমি।

৩৩. ডাঙ্গা
অর্থ: চাষের উপযোগী উঁচু জমি।

৩৪. গোপাট
অর্থ: পতিত জমি, যেখানে গবাদিপশু ঘাস খাওয়ার জন্য চষে বেড়ায়।

Advertisement

৩৫. কোলা জমি
অর্থ: বসতবাড়ির সঙ্গে অবস্থিত কোনো নাল বা চাষাবাদের জমিকে বলে কোলা জমি।

৩৬. চিরাগী
অর্থ: মসজিদ বা কবরস্থানে আলো জ্বালানোর জন্য যে খরচ হয়, তা মেটানোর জন্য কোনো দানকৃত ভূমি।

৩৭. পালাম ভূমি
অর্থ: বসতবাড়ির পাশেই অবস্থিত সবজি চাষের জন্য উঁচু জমি।

৩৮. লায়েক জমি
অর্থ: চাষের উপযুক্ত জমি।

৩৯. কস্য
অর্থ: কস্য মানে হলো কার নামে দলিল। মালিকের নামে দলিল হলে কস্য শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

Advertisement

৪০. মৌরশী
অর্থ: পৈত্রিক সম্পত্তি।

৪১. চটান
অর্থ: বাড়ির কাছাকাছি থাকা একটি উঁচু কিন্তু সমতল বা ঢালু এলাকা, যেখানে কোনো চাষবাস হয় না।

৪২. ইজা
অর্থ: চলমান কোনো হিসাবে টেনে আনা।

৪৩. খারাজ
অর্থ: কৃষিকাজে ব্যবহৃত কোনো জমির ওপর ধার্য করা কর।

৪৪. লাখেরাজ
অর্থ: যে জমিতে কোনো কর দিতে হয় না বা করের আওতামুক্ত।

Advertisement

৪৫. তসদিক
অর্থ: কোনো প্রমাণ, দলিল–দস্তাবেজ বা সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করা।

৪৬. জমাবন্দী
অর্থ: ভূমি অফিসে প্রজা বা ক্রেতার নাম, জমির বিবরণ ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করা।

৪৭. আমলনামা
অর্থ: জমিদার কর্তৃক জমির বন্দোবস্ত দেওয়ার নির্দেশপত্র বা দলিল।

৪৮. চান্দিনা
অর্থ: হাটবাজারের জন্য স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়া অকৃষি জমি।

৪৯. হারাহারি
অর্থ: গড়পড়তা, অনুপাত অনুযায়ী ভাগবাঁটোয়ারা বা অনুপাত অনুযায়ী। জমির পরিমাপ বা ভাগাভাগির ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়।

Advertisement

৫০. তৌজি
অর্থ: রাজস্ব রেকর্ড, যা কোনো জমি বা সম্পত্তির রাজস্বের পরিমাণ এবং মালিকের নাম ধারণ করে। এটি মূলত ব্রিটিশ আমলে ভূমি রাজস্ব আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হতো।

৫১. কায়েমি
অর্থ: বিশেষ অধিকার, যা স্থায়ী ও কোনো শর্তের ওপর নির্ভরশীল নয়। অর্থাৎ কায়েমি সত্তা বা অধিকার হলো এমন এক অধিকার, যা সহজে বাতিল করা যায় না।

৫২. খাইখন্দক
অর্থ: জলাশয় বা গর্তযুক্ত ভূমিকে বলা হয় খাইখন্দক।

৫৩. বাস্তু
অর্থ: বসতভিটাকে বলা হয় বাস্তু।

৫৪. রোক
অর্থ: নগদ অর্থ দিয়ে কেনা জমি। রোক মানে নগদ।

Advertisement

৫৫. আসলি
অর্থ: মূল ভূমি বোঝাতে লেখা হয় আসলি।

৫৬. তুদাবন্দী
অর্থ: জমির সীমানা নির্ধারণ করা।

৫৭. দিয়ারা
অর্থ: নদীর পলি দিয়ে গঠিত কোনো চরাঞ্চল বা জমিকে বলে দিয়ারা জমি।

৫৮. কিত্তা
অর্থ: ভূমিখণ্ডকে কিত্তা লেখা হয় অনেক দলিলে।

৫৯. কবুলিয়ত
অর্থ: স্বীকারোক্তি দলিলকে বলা হয় কবুলিয়ত।

Advertisement

৬০. কান্দা
অর্থ: নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা উর্বর কোনো উঁচু জমি।

৬১. কিসমত
অর্থ: ভূমির অংশ বোঝাতে কিসমত লেখা হয়।

৬২. গির্ব
অর্থ: বন্ধক। কোনো জমি বন্ধক নিলে বা বন্ধকি জমি বোঝাতে বলা হয় গির্ব।

৬৩. টেক
অর্থ: নদীর পলি জমে সৃষ্ট ভূমি।

৬৪. দরবস্ত
অর্থ: সবকিছু।

Advertisement

৬৫. দিঘলি
অর্থ: নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানকারী।

৬৬. নক্সা ভাওড়ন বা নকশা ভাওড়ন
অর্থ: আগের জরিপের কোনো মানচিত্রকে বলা হয় নক্সা ভাওড়ন বা নকশা ভাওড়ন।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
আবাসন সংবাদ3 weeks ago

রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান...

নির্বাচিত প্রতিবেদন3 weeks ago

আবাসন খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে

দেশের আবাসন খাতের অবস্থা বিভিন্ন কারণে কিছুটা নাজুক। এ খাতের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির জন্য যে পরিবেশ দরকার, তা অনুপস্থিত। এর ওপর...

অর্থ ও বাণিজ্য3 weeks ago

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭...

আবাসন সংবাদ4 weeks ago

আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও হিসাবরক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

চাকুরির গ্রেড ও বেসিক বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে মোটা...

আইন-কানুন4 weeks ago

একই জমি দুইজনের কাছে বিক্রি: কে হবেন প্রকৃত মালিক?

একটি জমি যদি ভিন্ন সময়ে দুইজন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়, তাহলে প্রকৃত মালিক কে হবেন? এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া...

Advertisement

সর্বাধিক পঠিত