সাক্ষাৎকার
মধ্যবিত্তদের আবাসন চাহিদা মেটাতে কাজ করছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস : রওশন আল মাহমুদ

জীবনের প্রয়োজনে সারা দেশ থেকে চাকরি করার উদ্দেশে যাদুর নগরী ঢাকায় আসে হাজারো মানুষ। এই মধ্যবিত্তদের অনেকেই স্বপ্ন দেখেন ঢাকায় একটা বাড়ি করার। অনেকের মনে ইচ্ছে থাকলেও কিন্তু সাধ্য থাকে না। আবার কেউ কেউ স্বপ্ন বাস্তবায়নে উদ্যোগও নেন। কিন্তু নানা কারণে সে স্বপ্ন পূরণ হয় না। যারা মন থেকে ঢাকায় দুই বা তিন কাঠা জমি কিনে বাড়ি করার পরিকল্পনা করছেন তাদের হৃদয়ে লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড।
সম্প্রতি আবাসন-এর সঙ্গে একান্ত আলাপে কথাগুলো বলেছেন প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তরুণ উদ্যোক্তা রওশন আল মাহমুদ। আলাপে উঠে এসেছে আবাসন খাতে যুক্ত হওয়াসহ প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের বিভিন্ন প্রকল্পগুলো সম্পর্কে নানা বিষয়।
আবাসন: আবাসন খাতের সঙ্গে যুক্ত হলেন কেনো?
রওশন আল মাহমুদ: রিয়েল এস্টেট বিজনেসের প্রতি সবসময়ই আমার আলাদা ভালোলাগা কাজ করতো। সেই ভালোলাগা থেকেই এই আবাসিক, প্রাতিষ্ঠানিক বা বাণিজ্যিক প্লট বিক্রির বিজনেসে আসা। ২০০৮ সাল থেকে আমি এই বিজনেসের সঙ্গে যুক্ত হই। তখন থেকেই আবাসন খাতের সঙ্গে আছি। সময়ের পরিবর্তনে মানুষের রুচি, পছন্দ ও প্রয়োজন অনুসারে এই খাতের সব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন যেসব মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আবাসন সমস্যা।

ছবি: আবাসন
সারা দেশে থেকে মানুষ চাকরি করতে আসেন যাদুর নগরী এই ঢাকায়। সারা দিনে একজন মানুষ জীবনের প্রয়োজনে যত কাজই করুক না কেনো, দিন শেষে তাকে একটা নিরাপদ আশ্রয় স্থলে ফিরতে হয়। সেটা তার আপন ঠিকানা। শান্তির নীড়। আমরা মানুষের আবাসনের সমস্যা সমাধারে নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য ভাবনাটা একটু কমই ভাবছি। সেখান থেকে আমার মনে হলো একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কিভাবে আবাসন চাহিদা মেটানো যায়। মহামরী করোনাকালীন অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। এই মানুষগুলোর যদি নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা থাকতো, তাহলে তারা কিন্তু ঢাকা ছাড়তো না। তখন থেকেই মনে হয়েছে এ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য কিছু করা জরুরি। তাদের আবাসন চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই মূলত, আবাসন খাতের সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া।
আমরা শুধুমাত্র জমির প্লট বিক্রিই করছি না। প্রত্যেকজন ক্রেতার হৃদয়ে দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রত্যেকজন ক্রেতার স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ। সেই আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা প্রথমে ব্যবসায়িক চিন্তা না করে ক্রেতাদের প্রয়োজন অনুসারে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষের প্রয়োজনকে মূলমন্ত্র রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই, আমাদের সেবা নিয়ে ক্রেতাই নিজে গিয়েই অন্যকে বলুক আপনি ভালো অবাসন ব্যবস্থার জন্য প্রিমিয়াম হোল্ডিংসকে বেছে নিতে পারেন। ক্রেতাদের মনের মধ্যে আস্থার সে জায়গাটা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। ক্রেতা সন্তোষ্টিই আমাদের সেবার মূল্য লক্ষ্য।
আবাসন: প্রিমিয়াম হোল্ডিংসের আবাসন প্রকল্পগুলো সম্পর্কে কিছু বলুন।
রওশন আল মাহমুদ: জীবনের প্রয়োজনে রাজধানীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাসকারী অনেক নাগরিকই স্বপ্ন দেখেন ঢাকার আশপাশে কোথাও তিন বা চার কাঠা জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার। আজীবন ভাড়াটিয়া হিসেবে অন্যের বাসায় থেকে বাড়ির মালিককে বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ টাকা না দিয়ে সে টাকা দিয়ে পরিকল্পনা করে জমি কিনে স্বপ্নের একটা বাড়ি বানাতে। যারা এমন স্বপ্ন দেখছেন, ভবিষ্যতে ঢাকায় জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেড অত্যাধুনিক ও স্মার্ট তিনটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ঢাকার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন লোকেশন পূর্বাচলে আমাদের দুটি প্রকল্প রয়েছে। একটি ‘প্রিমিয়াম গার্ডেন’ও অন্যটি ‘প্রিমিয়াম টাউন’। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশেই আর একটি প্রকল্প রয়েছে ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’।

ছবি: আবাসন
আবাসন: ‘প্রিমিয়াম গার্ডেন’ ও ‘প্রিমিয়াম টাউন’ প্রকল্পের সুবিধাগুলো সম্পর্কে জানতে চাই?
রওশন আল মাহমুদ: ‘প্রিমিয়াম গার্ডেন’ প্রকল্পটি একেবারে সরকারি পূর্বাচল শহরের পাশে। আর ‘প্রিমিয়াম টাউন’ও রাজউক প্রকল্পের পাশেই। প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের প্রকল্পগুলো ১০০% প্রাকৃতিকভাবে বাড়ি করার উপযোগী। আর এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম পরিকল্পিত নগরী রাজউক পূর্বাচলের কাছে। প্রিমিয়াম টাউন পূর্বাচল মেট্রোরেল, ইকো-পার্ক ও বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ভেন্যুর পাশে। ১১১ তলা বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ারে কাছে। প্রকল্পের চারদিকে সরকারি রাস্তা সম্বলিত একমাত্র প্রকল্প। ওই এলাকায় সকল সুযোগ-সুবিধাসহ নাগরিক বসবাস করছে। নিষ্কন্টক জমি, এককালীন স্বল্প দামে নিজ নামে জমির সাফ-কবলা দলিলসহ রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার রয়েছে উন্নত ও মানসম্মত ব্যবস্থা। আরও রয়েছে সহজ শর্তে এককালীন ও স্বল্প মেয়াদী কিস্তি সুবিধা।
এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে বসবাসের উপযোগী বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত প্লট পাওয়া যাচ্ছে ৩, ৫ ও ১০ কাঠা পরিমাণে। সেসঙ্গে রয়েছে কোম্পানির নিজস্ব পরিবহন সেবায় সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রকল্প পরিদর্শনের সুবিধা। অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় দামও হাতের নাগালে। দুই দশকে ঢাকায় জমির দাম বেড়েছে ২৭ গুণেরও বেশি। তাই যারা ঢাকায় জমি কিনে স্বপ্নের বাড়ি করার কথা ভাবছেন তারা আর দেরি না করে, যত দ্রুত সম্ভব পূর্বাচলে আমাদের প্লট বুকিং করতে পারেন। যারা ‘প্রিমিয়াম টাউন’ প্রকল্পের জমি কিনতে আগ্রহী তাদেরকে 01321216225, 01321216226 ও 01321216233 মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। আরও বিস্তারিত জানা যাবে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের অফিসিয়াল ফেসবুকের এই ঠিকানায়।
আবাসন: ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’ প্রকল্পটিতে কী কী সুবিধা রয়েছে?
রওশন আল মাহমুদ: ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’প্রকল্পটি ঢাকার অদূরে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর একটু দূরেই স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে থেকে ২ মিনিটের দূরত্বে এই প্রকল্পের অবস্থান। এটি খুবই মানসম্মত প্রকল্প। চমৎকার লোকেশন, মনোরম পরিবেশ। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আধুনিকভাবে জীবনযাপনের জন্য রয়েছে সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। চারদিকে রয়েছে মানুষের বসবাস। রয়েছে উন্নত ও অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্রকল্পের উভয়দিকে রয়েছে সরকারি প্রশস্ত রাস্তা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২১টি জেলাকে যুক্ত করে নতুন যুগের সূচনা করেছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে এই অঞ্চলকে করেছে সমৃদ্ধশালী।

ছবি: আবাসন
যারা ঢাকায় বাড়ি করার কথা ভাবছেন ‘প্রিমিয়াম ভ্যালি’তে প্লট কিনে তারা এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হতে পারে উন্নত আধুনিক শহরের অংশীদার। আগ্রহী ক্রেতা জমি কিনে মূল্য পরিশোধের সাথে সাথে সাফ-কবলা দলিলসহ রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার রয়েছে উন্নত ও মানসম্মত ব্যবস্থা। এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে বসবাসের উপযোগী জমি, কাঠা প্রতি মাসিক কিস্তি ৫০০০ টাকায় (সেক্টর ৩) পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রির জন্য প্রস্তুতকৃত প্লট পাওয়া যাচ্ছে ৩, ৫ ও ১০ কাঠা পরিমাণে। যারা প্রিমিয়াম ভ্যালি প্রকল্পের জমি কিনতে আগ্রহী তাদেরকে 01321216225 ও 01321216226 মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। আরও বিস্তারিত জানা যাবে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস লিমিটেডের অফিসিয়াল ফেসবুকের এই ঠিকানায়।
আবাসন: ঢাকায় জমি কেনার জন্য অসংখ্য আবাসন প্রকল্প রয়েছে। এত প্রকল্পের মধ্যে ক্রেতারা প্রিমিয়াম হোল্ডিংসকে বেছে নেবে কেনো? আপনাদের বিশেষত্ব কি?
রওশন আল মাহমুদ: দেখুন, আমরা শুধুমাত্র জমির প্লট বিক্রিই করছি না। প্রত্যেকজন ক্রেতার হৃদয়ে দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রত্যেকজন ক্রেতার স্বপ্নের সাথে জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ। সেই আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা প্রথমে ব্যবসায়িক চিন্তা না করে ক্রেতাদের প্রয়োজন অনুসারে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মানুষের প্রয়োজনকে মূলমন্ত্র রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই, আমাদের সেবা নিয়ে ক্রেতাই নিজে গিয়েই অন্যকে বলুক আপনি ভালো অবাসন ব্যবস্থার জন্য প্রিমিয়াম হোল্ডিংসকে বেছে নিতে পারেন। ক্রেতাদের মনের মধ্যে আস্থার সে জায়গাটা নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। ক্রেতা সন্তোষ্টিই আমাদের সেবার মূল্য লক্ষ্য।
অনেকেই বড় বড় প্রকল্প করছে। এর ফলে প্রকল্প হস্তান্তরে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু আমরা অল্প পরিসরে ছোট প্রকল্প করার ফলে ডেভেলপ করতে পারছি দ্রুত সময়ে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রাহকের স্বপ্নের প্লট বুঝিয়ে দিতে পারবো। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, জীবনে দারুণ কিছু করার জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। আপনার বাসস্থানকে সাজিয়ে নিতে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস হয়ে উঠুক আপনার ভবিষ্যতের নিরাপদ সম্পদ।
নির্বাচিত প্রতিবেদন
প্রতিটি ফ্ল্যাটে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণ করে জেমস গ্রুপ

সারা দেশে যেসব রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো স্বনাম ধন্য জেমস গ্রুপের দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এই কোম্পানি দুটির বিশেষত্ব হলো, কোম্পানির প্রতিটি প্রজেক্টে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণ করে থাকে। কোম্পানি দুটি কাস্টমারের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সব সময় তিনটি বিষয়কে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর সেগুলো হলো-প্রজেক্টের কোয়ালিটি (গুণগত মান), কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) ও সার্ভিস (সেবা)। দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে কাস্টমারের সর্বোচ্চ সন্তোষ্টি পূরণে কাজ করছে কোম্পানি দুটি।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে জেমস গ্রুপের কার্যালয়ে আবাসন বিষয়ক প্রথম মাল্টিমিডিয়া পোর্টাল আবাসন.টিভির সঙ্গে একান্ত আলাপে এসব কথা বলেন জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেডের সিইও এম কে আনোয়ার হাসান। আলাপে উঠে আসে জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রকল্পগুলোর আদ্যোপান্ত। দীর্ঘ আলাপের কিছু চুম্বক অংশ আবাসনের পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।
আবাসন: জেমস গ্রুপের রিয়েল এস্টেট প্রজেক্টগুলো সম্পর্কে জানতে চাই।
এম কে আনোয়ার হাসান: দেশের স্বনাম ধন্য জেমস গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম হলো এর রিয়েল এস্টেট সেগমেন্ট। গ্রুপটির মূল কনসার্ন হলো এর দুটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিকে ঘিরে। এ কোম্পানি দুটি হলো, জেমস কনট্রাকশনস লিমিটেড ও জেমস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। এই দুটি নামেই রিয়েল এস্টেট বিজনেসটা পরিচালিত হয়। আমরা জয়েন ভেঞ্চার এবং জমি কিনে দুভাবে প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে থাকি। মূলত, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে কেন্দ্র করেই আমাদের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দুটি যাত্রা শুরু করেছিল। আমরা ইতিমধ্যেই রাজধানী ঢাকায় প্রায় ৫২টি প্রকল্প অত্যন্ত সফলতার সাথে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাস্টমারদের কাছে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছি। চুক্তিতে কাস্টমারদের কাছে যে কোয়ালিটির নির্মাণ সামগ্রীর স্পেসিফিকশন করা ছিল, সে অনুযায়ী ৫২টি প্রকল্প অমরা সম্পন্ন করে তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি।
আমাদের হাতে এখনও আরও ৫০টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। বাকিগুলো রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বা অন্যান্য পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেগুলোর বেশির ভাগই বসুন্ধরা এলাকাতেই গড়ে উঠেছে। এছাড়াও উত্তরা, কে এম দাস লেন, ধানমন্ডিসহ বেশ কিছু এলাকাতে আমাদের প্রকল্প রয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন আর্মিদের যে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, সেখানে আমরা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের সাইন করেছি। বসুন্ধরার পর জলসিঁড়িতেও জেমস-এর প্রকল্পের বিস্তৃতি ঘটতে যাচ্ছে, ইনআশাল্লাহ।
আবাসন: জেমস মোস্তাবা মেনশন প্রকল্পটি কোন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে? এখানে কী ধরনের ফ্ল্যাট রয়েছে? আকার, আয়তন, পরিমাণ. . .
এম কে আনোয়ার হাসান: জেমস মোস্তাবা মেনশন একটি লাক্সারিয়াস প্রজেক্ট। এটি বসুন্ধরায় অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এলাকা জি ব্লকে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রজেক্টটি ১২ কাঠা জমির উপরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি ১৪তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং। এতে রয়েছে বেইজমেন্ট, গ্রাউন্ড ফ্লোর, সুইমিংপুল, কিডস জোনসহ অত্যাধুনিক বিল্ডিংয়ের সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। প্রতিটি ফ্লোরে ২টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ২ হাজার ৬৫০শ’ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের কাজ চলমান আছে। আশা করছি, আগামী দেড় বছরের মধ্যে কাস্টমারদের কাছে রেডি ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে পারবো।
আবাসন: জেমস শামিমা গার্ডেন প্রজেক্টও কী বসুন্ধরায় গড়ে তোলা হয়েছ? এ প্রজেক্ট সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলুন।
এম কে আনোয়ার হাসান: জেমস শামিমা গার্ডেন প্রজেক্টটি গড়ে তোলা হয়েছে বসুন্ধরায় এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডের ৫২০ নম্বর হাউজে। এটা ছোট একটা প্রজেক্ট। তবে এতে রয়েছে অত্যাধুনিক নাগরিক জীবনযাপনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। প্রতি ফ্ল্যাট ১ হাজার ৫৫০ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতি ফ্লোরে রয়েছে একটি করে ইউনিট। প্রজেক্টটি ইতমধ্যেই কাস্টমারদের বুঝিয়ে দিয়েছি।
আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, রিয়েল এস্টেট বিজনেসে কাস্টমাররা সবসময় যে অভিযোগটি করে থাকেন, সেটি হলো তারা সময় মতো নির্মাতা কোম্পানিগুলোর কাছে থেকে তাদের ফ্ল্যাট বুঝে পান না। এতে নির্মাতা কোম্পানিগুলো উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে, বদনামও হয়ে থাকে। সে জায়গা থেকে যেখানে একটা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে ২৪ থেকে ৩০ মাসের সময় বেধে দেওয়া থাকে, সেখানে আমরা এই প্রজেক্টটি ১৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। এতে কাস্টমার খুশি হয়েছেন। আমরা আমাদের কাস্টমারদের প্রতি দেওয়া কমিটমেন্ট অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রজেক্ট বুঝিয়ে দিয়ে চেষ্টা করছি মানুষের ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়ার। জেমস কনট্রাকশনস সব সময় কাস্টমারদের কোয়ালিটিফুল কাজ করে দিতে বিশ্বাসী। সেসাথে কমিটমেন্ট অনুসারে কাজ করে থাকে।
আবাসন: জেমস বিডি প্যালেস প্রজেক্টটির বিশেষত্ব কী?
এম কে আনোয়ার হাসান: দেখুন, অমাদের প্রতিটি প্রজেক্টই আন্তর্জাতিকমানের বুয়েটের আর্কিটেক্ট দিয়ে ডিজাইন করে, সর্বোচ্চ মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে টেকসই ও নান্দনিক ডিজাইনে নির্মাণ করে থাকি। তাই, প্রতিটি প্রজেক্টই সৌন্দর্যে, নিজস্বতায় ও নান্দনিকতায় অনন্য। জেমস বিডি প্যালেসও আমাদের তেমন একটি লাক্সারিয়াস প্রজেক্ট হবে। প্রজেক্টটি বসুন্ধরায় জি ব্লকের ৯ কাঠা জমিজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে। তিন কাঠার তিনটি প্লট একসাথে করে প্রজেক্টটি গড়ে উঠেছে। প্লটগুলো যথাক্রমে ৫১২, ৫১৩, ৫১৪। সাউথ ফেস বা দক্ষিণমুখী করে গড়ে উঠা প্রজেক্টটির প্রতিটি ফ্লোরে দুটি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ১৯শ’ স্কয়ারফিট করে রয়েছে। প্রজেক্টটির কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাস্টমারদের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারবো।
আবাসন: জেমস সালেহ ওয়েসিস প্রজেক্টটি কোন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে? এ সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন. . .
এম কে আনোয়ার হাসান: আমাদের বেশির ভাগ প্রজেক্টগুলোই গড়ে তোলা হয়েছে বসুন্ধরা এলাকায়। আমাদের টার্গেটকৃত কাস্টমার হলেন বসুন্ধরায় বসবাসরত অভিজাত শ্রেণি। তাই, জেমস সালেহ ওয়েসিস প্রজেক্টটিও বুসন্ধরায় জে ব্লকে গড়ে তোলা হয়েছে। দক্ষিণমুখী প্রজেক্টটি ৫ কাঠা জমির উপরে গড়ে তোলা হয়েছে। ১০তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে প্রতি ফ্লোরে একটি করে ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাট ১ হাজার ৯৫০ স্কয়ারফিট করে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রজেক্টটিও আমরা কাস্টমারদের কাছে ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। কাস্টমাররা গত দুই মাস ধরে এখানে বসবাস করা শুরু করেছেন।
আবাসন: জেমস কনট্রাকশনসের প্রজেক্টগুলোতে কাস্টমারদের জন্য বিশেষ কোনো গিফট, ছাড় বা অফার দেওয়া হয় কি না?
এম কে আনোয়ার হাসান: দেখুন, আমরা আমাদের প্রজেক্টে কাস্টমারদের জন্য বিশেষ কোনো গিফট, সুযোগ-সুবিধা, ছাড় বা অফারে বিশ্বাসী না। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি প্রজেক্ট নির্মাণ কোয়ালিটিতে। কাস্টমারকে সময় মতো প্রজেক্ট বুঝিয়ে দেওয়াতে। কাস্টমারের সন্তোষ্টিতে ও কোয়ালিটিফুল সার্ভিসে। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এ বিষয়গুলো ঠিক থাকলে কাস্টমাররা ছাড় বা অফার চায় না, গিফট চায় না। তারা চায় আমরা যাতে আমাদের দেওয়া কমিটমেন্ট অনুসারে কোয়ালিটিফুল কাজ করে, স্বপ্নের ফ্ল্যাটটি সময় মতো তাদেরকে বুঝিয়ে দেই। আর আমরা এ বিষয়গুলোকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।
আমরা যাতে সব সময় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাস্টমারদের হাতে প্রজেক্টটি বুঝিয়ে দিতে পারি, সেদিকে সবসময় সতর্ক থাকি। সেসাথে আমরা যেনো কোয়ালিটিফুল একটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রক্ষা করতে পারি, সেদিকেও খেয়াল রাখি। প্রজেক্টের চুক্তির সময় যে নির্মাণ সামগ্রী দেওয়ার জন্য কমিটমেন্ট করেছি, সেটা পৃথিবীর সেরা নির্মাণ সামগ্রী না হলেও আমরা যেটি দেওয়ার চুক্তি করেছি, সেটি বাজার মূল্য ও চুক্তির দাবি অনুসারে সবচেয়ে ভাল মানেরটা দিচ্ছি কি না, সেটি নিশ্চিত করে থাকি।
আমাদের দু’একটি প্রজেক্ট ছাড়া প্রতিটি প্রজেক্ট লোকেশন অনুসারে সব সময় সাউথ ফেসিং বা দক্ষিণমুখী করে নিয়ে থাকি। এটা বেশির ভাগ কাস্টমারের ফ্যাসিনেশন থেকে আমরা সাউথ ফেসিং প্রজেক্টগুলো নিয়ে থাকি। কাস্টমাররা যাতে প্রজেক্টে থেকে সব সময় ঠিক মতো আলো-বাতাস পায়, আনন্দ ও আরাম পায়, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন আর্কিটেকচার দিয়ে বিল্ডিংগুলো ডিজাইন করে থাকি। বড় প্রজেক্টগুলোর ছাদের জায়গা, বিল্ডিংয়ের আশপাশের জায়গা, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, গার্ডেনিংয়ের জায়গা, সুইমিং ও কিডজোন রাখা এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
এছাড়াও কাস্টমারকে প্রত্যেকটি প্রজেক্টের মালিকানার লিগেল ডকুমেন্ট দিয়ে থাকি। যাতে একজন কাস্টমার ফ্ল্যাট কেনার পর তার প্রকৃত মালিকানা সুরক্ষিত থাকে। চাইলে যাতে তিনি যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এ বিষয়গুলোর প্রতিই আমরা মূল ফোকাস দিয়ে থাকি। যদি বলা হয় কাস্টমারদের জন্য কী গিফিট, ছাড় বা অফার দেওয়া হয়, তাহলে বলবো এগুলোই হলো তাদের জন্য ছাড় বা অফার। তবে মার্কেটিং পলিসির জন্য বিশেষ দিবস বা মেলা উপলক্ষে কাস্টমারদের জন্য বিভিন্ন গিফিট, ছাড় বা অফারের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এগুলো আমাদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। আমাদের মূল ফোকাস হলো, উল্লিখিত বিষয়গুলোর উপর। এগুলোর উপর ভিত্তি করেই আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করছি। কাস্টমারদের কাছ থেকে সেভাবে ফিটব্যাকও পাচ্ছি।
আবাসন: রিয়েল এস্টেটপ্রেমীদের জন্য আগামীতে নতুন কী কী প্রকল্প আসছে?
এম কে আনোয়ার হাসান: ইতিমধ্যেই জেনেছেন আমরা কাস্টমারদের কাছে ৫২টি প্রজেক্ট সফলভাবে হস্তান্তর করেছি। এখনও আরও ৫০টি প্রজেক্ট পাইপ লাইনে রয়েছে। উত্তরার মতো ব্র্যান্ড আবাসন এলাকায় প্রকল্প সম্পন্ন করেছি এবং আরও কয়েকটি প্রকল্প পাইপ লাইনে আছে। সেগুলো আগামীতে আসছে। এর পাশাপাশি আমরা বর্তমানে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে কাজ শুরু করেছি। সেখানেও নতুন কিছু প্রজেক্ট আসছে। মতিঝিলের আশপাশে যেমন, আর কে মিশন রোড, কে এম দাশ লেন ও ধানমন্ডিতে আমাদের নতুন প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছি। এগুলো সময় মতো আসবে নতুন চমক নিয়ে।
‘হাউজিং ফর অল’ কনসেপ্ট থেকে আমরা কিছু লো কস্ট হাউজিং ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছি। উদ্দেশ্য নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষরা যাতে যাদুর নগরীতে একটা ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারেন। সে বিষয়টিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই হয়তো চমক হিসেবে বেশ কিছু প্রজেক্ট চলে আসবে, ইনশাআল্লাহ। এভাবে আমাদের আবাসন প্রকল্পগুলো রাজধানীর বিভিন্ন কমার্শিয়াল ও নান্দনিক জায়গায় চালু করছি।
আবাসন: যারা অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশে আপনার ম্যাসেজ কী থাকবে?
এম কে আনোয়ার হাসান: আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একজন কাস্টমার জীবনে একবার ফ্ল্যাট কিনে থাকেন। ব্যতিক্রমও আছে। তাই, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি বলবো, কাস্টমারদের একটা ফ্ল্যাট কেনার আগে কয়েকটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। সেগুলো হলো, যে কোম্পানির কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি কিনবে, সেটি রাজউকের অনুমোদন আছে কি না সেটি নিশ্চিত হওয়া। রাজউকের অনুমোদিত প্লান অনুসারে বিল্ডিংটা নির্মাণ করছে কি না। ডিজাইনটা যেনো ফাংশনাল হয় সেটি খেয়াল করতে হবে। চুক্তির সময় যে কোয়ালিটির নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বিল্ডিংটা নির্মাণ করার কথা ছিল, সেটি দিয়ে তারা নির্মাণ করছে কি না সেটি দেখে নিতে হবে।
জমির লিগাল ডকুমেনটেশন, মালিকানা, মিউটেশন, সিএস, আর এস পর্চা, এগুলো যিনি বুঝেন এমন একজন ভাল উকিল দিয়ে যেনো বুঝে নেন। কেননা ফ্ল্যাট কেনার পর ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে দেখা যায় ডকুমেনটেশনে ঝামেলা আছে। তাই, আপনি যখন ফ্ল্যাট কেনার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, তখন অবশ্যই এ বিষয়গুলো জেনে বুঝে তারপর নিতে হবে। তা না হলে আপনাকেই পস্তাতে হবে।
নির্বাচিত প্রতিবেদন
‘ক্রেতাদের গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও সার্ভিস দিচ্ছে কিচেন টাচ’

মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ। কিচেন টাচ ও কিচেন আর্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি দেশের হোম ও কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতের একজন উদীয়মান ও তরুণ উদ্যোক্তা। আইটি সাংবাদিকতার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু হলেও কিচেন এক্সেসরিজের প্রতি ভালোলাগা থেকে শুরু করেন কিচেন টাচ উদ্যোগ। কাজের প্রতি নিষ্ঠা, সততা, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অল্প দিনে গড়ে তুলেছেন কিচেন টাচ উদ্যোগ। গুণগতমানসম্পন্ন কিচেন এক্সেসরিজ ও হোম, কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন দিয়ে হাজারো ক্রেতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। হোম এবং কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ উদ্যোগের পাশাপাশি যুক্ত আছেন বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে। বর্তমানে তিনি টেক আলো নিউজের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আইসিটি এমপ্লয়ী সোসাইটি অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট (এডমিন), এইড ডেভেলপার অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়াম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন দৈনিক যায়যায় দিন, দৈনিক ভোরের পাতা, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
>>আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তদের জন্য পরিকল্পিত ও নিরাপদ আবাসন গড়তে চাই : রওশন আল মাহমুদ
সম্প্রতি কথা হয় প্রথম আবাসন বিষয়ক মাল্টিমিডয়া পোর্টাল আবাসন.টিভির সাথে। খোলামেলা কথা বলেন কিচেন টাচ উদ্যোগ হোম ও কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন শিল্পখাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে। সাক্ষাৎকারটি আবাসন মাল্টিমিডয়া পোর্টালের পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।
আবাসন: দুনিয়ায় এতো কিছু থাকতে উদ্যোগের বিষয় হিসেবে কিচেন এক্সেসরিজকে বেছে নিলেন কেনো?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: বাসা বা বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান কিচেন বা রান্নাঘর৷ প্রতিদিনই কয়েকবার করে ব্যবহার করা হয় এটি। একটি বাসার রান্নাঘরের সাথে অন্য পাঁচটা রুমের তুলনা হয় না। আমাদের বাড়ির মা-বোন বা গৃহিনীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রান্নাঘরে কত সময় যে পার করে দেয় তার কোন হিসেবে নেই। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ সময়ে রান্নাঘরের সাজসজ্জার দিকে নজর দেই না। রান্নাঘরে স্বাচ্ছন্দ্যে ও সহজভাবে কাজ করার মতো পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দেই না। লিভিং রুম,ডাইনিং রুম আর বেডরুমের সাজসজ্জায় সীমাবদ্ধ রাখি। রান্নাঘরের দিকে বিশেষ খেয়াল দেই না। আসলে রান্নাঘরের ডিজাইন বা সাজসজ্জা হতে হবে খুবই পরিকল্পিত এবং সময়োপযোগী। বিষয়টা নিয়ে আমার মাথায় ভাবনা আসে ২০১৪ সালে।
আমি যখন নিজের বাসায় নতুন রান্নাঘর তৈরি করি। সব কিছু থাকতো এলোমেলো। কোথায় কি রাখতে হবে সেটা জানতাম না। প্রয়োজনীয় জিনিসটি সময় মত হাতের কাছে পাওয়া যেতো না। রান্নাঘরে হাঁটাচলার পর্যাপ্ত জায়গার অভাব ছিল। তখন চিন্তা করি, এই রান্নাঘরটাকে আধুনিক করলে কেমন হয়? তখন একজন কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের সাথে কথা বলে, সে অনুসারে অনলাইনে কিচেন এক্সেসরিজ খোঁজা শুরু করি। রাজধানীর সব কিচেন মার্কেটে ঘুরে ঘুরে এক্সেসরিজ কিনে আমার কিচেনটাকে মনের মতো করে সাজাই। কিন্তু তখন প্রয়োজন মত সব পাই নাই। ওই সময় মাথায় এলো এটা নিয়েও তো বিজনেস করা যায়।
>>আরও পড়ুন: ‘সরকারের সুনজরে ফার্নিচার শিল্পখাতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব’
>>আরও পড়ুন: ‘রিয়েল স্টার প্রোপার্টিজকে একটা ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই’
১৭ কোটি মানুষের দেশে সবারই তো একটা রান্নাঘর থাকবে। এ ব্যবসার ভবিষ্য সম্ভাবনা ভাল। পেশাগতভাবে আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডেড হওয়াতে সব কিছু সোর্সিং করা সহজ হয়ে গেল। আস্তে আস্তে যতই হোম কিচেন ইন্টেরিয়র ডিজাইন, কিচেন এক্সেসরিজ সম্পর্কে জানছি, পড়াশোনো করছি, ততই মনের মধ্যে ভাল লাগা কাজ করছে। একটা সময় এসে কিচেন এক্সেসরিজ নিয়েই বিজনেস শুরু করি। এভাবেই কিচেন টাচ-এর পথচলা শুরু।
আবাসন: এই শো-রুমে একজন ক্রেতা তার কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য কি ধরনের এক্সেসরিজ কিনতে পারবেন?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: আমাদের শো-রুমে ৩৬০ ধরনের হোম অ্যান্ড কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ সল্যুশনস রয়েছে। একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজ প্রয়োজন হয়, এখানে বিভিন্ন নামিদামি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সব ধরনের গুণগতমানসম্পন্ন এক্সেসরিজ রয়েছে। চীন, জাপান, জার্মানী, ইতালি, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, হংকং-এর মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি সফল দেশের প্যারোস, ওয়েল ম্যাক্স, ওলউইন, ভেরনা, আইডিয়াল, রিননাই, অ্যারিশটন, অলিয়ন, এভারসাইন ব্র্যান্ডের কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল, অলিয়ন ৩ বার্নার মার্বেল, কিচেন হুড, ১২ লেয়ার লার্ডার বাস্কেট, মেজিক কর্নার বাস্কেট লেফট অ্যান্ড রাইট, ৫ লেয়ার কর্নার বাস্কেট, ১২ লেয়ার টল ইউনিট বাস্কেট, ৬ লেয়ার টল ইউনিট বাস্কেট, পুল আউট ৩ সেলফ স্লিডিং বাস্কেট, ১৮০ ডিগ্রি রিভোলিং বাস্কেট, বোটল অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, ৩৬০ ডিগ্রি রিভোলিং বাস্কেট, স্পাইস র ্যাক বাস্কেট, প্লান অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, প্লেট অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট ৩ সাইডেড, সাইড বাস্কেট ম্যাটেরিয়াল, পিভিসি কালেরি ট্রে, ড্রাবল বল সিংক, কাটলেরি, এলিভেটর বাস্কেট, ডাস্টবিন, ডরবিন, সিংক সাপোর্ট র ্যাক, ডিশ র ্যাক, লিড হোল্ডার, টিসু হোল্ডার, প্লেট অ্যান্ড বৌল হ্যাংগিং র ্যাক রাইস কন্টিনার, প্লান অ্যান্ড মাল্টি বাস্কেট, ৩ লেয়ার পুল আউট ভেজিটেবল বাস্কেট।
আবাসন: কিচেন টাচ ক্রেতাদের কি ধরনের পণ্যসেবা দিয়ে থাকে? সেগুলো কী কী?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজের প্রয়োজন হয় আমরা ক্রেতাদের সব ধরনের কিচেন এক্সেসরিজ সরবারহ করে থাকি। স্মার্ট কিচেন হুড ,স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল, অলিয়ন ৩ বার্নার মার্বেল- এর মতো প্রোডাক্টগুলো ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার পর এগুলো বাসায় নিয়ে সঠিকভাবে সেটআপের কাজগুলো করে থাকি। ইলেকট্রনিক প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গ্যারান্টি দেওয়া হলেও কোন কারণে এরই মধ্যে নষ্ট বা সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে দক্ষ, ডায়নামিক, স্মার্ট টিমের সাহায্যে সেগুলো সার্ভিসিং করে থাকি।
এছাড়াও আমরা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কনসালটেনন্সির কাজও করে থাকি। যারা নতুন কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের পরিকল্পনা করেন, কোথায় কোন এক্সেসরিজটা বসাতে হবে, কতটুকু জায়গায় বসাতে হবে, কীভাবে বসাতে হবে, কিচেনের জায়গাটা কতটুকু পরিমাণে হলে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দে কাজ করা যাবে। একটা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য কত খরচ লাগতে পারে এসব পরামর্শ দেওয়ার কাজগুলো আমরা করছি। শুধু কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজই করি না। সেটি ক্লায়েন্টের মনের মতো করে তৈরি করে দেওয়ার পর, যখন কোন সমস্যা দেখা দেয়, তখন সাথে সাথে সে সমস্যার সমাধানের কাজও করি।
>>আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তদের আবাসন চাহিদা মেটাতে কাজ করছে প্রিমিয়াম হোল্ডিংস : রওশন আল মাহমুদ
আবাসন: কিচেন টাচ-এর পণ্যের বিশেষত্ব কি? মার্কেটে এতো শো-রুম রেখে ক্রেতারা কিচেন টাচ-এর পণ্য কিনবে কেনো?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: কিচেন টাচ একটি বিশ্বাস ও নির্ভিরযোগ্য কিচেন এক্সেসরিজ সরবারহকারী এবং কনসালটেন্সি কোম্পানি। এখানে পাওয়া যাচ্ছে ৩৬০ ধরনের হোম অ্যান্ড কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ সল্যুশনস। একটা অত্যাধুনিক স্মার্ট কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব এক্সেসরিজ প্রয়োজন হয়, এখানে বিভিন্ন নামিদামি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সব ধরনের গুণগতমানসম্পন্ন এক্সেসরিজ রয়েছে। চীন, জাপান, জার্মানী, ইতালি, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, হংকং-এর মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি সফল দেশের প্যারোস, ওয়েল ম্যাক্স, ওলউইন, ভেরনা, আইডিয়াল, রিননাই, অ্যারিশটন, অলিয়ন, এভারসাইন ব্র্যান্ডের কিচেন ইন্টেরিয়র এক্সেসরিজ রয়েছে। আমরা শুধু কিচেন এক্সেসরিজ বিক্রিই করি না। সেসাথে বিক্রয়োত্তর সেবাও দিয়ে থাকি। যাতে একজন ক্রেতা তার পছন্দের এক্সেসরিজটা কিনে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
আর কিচেন টাচ বিশ্বাস করে প্রত্যেকজন ক্রেতাই অত্যন্ত মূল্যবান ও সম্মানের। তাই কোম্পানি গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সেগুলো হলো-কোয়ালিটি (গুণগত মান), কমিটমেন্ট (প্রতিশ্রুতি) ও সার্ভিস (সেবা)। এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গ্রাহকের সন্তোষ্টি পূরণে কাজ করে আসছে কিচেন টাচ।
আবাসন: কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দাম সাধারণত কত থেকে শুরু হয়, আর কত বেশি হয়ে থাকে?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: দেখুন, অন্য পাঁচটা প্রযুক্তিপণ্যের মতো কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দামও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে পণ্যটা কি এবং কোন ধরনের, কোন কোয়ালিটির, কোন ব্র্যান্ডের। যেমন, ধরুন এটা স্মার্ট চুলা পারোস ২ বার্নার মার্বেল বিক্রি করি ১৬ হাজার টাকায়। আবার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কোয়ালিটির চুলা পাওয়া যাবে যেগুলোর দাম শুরু হয় ১৫ হাজার টাকা থেকে, ২৫ হাজার, ২২ হাজার, আবার ২০ হাজার বা ২৪ হাজার টাকা। তাই, কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের এক্সেসরিজের দামও ব্র্যান্ড ও কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
আবাসন: আপনারা কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কনসালটেন্সি করে থাকেন।একটা কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন করতে কী কী বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: দেখুন, একটা সময় ছিল যখন কিচেন মানে মনে করা হতো হেঁশেল। এখানে মা-বোনদের জীবনের বেশিটা সময় কাটতো। সময়ের পালাবদলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই হেঁশেল এখন বাড়ি বা ফ্ল্যাটের এককোণে ছিমছাম, সুন্দর, পরিপাটি মডিউলার কিচেনে এসে ঠেকেছে। একটা আধুনিক কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের জন্য যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেসগুলো হলো-একটি ভাল কিচেনের লেআউট তৈরি করা, ওয়ার্কিং ট্রাইঅ্যাঙ্গেলকে মাথায় রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা রাখা, যথেষ্ট পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা রাখা, সাধ্যের মধ্যে ভাল ও সর্বোচ্চমানের কাঁচামাল ব্যবহার করা, ছোট রান্নাঘরের জন্যে হাল্কা রঙ নির্বাচন করা, সহজে মেইনটেইন নিশ্চিত করা।
কিচেন সাধারণ বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বা উত্তর-পশ্চিম কোণে হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিষস চুলা,হুড, ওভেন, সিংক, আর রেফ্রিজারেটরকে এমনভাবে রাখতে হবে যেনো এই তিনটিকে লাইন টেনে জুড়লে একটা ত্রিভুজের আকার নেয়। কিচেন কাউন্টার ন্যূনতম ২২ ইঞ্চি চওড়া আর ৩৩ ইঞ্চি উচ্চতার হতে হবে। ছোট রান্নাঘর হাল্কা রঙের হলে ভাল, বিশেষকরে কাউন্টারের ওপরের দিক। জানালায় চিমনী না লাগালেই ভাল। ফ্রেশএয়ার ফ্যান জানালার বিপরীত দিকে হলে ভাল। কিন্তু এই ভুলটা অধিকাংশ ডেভলপাররা করে থাকেন। রান্নাঘরের সাইজ অনুযায়ী চিমনী লাগানো উচিত। একটা ৬০ স্কয়ারফুট কিচেনে ২০০০-৩০০০ (আরপিএম) সাকশন চিমনী হলেই চলে। রান্নাঘরে ফলস্ সিলিং করলে বেশি জমকালো হয়। তাই না করাই ভাল।
আবাসন: উদ্যোগকে নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ: কিচেনের ইন্টেরিয়র ডিজাইন সেক্টরটা অনেক বড়। এখানে অনেক সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে। আমি একজন ছোট উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে আসছি। আমি কাজের কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি। উদ্যোগটি শুরু থেকে এ পর্যন্ত যাদের সার্ভিস দিয়েছি তাদের সেরা মানের সার্ভিসটিই দিয়েছি। অসংখ্য ক্রেতা বার বার এসে সার্ভিস নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত আসছেন। সাথে আনছেন নতুন ক্রেতাদের। এভাবে কিচেন টাচ জায়গা করে নিয়েছে হাজারো ক্রেতাদের হৃদয়ে। আমি চাই এভাবেই ধীরে ধীরে ক্রেতাদের রুচি, পছন্দ ও চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। কিচেন টাচের এক্সেসরিজ শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে গেছে। পরিকল্পনা আছে দেশের ৬৪টি জেলায় কিচেন টাচের এক্সেসরিজকে পৌঁছে দিতে।
-
বিবিধ2 years ago
বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
সীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
রাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
মাত্র ২৪ ঘন্টায় খতিয়ানের ভূল সংশোধনের সরকারি নির্দেশনা
-
ফিচার4 weeks ago
প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল
-
আইন-কানুন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
প্রিমিয়াম হোল্ডিংয়ের বর্ষপূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী একক আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত