আবাসন সংবাদ
ইমারত বিধিমালা ২০২৪ খসড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন আবাসন ব্যবসায়ীরা

নিয়মিত অগ্নিদুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী। ভূমিকম্প আতঙ্কও কম নয়। চলতি বছর তাপপ্রবাহও ভাবিয়েছে নগরায়ণ নিয়ে। ঢাকায় ভবন তৈরিতে নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানা হয় না ইমারত বিধিমালা। যে কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কঠিন হয় সামাল দেওয়া।
এসব বিষয় মাথায় রেখেই ইমারত নির্মাণ বিধিমালার খসড়ায় আনা হয়েছে বেশকিছু পরিবর্তন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) পুনর্বিন্যাসে। ফারের মাধ্যমে ভবনের উচ্চতা, ফ্ল্যাটের আয়তন, কতগুলো ফ্ল্যাট হবে সেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে নতুন বিধিমালায়। এতে বিল্ডিংয়ের উচ্চতা কমবে এবং ভবন পরিবেশবান্ধব হবে বলছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
‘নতুন বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমবে। ফলে কমবে ফ্ল্যাটের সংখ্যা। ব্যবসায়ীরা আবাসন খাতে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন। শুধু আমরা না, জমির মালিকও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। মধ্যবিত্তকে ফ্ল্যাটের আশা ছেড়ে দিতে হবে।’-আবাসন ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী ভূঁইয়া
তবে আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইমারত বিধিমালা ২০২৪ এর খসড়া পাস হলে ফারের কারণে মুখ থুবড়ে পড়বে আবাসন ব্যবসা। সরকার হারাবে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব। আবাসনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ নাগরিক, জমির মালিকও পড়বেন ক্ষতির মুখে। জমির সংকট দেখা দেবে, চাপ বাড়বে কৃষিজমির ওপর। ব্যাহত হবে পরিবেশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা পাস হলেই দুই থেকে তিন বছর সময় পাবেন উদ্যোক্তারা। এরপর অর্থাৎ আগামী দুই বছর পরে বর্তমানে যেসব ফ্ল্যাট প্রতি স্কয়ার ফুট সাত হাজার টাকায় কেনা যাচ্ছে, সেটা ১০ হাজার টাকায় কিনতে হবে।
আর রড-সিমেন্টের দাম বাড়লে ১০ হাজারের সঙ্গে আরও বর্ধিত দাম যোগ হবে। অর্থাৎ উচ্চবিত্তদের জন্যই হবে ফ্ল্যাট, সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। পাশাপাশি সিংহভাগ ডেভেলপার কোম্পানি টিকতে পারবে না।
বলা হয়েছে-কোনো এলাকার ফার আড়াই (২.৫) এবং সেখানে প্লটের ফার যদি তিন নির্ধারণ করা হয়, তবে রাজউক প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) মতে সর্বনিম্ন ফার কাউন্ট করতে হবে। তার মানে এখানে কাউন্ট হবে আড়াই। এতে রাস্তা বড় হওয়া সত্ত্বেও কমে আসবে বিল্ডিংয়ের উচ্চতা। প্লট সংলগ্ন রাস্তার ফারকে বেসিক ধরলে বিল্ডিংটা আরও একটু বড় হবে। আবার ফ্ল্যাটের আয়তনও বাড়বে।
এখানে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে সবকিছু। যেমন কোন জমিতে কতটি ইউনিট, ফ্ল্যাট কতটা হবে সেটা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এখানে আয়তনও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ খসড়া পাস হলে এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। পাঁচটার জায়গায় ১০টি ফ্ল্যাট করা যাবে না। পাঁচ কাঠায় ছোট ছোট ইউনিট করে চারটা ফ্ল্যাট করার সুযোগ থাকবে না।
২০ ফুট রাস্তার ফার দুই হলে করা যাবে চারতলা বাড়ি। আর ২০ ফুটের নিচে হলে ফার আরও কমে দেড় বা পৌনে দুই হবে, সেক্ষেত্রে তিন থেকে সাড়ে তিনতলা বাড়ি করা যাবে। এতে জমি দিতে আগ্রহী হবেন না মালিক। কারণ ডেভেলপার কোম্পানিগুলো সাধারণত যেসব জমি নেয় সেখানে দুই থেকে তিনতলা বিল্ডিং ভেঙে ডেভেলপ করে। এখানে জমি ডেভেলপ হলেও বাড়ি তিনতলাই হচ্ছে।
আগের নিয়মে ১৬ ফুট রাস্তায় জমির মালিক রাস্তা ৪ ফুট ছেড়ে দিলে একটু ফার বাড়িয়ে দেওয়া হতো। দাম ছাড়াই রাস্তা ছেড়ে দিলে সরকার একটু ফার দিতো। এতে রাস্তা প্রশস্ত হতো।
খসড়ামতে, ১৬ ফুট রাস্তার ফার দেড় (১.৫)। এখানে রাস্তা ১৬ ফুট আছে, তবে জমির মালিক উভয় পাশে ৪ ফুট ছেড়ে দিলে ২০ হয়। এখানে ফার দুই হয়। অর্থাৎ, এখানে চারতলা বাড়ি করার সুযোগ আছে। জমির দুদিকে ছেড়ে (ইফেক্টিভ সেটব্যাক) দিয়ে আগের নিয়ম অনুযায়ী ফার বাড়ানোর কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা চাই প্লট সংলগ্ন রাস্তার ফারকে বেসিক ফার ধরা হোক। এতে বিল্ডিংয়ের উচ্চতা বাড়বে। ফ্ল্যাটের সংখ্যা নির্দিষ্ট, আয়তন নির্দিষ্ট, উচ্চতা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে এটাও চাই না। এমনটা করা মানে হাত-পা বেঁধে পানিতে ছেড়ে দেওয়া।
ফার এক বাড়ানো হোক। ড্যাপ যা করছে, বিধিমালায় কিছু পরিবর্তন হোক। সব শ্রেণির ক্ষেত্রে রাস্তার ফার এক বাড়ানো হোক, কমপক্ষে দশমিক ৫ বাড়ানো হোক। এটা হলেও তা ২০০৮ এর বিধিমালার চেয়েও অনেক কম হবে। তবুও কিছুটা স্বস্তি আসবে। হয়তো ব্যবসা টিকে থাকবে।
‘কোনো ধরনের মতামত ছাড়াই ইমারত নির্মাণ বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যেভাবে নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে তাতে সাধারণ নাগরিক, ভূমি মালিক ও ভবন মালিকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’-রিহ্যাব সভাপতি মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান
আবাসন ব্যবসায়ী এবং ব্রিক ওয়ার্কস লিমিটেডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, নতুন বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তন কমবে। ফলে ফ্ল্যাটের সংখ্যা কমবে। ব্যবসায়ীরা আবাসন খাতে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জমির মালিকও। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উলম্বভাবে ভবন তৈরির দিকে, আমরা হাঁটছি উল্টো পথে। আমাদের জমির সংকট আগামীতে আরও মারাত্মক হবে। কৃষিজমির ওপর চাপ বাড়বে, মধ্যবিত্তকে ফ্ল্যাটের আশা ছেড়ে দিতে হবে।
এ বিষয়ে মগবাজার এলাকার বাসিন্দা রিপন বলেন, ঋণ নিয়ে আমাদের একটা প্লট নিজেরাই ডেভেলপ করেছি। একটা ব্যবসাও করছি। আরও কিছুটা সময় লাগবে ঋণ পরিশোধ করতে। এখন যে বিধিমালা করা হচ্ছে এতে অন্য জমিটি নষ্ট হবে। আমার জমির চারপাশে ১০-১৩ তলা বিল্ডিং হয়েছে। দুই বছর পর আমাদের তাহলে চারতলা বিল্ডিং করতে হবে?
ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব সভাপতি এবং জাপান গার্ডেন সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, কোনো ধরনের মতামত ছাড়াই ইমারত নির্মাণ বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিধিমালা চূড়ান্ত না করার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউককে অনুরোধ জানাই। খসড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যেভাবে নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে তাতে সাধারণ নাগরিক, ভূমি মালিক ও ভবন মালিকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আবাসনশিল্প।
গত ২১ এপ্রিল কার্বন নিঃসরণহীন, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
‘২০০৮ সালের বিধিমালা যেটা হয়েছিল সেটা বিজ্ঞানসম্মত ছিল না। এখন নগরে সবুজ নেই, রাস্তা নেই। নতুন যে বিধিমালা করা হয়েছে সেটা শুধু বাস্তবসম্মতই নয় বিজ্ঞানসম্মতও।’-ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্স ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অপরিহার্য যে সব আইন, তা বঙ্গবন্ধু স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করেছিলেন। দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তিনি জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ সেন্টারও তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরিবেশ সুরক্ষা ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কার্বন নিঃসরণহীন, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী উদ্ভাবনে গবেষণার জন্য এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।
এ বিষয়ে কথা হলে রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এর আগে ২০০৮ সালের বিধিমালা যেটা হয়েছিল সেটা বিজ্ঞানসম্মত ছিল না। এখন নগরে সবুজ নেই, রাস্তা নেই। নতুন যে বিধিমালা করা হয়েছে সেটা শুধু বাস্তবসম্মতই নয় বিজ্ঞানসম্মতও।
তিনি বলেন, ফার কম-বেশির কারণে ব্যবসায়ী-ভূমির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এটা একটা প্রোপাগান্ডা। কারণ বিল্ডিং কম হলে তো খরচও কম হবে, এতে বাড়তি খরচ বা লোকসানের কিছু নেই। আবার মেট্রো এলাকায় যেখানে ফার বেশি সেখানে অন্য সুবিধাও বেশি এবং বড় বিল্ডিং তৈরির সুযোগ আছে।
এছাড়া সরকার সবার জন্য জনকল্যাণমূলক বাসযোগ্য শহর করতে চায়। আর সেটা গুরুত্ব দিয়েই খসড়া নীতিমালা করা হয়েছে।
আবাসন সংবাদ
রিহ্যাবের আধুনিক ভবন নির্মাণে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল অফিসে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সিডিএ কর্তৃক প্রস্তাবিত মাস্টারপ্ল্যান সম্পর্কে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা প্রদান বিষয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগরীতে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা সম্বলিত সুপরিকল্পিত বিশ্বমানের আধুনিক ভবন নির্মাণে রিহ্যাব সদস্যবৃন্দ বদ্ধপরিকর। এ জন্য সিডিএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগীতা কামনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের পরিচালক ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, নূর উদ্দীন আহাম্মদ, শারিস্থ বিনতে নূর, মোঃ মাঈনুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিয়নের সিডিএ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার এস. এম আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল সদস্যবৃন্দ এবং রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রকৌশলী ও স্থপতিবৃন্দ।
অর্থ ও বাণিজ্য
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা বেড়েছে ২১ কোটি টাকা

দেশের আবাসন খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৭৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তার আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ২১ কোটি টাকা বা সাড়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টার্ন হাউজিং গতকাল মঙ্গলবার তাদের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করার মাধ্যমে মুনাফার এই হিসাব দিয়েছে। একই সভা থেকে কোম্পানিটি গত অর্থবছরের জন্য শেয়ারধারীদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তার আগের অর্থবছরে কোম্পানিটি ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সেই হিসাবে গত অর্থবছরে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের মুনাফা ও লভ্যাংশ উভয়ই বেড়েছে।
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে চূড়ান্ত করা মুনাফা ও লভ্যাংশের তথ্য আজ বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত অর্থবছরের জন্য তারা শেয়ারধারীদের প্রতি শেয়ারের বিপরীতে আড়াই টাকা (২৫ শতাংশ) করে লভ্যাংশ দেবে। বর্তমানে শেয়ারধারীদের হাতে কোম্পানিটির যে শেয়ার রয়েছে তার বিপরীতে লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে ২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ করতে হবে। আগের অর্থবছরে (২০২৩–২৪) কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের ১৯ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তাতে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একেকজন শেয়ারধারী ১ টাকা ৯০ পয়সা করে পেয়েছিলেন। ওই বছর ঘোষিত লভ্যাংশ বাবদ কোম্পানিটিকে বিতরণ করেছিল প্রায় ১৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ বাবদ ৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে কোম্পানিটি। লভ্যাংশ বাবদ বাড়তি এই ব্যয়ের জোগান আসছে বাড়তি মুনাফা থেকে। কারণ, এক বছরে কোম্পানিটির মুনাফা ২১ কোটি টাকা বেড়েছে।
এদিকে মুনাফা ও লভ্যাংশ বৃদ্ধির খবরে আজ শেয়ারবাজারে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ারের দামও ঊর্ধ্বমুখী ছিল লেনদেনের শুরু থেকে। প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ২ টাকা বা সোয়া ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। এ সময় কোম্পানিটির ৮ লাখের বেশি শেয়ারের হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
-
বিবিধ2 years ago
বাংলাদেশে প্রচলিত বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, নিয়ম ও নীতিমালা
-
নির্বাচিত প্রতিবেদন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করবেন যেভাবে
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
সীমান্ত রিয়েল এস্টেট এর অনুমোদনহীন সীমান্ত সিটি ও সীমান্ত কান্ট্রি প্রকল্প
-
আবাসন সংবাদ4 weeks ago
রাজউকের নির্দেশে নর্থ সাউথ গ্রীন সিটি বন্ধ
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
মাত্র ২৪ ঘন্টায় খতিয়ানের ভূল সংশোধনের সরকারি নির্দেশনা
-
ফিচার4 weeks ago
প্রথম ফ্ল্যাট কিনে ঠকতে না চাইলে মেনে চলুন এই ১০ কৌশল
-
আইন-কানুন1 year ago
রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের সাথে জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্যা ও তার প্রতিকার (১ম পর্ব)
-
আবাসন সংবাদ1 month ago
প্রিমিয়াম হোল্ডিংয়ের বর্ষপূর্তিতে ৩ দিনব্যাপী একক আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত